বইমেলায় অক্ষর না–চেনা আশুতোষ-জয়নালদের বই

মানসুরা হোসাইন

নিজেদের লেখা বই হাতে নিয়ে হাসিমুখে আশুতোষ চক্রবর্তী ও জয়নাল উদ্দিন। প্রথম আলো কার্যালয়ে। ছবি: জাহিদুল করিম

বইটির প্রচ্ছদে আঙুলের ছাপ দিয়েছেন রিকশাচালক সেলিম ভূঁইয়া আর নামলিপি ‘নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ’ লেখাটি লিখেছেন ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করা এমতাজুল হক।

এমতাজুল হক প্রথম আলোকে বললেন, অভাবের কারণে তিনি পড়াশোনা করতে পারেননি। নিজের নাম, ঠিকানা বা কোনো কিছু দেখে একটু লিখতে পারেন। বইয়ের প্রচ্ছদের লেখাটা লিখতেও অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে নিজে পড়াশোনা না করলেও কষ্ট করে দুই মেয়েকে পড়াচ্ছেন। এক মেয়ে কলেজে, আরেক মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে।

নিজের ছবি দেখে নিজের লেখা লেখা গল্প শনাক্ত করে দিচ্ছেন আশুতোষ চক্রবর্তী। ছবি: মানসুরা হোসাইন

বই নিয়ে ঢাকায় যে বইমেলার আয়োজন হয় এবং সেখানে বই বিক্রিও হয়, তা বিশ্বাস করতে পারেন না আশুতোষ ও জয়নাল। গত শনিবার এই দুজন অমর একুশে বইমেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন। তবে মোড়ক উন্মোচন বা মেলার অন্যান্য কর্মকাণ্ড তেমন একটা বুঝতে পারেননি তাঁরা। দুজনেরই দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। বইমেলার বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণা করা হচ্ছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে তাঁরা অনুরোধ করেন, বিদেশে থাকা তাঁদের ছেলেদের কাছে যদি ছবি ও ভিডিও পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, তাহলে ছেলেরা খুশি হতেন।

গত রোববার বিকেলে আশুতোষ চক্রবর্তী ও জয়নাল উদ্দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আসেন। দুজনের হাতেই নিজেদের লেখা দুটি বই। মুখে গর্বের হাসি। বইয়ে কার লেখা কোনটি, তা জানতে চাইলে দুজনই পাতা ওলটাতে থাকেন। নিজেদের ছবি না দেখলে তাঁদের বোঝার উপায় নেই, কোনটি কার লেখা। বইয়ের প্রথম গল্পটিই জয়নাল উদ্দিনের, তাই তাঁর পরিশ্রম একটু কম হলো। তবে আশুতোষ চক্রবর্তীকে নিজের ছবিটি বের করতে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক মাহবুবুর রহমানের সহযোগিতা নিতে হলো। তারপরই দুজনের চোখেমুখে যেন বিশ্বজয়ের হাসি ফুটে উঠল।

লেখকেরা প্রথম আলোর প্রতিবেদককে নিজেদের লেখা বই উপহার দিয়ে টিপসই দেন। ছবি: মানসুরা হোসাইন

দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা করতে না পারা আশুতোষ ও জয়নাল বলেন, নিরক্ষর বলে সব সময় তাঁরা অন্যদের কাছে হেয় হয়েছেন। অথচ বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের (সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাছ থেকে বারবার নামটা জেনে নিচ্ছিলেন) জন্য তাঁরা এখন সম্মান পাচ্ছেন। নামের আগে ‘লেখক’ যুক্ত হয়েছে। এতে তাঁরা খুব খুশি।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, বইয়ের সব খরচ বিদ্যানন্দ বহন করলেও লাভের শতভাগ তুলে দেওয়া হবে নতুন এই গল্পকারদের হাতে।

কিশোর কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষিত মানুষের হাতের কলমে চিত্রায়িত হয় নিরক্ষর মানুষের জীবন, অনেকটা অন্ধকারে থেকে যায় তাদের সত্যিকারের অনুভূতি। নিরক্ষর মানুষগুলো সমাজ ও অন্যদের কীভাবে দেখে, তা দলিল করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা লিখতে পারেন না, তাঁদের রচনা শিক্ষিত মানুষ পড়বে—এটাই আমাদের কাছে বিস্ময়।’ বইটির দাম ১৫০ টাকা। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে নিরক্ষর শহীদদের, যাঁরা বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।

