বর্জ্য পোড়ানোর নামে পুড়ল সবুজ গাছ

ফরহাদ খাদেম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বর্জ্য পোড়ানোর নামে পুড়ানো হয়েছে সবুজ গাছ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২০টিরও অধিক গাছ পুড়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হলের সামনে পুকুরের ধারে বর্জ্য পুড়ানোর জন্য আগুন লাগায় হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সত্য রায়। আগুন লাগিয়ে তিনি সেখান থেকে চলে আসে। পরবর্তীতে বাতাসের সাথে সেই আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরে। এসময় রাস্তার ধারে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো দেবদারু, লেবু ও অন্যান্য গাছ মিলে ২০ টিরও অধিক গাছ পুড়ে যায়।

কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের। তারা বলেন, গাছ আমাদের ফল, ফুল ও ছায়া দিয়ে সহযোগিতা করে। তাছাড়া এই গাছগুলি আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি করে৷ কিন্তু এই গাছগুলি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে পুড়ে গেছে। আমরা চাই সামনে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।

এ ব্যাপারে হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সত্য রায় বলেন, আমি বর্জ্য পুড়ানোর জন্য পুকুরের ধারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে বাতাসে সে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। এটা অসাবধানতার কারনে হয়েছে। পরবর্তীতে আর এমন হবে না।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর প্রতিটি গাছের গোঁড়ায় পানি দিতে বলেছি। পানি দেওয়ার কাজ চলমান। টানা তিনদিন গাছের গোঁড়ায় পানি দেওয়ার পর যদি গাছগুলো বাঁচানো সম্ভব না হয় তাহলে একই জায়গায় নতুন করে গাছ লাগানো হবে।

ইবিহো/এসএস

বর্জ্য পোড়ানোর নামে পুড়ল সবুজ গাছ

ফরহাদ খাদেম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বর্জ্য পোড়ানোর নামে পুড়ানো হয়েছে সবুজ গাছ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২০টিরও অধিক গাছ পুড়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হলের সামনে পুকুরের ধারে বর্জ্য পুড়ানোর জন্য আগুন লাগায় হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সত্য রায়। আগুন লাগিয়ে তিনি সেখান থেকে চলে আসে। পরবর্তীতে বাতাসের সাথে সেই আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরে। এসময় রাস্তার ধারে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো দেবদারু, লেবু ও অন্যান্য গাছ মিলে ২০ টিরও অধিক গাছ পুড়ে যায়।

কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের। তারা বলেন, গাছ আমাদের ফল, ফুল ও ছায়া দিয়ে সহযোগিতা করে। তাছাড়া এই গাছগুলি আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি করে৷ কিন্তু এই গাছগুলি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে পুড়ে গেছে। আমরা চাই সামনে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।

এ ব্যাপারে হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সত্য রায় বলেন, আমি বর্জ্য পুড়ানোর জন্য পুকুরের ধারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে বাতাসে সে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। এটা অসাবধানতার কারনে হয়েছে। পরবর্তীতে আর এমন হবে না।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর প্রতিটি গাছের গোঁড়ায় পানি দিতে বলেছি। পানি দেওয়ার কাজ চলমান। টানা তিনদিন গাছের গোঁড়ায় পানি দেওয়ার পর যদি গাছগুলো বাঁচানো সম্ভব না হয় তাহলে একই জায়গায় নতুন করে গাছ লাগানো হবে।

ইবিহো/এসএস