বানভাসি মানুষের পাশে ইবি শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম

দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত তিনটায় ক্যাম্পাসের ২টি বাসযোগে নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাত্রা করেছে তারা। এসময় তারা প্রায় ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের সামগ্রী নিয়ে যাত্রা করে।

জানা যায়, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গত কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড কালেকশন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ক্যাম্পাসের আশেপাশের গ্রাম ও মসজিদ থেকে ফান্ড কালেকশন করেন তারা। তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রমে অংশ নেয়।

ফান্ড কালেকশন শেষে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র ১১৬ নম্বর কক্ষে প্যাকেটিংয়ের কাজ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। টানা তিন দিনের প্যাকেটিং কার্যক্রম শেষে বুধবার রাত তিনটায় বন্যার্ত সহস্রাধিক পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রওনা হয় শিক্ষার্থীরা।

তারা শুকনা খাবার, শিশুর খাবার, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন, প্রাথমিক ঔষধ, নারীদের জন্য স্যানিটারি প্যাড ও পুরাতন জামা কাপড় নিয়ে যাত্রা করেন। এছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনের কাজেও সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বন্যার্তদের সহযোগীতার করার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা বিগত কয়েকদিন ধরে দিন-রাত পরিশ্রম করেছে৷ তারা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড কালেকশন করেছে। এছাড়া স্থানীয় লোকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের কাছে সহযোগিতা পাঠিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি বন্যার্ত পরিবারের জন্য জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। এরপর বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনের জন্যেও আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাযথ চেষ্টা করবো।

ইবিহো/এসএস

বানভাসি মানুষের পাশে ইবি শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ খাদেম

দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত তিনটায় ক্যাম্পাসের ২টি বাসযোগে নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাত্রা করেছে তারা। এসময় তারা প্রায় ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের সামগ্রী নিয়ে যাত্রা করে।

জানা যায়, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গত কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড কালেকশন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ক্যাম্পাসের আশেপাশের গ্রাম ও মসজিদ থেকে ফান্ড কালেকশন করেন তারা। তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রমে অংশ নেয়।

ফান্ড কালেকশন শেষে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র ১১৬ নম্বর কক্ষে প্যাকেটিংয়ের কাজ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। টানা তিন দিনের প্যাকেটিং কার্যক্রম শেষে বুধবার রাত তিনটায় বন্যার্ত সহস্রাধিক পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রওনা হয় শিক্ষার্থীরা।

তারা শুকনা খাবার, শিশুর খাবার, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন, প্রাথমিক ঔষধ, নারীদের জন্য স্যানিটারি প্যাড ও পুরাতন জামা কাপড় নিয়ে যাত্রা করেন। এছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনের কাজেও সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বন্যার্তদের সহযোগীতার করার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা বিগত কয়েকদিন ধরে দিন-রাত পরিশ্রম করেছে৷ তারা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড কালেকশন করেছে। এছাড়া স্থানীয় লোকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের কাছে সহযোগিতা পাঠিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি বন্যার্ত পরিবারের জন্য জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। এরপর বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনের জন্যেও আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাযথ চেষ্টা করবো।

ইবিহো/এসএস