শিক্ষিত মানুষের হাতের কলমে চিত্রায়িত হয় নিরক্ষর মানুষের জীবন, অনেকটা অন্ধকারে থেকে যায় তাদের সত্যিকারের অনুভূতি। নিরক্ষর মানুষগুলো সমাজ ও অন্যদের কীভাবে দেখে, তা দলিল করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কিশোর কুমার দাস, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

ঢাকা ও বইমেলার দৃশ্য দেখে আশুতোষ ও জয়নালের চোখেমুখে বিস্ময়। পড়াশোনা না করা নিয়ে আগে তেমন কোনো আফসোস না হলেও বই হাতে পাওয়ার পর থেকে এই আফসোস আর যাচ্ছে না। নিজের গল্প নিজেরাই পড়তে পারছেন না। ছেলেমেয়েদেরও পড়াশোনা করাননি। তবে দুজনের নাতি-নাতনিরা স্কুলে পড়াশোনা করছে। বাড়ি ফিরে তাদের দিয়েই বইটি পড়াতে চান, তাদের মুখেই তাঁরা শুনবেন নিজেদের গল্প।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জনসংযোগপ্রধান সালমান খান ইয়াছিন প্রথম আলোকে বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা দেশের আনাচকানাচে গিয়ে নিরক্ষর মানুষদের গল্প সংগ্রহ করেছেন। গল্পকারেরা সত্য ঘটনা অবলম্বনে মুখে গল্পগুলো বলেছেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা তা মুঠোফোনে রেকর্ড করে এনে পরে তা শুনে শুনে লিখেছেন। সেখান থেকে বাছাই করা গল্পগুলো নিয়ে বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি অনুলিখনে ছিলেন বিদ্যানন্দের লেখক ও স্বেচ্ছাসেবক ফারুক আহমেদ, মিজানুর রহমান, ওমর ফারুক ও মোবারক হোসেন।

বইয়ের প্রথম গল্পটিই জয়নাল উদ্দিনের। ছবি: মানসুরা হোসাইন

অমর একুশে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৫০ নম্বর ও বাংলা একাডেমি চত্বরে ৮০৯ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রংপুরে চলমান বইমেলায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্টলের পাশাপাশি রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে বইটি।

লেখক তালিকায় কৃষিশ্রমিক-জেলে-কাঠুরেসহ নানা পেশার মানুষ

বর্গা নেওয়া জমিতে কৃষিকাজ করা ৬৫ বছর বয়সী জয়নাল উদ্দিনের গল্পের শিরোনাম ‘একটি রাইফেল ও তিনজন যুবক’। আর ৭৫ বা ৮০ বছর বয়সী কাঠুরে ও কৃষিকাজ করা আশুতোষ চক্রবর্তীর গল্পের নাম ‘মজু চোর’। বইটির অন্য লেখকদের গল্পগুলো হচ্ছে—পেশায় জেলে ও মাঝি মাইনুদ্দিন মাঝির ‘মধ্য রাতের আগন্তুক’, ৮০ বছর বয়সী দিনমজুর রুহুল আমিনের ‘স্বর্ণ লোভ’, চরে কাপড়ের দোকান চালিয়ে জীবনসংগ্রামে টিকে থাকা জাকির পাটোয়ারির ‘খেজুর গাছের আশ্রয়’, কুলির কাজ করা সিরাজুল ইসলামের ‘বংশের বিষ’, পিঠা বিক্রি করা স্বামী-স্ত্রী মোমেনা বিবি ও শহিদুল শিকদারের ‘যুগলবন্দী’, দিনমজুর মোসলেম হাওলাদারের ‘ঝড় কিংবা হারানোর গল্প’, জেলে নরেন মণ্ডলের ‘মহিষ শিকার’, ট্রলারে মাছ ধরা বিধান হাওলাদারের ‘কচ্ছপ’, শরবত বিক্রেতা জাকির হোসেনের ‘আইলা’ এবং চায়ের দোকানদার করিম উল্লাহর ‘ভূতের কুণ্ডলী’।

