বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের শূন্যপদে পদপ্রত্যাশীদের তদবির

বরিশালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড।ছবি : কালবেলা

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটি প্রায় তিন মাস থেকে শূন্য পড়ে আছে। বোর্ডের সচিব আ ফ ম বাহারুল আলম বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস অবসরে যান। এরপর নতুন কোনো চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বোর্ডের সচিব বাহারুল আলমকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

পদটি শূন্য হবার আগ থেকেই বরিশাল বিভাগের প্রায় ১০-১২ জন পদপ্রার্থী তদবির শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অথবা সমমানের পদে কর্মরত। চেয়ারম্যান হতে বরিশালের এই অধ্যাপকদের তদবির চলছে মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের মাধ্যমেও।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি ও স্কুল সিলেবাসের পরীক্ষা এবং অতিরিক্ত পদপ্রার্থী চাপের কারণে শিগগিরই এই বোর্ডে চেয়ারম্যান দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এ মুহূর্তে তদবিরে রয়েছেন—মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সরকারি বি এম কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদ, ঝালকাঠি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, সরকারি বি এম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া, সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন, মডেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এহতেসামুল হকসহ আরও কয়েকজন।

এদের মধ্যে দুজন অধ্যাপকের জন্য ক্ষমতাসীন দলের দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ দুই নেতা জোর তদবির করছেন। তাদের জন্য আমলাদের তদবিরও জোরালো। অন্য একজন অধ্যাপকের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ বেশ তৎপর। দেশের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশীর্বাদও রয়েছে অপর এক অধ্যাপকের পক্ষে।

কে হতে পারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, এ প্রশ্নের উত্তরে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বলেন, ‘আমি শুনেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরিশাল থেকে ১২ জনের নামে সুপারিশ গেছে। এর মধ্যে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজসহ আরও অনেক কলেজের প্রিন্সিপালের নামের তালিকা গেছে শুনেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই শিক্ষাবোর্ডে আমি সচিব হিসেবেও যেহেতু কর্মরত আছি তাই আমার চেয়ারম্যান পদে আবেদন করার সুযোগ নেই, তবে সরকার যদি চায় আমাকে রাখতে পারে।’

বাহারুল আলম আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি হলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে আছি। গত ২৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিতে সক্ষম হয়েছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো কাজই থেমে নেই।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জানালেন, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়ে খুব শিগগিরই সুন্দর সমাধান পাবেন বরিশালবাসী। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও আসছে নতুন চমক।

বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের শূন্যপদে পদপ্রত্যাশীদের তদবির

বরিশালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড।ছবি : কালবেলা

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটি প্রায় তিন মাস থেকে শূন্য পড়ে আছে। বোর্ডের সচিব আ ফ ম বাহারুল আলম বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস অবসরে যান। এরপর নতুন কোনো চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বোর্ডের সচিব বাহারুল আলমকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

পদটি শূন্য হবার আগ থেকেই বরিশাল বিভাগের প্রায় ১০-১২ জন পদপ্রার্থী তদবির শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অথবা সমমানের পদে কর্মরত। চেয়ারম্যান হতে বরিশালের এই অধ্যাপকদের তদবির চলছে মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের মাধ্যমেও।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি ও স্কুল সিলেবাসের পরীক্ষা এবং অতিরিক্ত পদপ্রার্থী চাপের কারণে শিগগিরই এই বোর্ডে চেয়ারম্যান দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এ মুহূর্তে তদবিরে রয়েছেন—মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সরকারি বি এম কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদ, ঝালকাঠি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, সরকারি বি এম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া, সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন, মডেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এহতেসামুল হকসহ আরও কয়েকজন।

এদের মধ্যে দুজন অধ্যাপকের জন্য ক্ষমতাসীন দলের দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ দুই নেতা জোর তদবির করছেন। তাদের জন্য আমলাদের তদবিরও জোরালো। অন্য একজন অধ্যাপকের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ বেশ তৎপর। দেশের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশীর্বাদও রয়েছে অপর এক অধ্যাপকের পক্ষে।

কে হতে পারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, এ প্রশ্নের উত্তরে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বলেন, ‘আমি শুনেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরিশাল থেকে ১২ জনের নামে সুপারিশ গেছে। এর মধ্যে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজসহ আরও অনেক কলেজের প্রিন্সিপালের নামের তালিকা গেছে শুনেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই শিক্ষাবোর্ডে আমি সচিব হিসেবেও যেহেতু কর্মরত আছি তাই আমার চেয়ারম্যান পদে আবেদন করার সুযোগ নেই, তবে সরকার যদি চায় আমাকে রাখতে পারে।’

বাহারুল আলম আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি হলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে আছি। গত ২৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিতে সক্ষম হয়েছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো কাজই থেমে নেই।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জানালেন, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়ে খুব শিগগিরই সুন্দর সমাধান পাবেন বরিশালবাসী। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও আসছে নতুন চমক।