বইমেলায় অক্ষর না–চেনা আশুতোষ-জয়নালদের বই

মানসুরা হোসাইন

নিজেদের লেখা বই হাতে নিয়ে হাসিমুখে আশুতোষ চক্রবর্তী ও জয়নাল উদ্দিন। প্রথম আলো কার্যালয়ে। ছবি: জাহিদুল করিম

বইটির প্রচ্ছদে আঙুলের ছাপ দিয়েছেন রিকশাচালক সেলিম ভূঁইয়া আর নামলিপি ‘নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ’ লেখাটি লিখেছেন ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করা এমতাজুল হক।

এমতাজুল হক প্রথম আলোকে বললেন, অভাবের কারণে তিনি পড়াশোনা করতে পারেননি। নিজের নাম, ঠিকানা বা কোনো কিছু দেখে একটু লিখতে পারেন। বইয়ের প্রচ্ছদের লেখাটা লিখতেও অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে নিজে পড়াশোনা না করলেও কষ্ট করে দুই মেয়েকে পড়াচ্ছেন। এক মেয়ে কলেজে, আরেক মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে।

নিজের ছবি দেখে নিজের লেখা লেখা গল্প শনাক্ত করে দিচ্ছেন আশুতোষ চক্রবর্তী। ছবি: মানসুরা হোসাইন

বই নিয়ে ঢাকায় যে বইমেলার আয়োজন হয় এবং সেখানে বই বিক্রিও হয়, তা বিশ্বাস করতে পারেন না আশুতোষ ও জয়নাল। গত শনিবার এই দুজন অমর একুশে বইমেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন। তবে মোড়ক উন্মোচন বা মেলার অন্যান্য কর্মকাণ্ড তেমন একটা বুঝতে পারেননি তাঁরা। দুজনেরই দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। বইমেলার বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণা করা হচ্ছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে তাঁরা অনুরোধ করেন, বিদেশে থাকা তাঁদের ছেলেদের কাছে যদি ছবি ও ভিডিও পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, তাহলে ছেলেরা খুশি হতেন।

গত রোববার বিকেলে আশুতোষ চক্রবর্তী ও জয়নাল উদ্দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আসেন। দুজনের হাতেই নিজেদের লেখা দুটি বই। মুখে গর্বের হাসি। বইয়ে কার লেখা কোনটি, তা জানতে চাইলে দুজনই পাতা ওলটাতে থাকেন। নিজেদের ছবি না দেখলে তাঁদের বোঝার উপায় নেই, কোনটি কার লেখা। বইয়ের প্রথম গল্পটিই জয়নাল উদ্দিনের, তাই তাঁর পরিশ্রম একটু কম হলো। তবে আশুতোষ চক্রবর্তীকে নিজের ছবিটি বের করতে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক মাহবুবুর রহমানের সহযোগিতা নিতে হলো। তারপরই দুজনের চোখেমুখে যেন বিশ্বজয়ের হাসি ফুটে উঠল।

লেখকেরা প্রথম আলোর প্রতিবেদককে নিজেদের লেখা বই উপহার দিয়ে টিপসই দেন। ছবি: মানসুরা হোসাইন

দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা করতে না পারা আশুতোষ ও জয়নাল বলেন, নিরক্ষর বলে সব সময় তাঁরা অন্যদের কাছে হেয় হয়েছেন। অথচ বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের (সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাছ থেকে বারবার নামটা জেনে নিচ্ছিলেন) জন্য তাঁরা এখন সম্মান পাচ্ছেন। নামের আগে ‘লেখক’ যুক্ত হয়েছে। এতে তাঁরা খুব খুশি।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, বইয়ের সব খরচ বিদ্যানন্দ বহন করলেও লাভের শতভাগ তুলে দেওয়া হবে নতুন এই গল্পকারদের হাতে।

কিশোর কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষিত মানুষের হাতের কলমে চিত্রায়িত হয় নিরক্ষর মানুষের জীবন, অনেকটা অন্ধকারে থেকে যায় তাদের সত্যিকারের অনুভূতি। নিরক্ষর মানুষগুলো সমাজ ও অন্যদের কীভাবে দেখে, তা দলিল করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা লিখতে পারেন না, তাঁদের রচনা শিক্ষিত মানুষ পড়বে—এটাই আমাদের কাছে বিস্ময়।’ বইটির দাম ১৫০ টাকা। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে নিরক্ষর শহীদদের, যাঁরা বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।

শিক্ষিত মানুষের হাতের কলমে চিত্রায়িত হয় নিরক্ষর মানুষের জীবন, অনেকটা অন্ধকারে থেকে যায় তাদের সত্যিকারের অনুভূতি। নিরক্ষর মানুষগুলো সমাজ ও অন্যদের কীভাবে দেখে, তা দলিল করে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কিশোর কুমার দাস, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

ঢাকা ও বইমেলার দৃশ্য দেখে আশুতোষ ও জয়নালের চোখেমুখে বিস্ময়। পড়াশোনা না করা নিয়ে আগে তেমন কোনো আফসোস না হলেও বই হাতে পাওয়ার পর থেকে এই আফসোস আর যাচ্ছে না। নিজের গল্প নিজেরাই পড়তে পারছেন না। ছেলেমেয়েদেরও পড়াশোনা করাননি। তবে দুজনের নাতি-নাতনিরা স্কুলে পড়াশোনা করছে। বাড়ি ফিরে তাদের দিয়েই বইটি পড়াতে চান, তাদের মুখেই তাঁরা শুনবেন নিজেদের গল্প।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জনসংযোগপ্রধান সালমান খান ইয়াছিন প্রথম আলোকে বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা দেশের আনাচকানাচে গিয়ে নিরক্ষর মানুষদের গল্প সংগ্রহ করেছেন। গল্পকারেরা সত্য ঘটনা অবলম্বনে মুখে গল্পগুলো বলেছেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা তা মুঠোফোনে রেকর্ড করে এনে পরে তা শুনে শুনে লিখেছেন। সেখান থেকে বাছাই করা গল্পগুলো নিয়ে বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি অনুলিখনে ছিলেন বিদ্যানন্দের লেখক ও স্বেচ্ছাসেবক ফারুক আহমেদ, মিজানুর রহমান, ওমর ফারুক ও মোবারক হোসেন।

বইয়ের প্রথম গল্পটিই জয়নাল উদ্দিনের। ছবি: মানসুরা হোসাইন

অমর একুশে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৫০ নম্বর ও বাংলা একাডেমি চত্বরে ৮০৯ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রংপুরে চলমান বইমেলায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্টলের পাশাপাশি রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে বইটি।

লেখক তালিকায় কৃষিশ্রমিক-জেলে-কাঠুরেসহ নানা পেশার মানুষ

বর্গা নেওয়া জমিতে কৃষিকাজ করা ৬৫ বছর বয়সী জয়নাল উদ্দিনের গল্পের শিরোনাম ‘একটি রাইফেল ও তিনজন যুবক’। আর ৭৫ বা ৮০ বছর বয়সী কাঠুরে ও কৃষিকাজ করা আশুতোষ চক্রবর্তীর গল্পের নাম ‘মজু চোর’। বইটির অন্য লেখকদের গল্পগুলো হচ্ছে—পেশায় জেলে ও মাঝি মাইনুদ্দিন মাঝির ‘মধ্য রাতের আগন্তুক’, ৮০ বছর বয়সী দিনমজুর রুহুল আমিনের ‘স্বর্ণ লোভ’, চরে কাপড়ের দোকান চালিয়ে জীবনসংগ্রামে টিকে থাকা জাকির পাটোয়ারির ‘খেজুর গাছের আশ্রয়’, কুলির কাজ করা সিরাজুল ইসলামের ‘বংশের বিষ’, পিঠা বিক্রি করা স্বামী-স্ত্রী মোমেনা বিবি ও শহিদুল শিকদারের ‘যুগলবন্দী’, দিনমজুর মোসলেম হাওলাদারের ‘ঝড় কিংবা হারানোর গল্প’, জেলে নরেন মণ্ডলের ‘মহিষ শিকার’, ট্রলারে মাছ ধরা বিধান হাওলাদারের ‘কচ্ছপ’, শরবত বিক্রেতা জাকির হোসেনের ‘আইলা’ এবং চায়ের দোকানদার করিম উল্লাহর ‘ভূতের কুণ্ডলী’।