বিদেশে উচ্চশিক্ষা: কখন, কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন

ফয়সাল বিন আশরাফ

বিদেশে পড়তে গেলে কখন প্রস্তুতি নিতে হবে? স্নাতক শেষ বর্ষ থেকেই কি প্রস্তুতি নেব? নাকি আরও আগে নেওয়া উচিত? এমন প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। এ ছাড়া কারও কারও সিজিপিএ হয়তো কম কিন্তু বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাঁরা কী করবেন? আর বিদেশে পড়তে গেলে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ সবকিছু নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। চলুন, পরামর্শ ও সতর্কতাগুলো দেখে নিই।

পরামর্শ

  • তাড়াতাড়ি শুরু করুন। আপনি যদি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামগুলো অন্বেষণ শুরু করুন।
  • আপনি যদি এখন একজন স্নাতক ছাত্র হন, তাহলে একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমগুলোতে ফোকাস করুন, যাতে আপনি আবেদন করার সময় আপনার একটি সম্পূর্ণ প্রোফাইল থাকে।
  • প্রয়োজন না হলেও প্রফেসরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন প্রফেসরকে তাঁর ল্যাবে আপনাকে নিয়ে যেতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে আপনার ভর্তির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। যদিও এটি একটি দীর্ঘ এবং কঠোর প্রক্রিয়া হয়, এটি আপনার ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য সেরা উপায়; বিশেষ করে যদি আপনার সিজিপিএ একটু কম হয়। আপনি আপনার গবেষণার ক্ষমতা এবং আগ্রহ দিয়ে প্রফেসরকে কনভিন্স করতে পারেন।
  • আপনার পুরো পরিকল্পনা এবং ডেডলাইন লিখুন। এটি মেইনটেইন এবং আপডেট করুন। এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত রাখবে এবং কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা বুঝতে সাহায্য করবে। আপনি এর জন্য এক্সেলশিট ব্যবহার করতে পারেন।
  • ব্যাপকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রাম অনুসন্ধান করুন। কারণ, এখানে বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং আপনি জানেন না, কোন বিশ্ববিদ্যালয় কী সুযোগ দিচ্ছে যতক্ষণ না আপনি তাদের ওয়েব পৃষ্ঠাটি পড়ছেন। আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন, যেখানে লোকেরা হায়ার স্টাডির সুযোগগুলো পোস্ট করে।

সতর্কতা

উচ্চশিক্ষা অভিবাসী বিদেশে বসবাসের মাধ্যম নয়। কোর্সওয়ার্ক এবং রিসার্চের ব্যাপারে আপনাকে সিরিয়াস হতে হবে। আপনি একটি গ্রহণযোগ্য সিজিপিএ বজায় না রাখলে, আপনার ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনি যদি গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহী হন, তবেই আপনার এ পথটি অন্বেষণ করা উচিত।

“অ্যাডমিশন প্রসেস এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা সহজ নয়। এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা। বিষণ্নতা, হতাশা আসতে পারে। এটা খুবই সাধারণ। কিন্তু যাত্রা শেষে আপনি যে ফলাফল পাবেন তা সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত। তাই ধৈর্য রাখা আবশ্যক।”

অ্যাডমিশন প্রসেস এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা সহজ নয়। এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা। বিষণ্নতা, হতাশা আসতে পারে। এটা খুবই সাধারণ। কিন্তু যাত্রা শেষে আপনি যে ফলাফল পাবেন তা সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত। তাই ধৈর্য রাখা আবশ্যক। প্রয়োজনে এই অপেক্ষার সময়টুকু নিজেকে ক্রিয়েটিভ কিংবা প্রোডাকটিভ কোনো কাজে ব্যস্ত রাখুন। এ অভ্যাসটি আপনাকে আরও বেশি সাহায্য করবে যখন আপনি আপনার উচ্চশিক্ষা শুরু করবেন।

লেখক: পিএইচডি ফেলো ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইড।

অনুলিখন: জাহিদুল ইসলাম

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: কখন, কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন

ফয়সাল বিন আশরাফ

বিদেশে পড়তে গেলে কখন প্রস্তুতি নিতে হবে? স্নাতক শেষ বর্ষ থেকেই কি প্রস্তুতি নেব? নাকি আরও আগে নেওয়া উচিত? এমন প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। এ ছাড়া কারও কারও সিজিপিএ হয়তো কম কিন্তু বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাঁরা কী করবেন? আর বিদেশে পড়তে গেলে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ সবকিছু নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। চলুন, পরামর্শ ও সতর্কতাগুলো দেখে নিই।

পরামর্শ

  • তাড়াতাড়ি শুরু করুন। আপনি যদি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামগুলো অন্বেষণ শুরু করুন।
  • আপনি যদি এখন একজন স্নাতক ছাত্র হন, তাহলে একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমগুলোতে ফোকাস করুন, যাতে আপনি আবেদন করার সময় আপনার একটি সম্পূর্ণ প্রোফাইল থাকে।
  • প্রয়োজন না হলেও প্রফেসরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন প্রফেসরকে তাঁর ল্যাবে আপনাকে নিয়ে যেতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে আপনার ভর্তির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। যদিও এটি একটি দীর্ঘ এবং কঠোর প্রক্রিয়া হয়, এটি আপনার ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য সেরা উপায়; বিশেষ করে যদি আপনার সিজিপিএ একটু কম হয়। আপনি আপনার গবেষণার ক্ষমতা এবং আগ্রহ দিয়ে প্রফেসরকে কনভিন্স করতে পারেন।
  • আপনার পুরো পরিকল্পনা এবং ডেডলাইন লিখুন। এটি মেইনটেইন এবং আপডেট করুন। এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত রাখবে এবং কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা বুঝতে সাহায্য করবে। আপনি এর জন্য এক্সেলশিট ব্যবহার করতে পারেন।
  • ব্যাপকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রাম অনুসন্ধান করুন। কারণ, এখানে বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং আপনি জানেন না, কোন বিশ্ববিদ্যালয় কী সুযোগ দিচ্ছে যতক্ষণ না আপনি তাদের ওয়েব পৃষ্ঠাটি পড়ছেন। আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন, যেখানে লোকেরা হায়ার স্টাডির সুযোগগুলো পোস্ট করে।

সতর্কতা

উচ্চশিক্ষা অভিবাসী বিদেশে বসবাসের মাধ্যম নয়। কোর্সওয়ার্ক এবং রিসার্চের ব্যাপারে আপনাকে সিরিয়াস হতে হবে। আপনি একটি গ্রহণযোগ্য সিজিপিএ বজায় না রাখলে, আপনার ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনি যদি গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহী হন, তবেই আপনার এ পথটি অন্বেষণ করা উচিত।

“অ্যাডমিশন প্রসেস এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা সহজ নয়। এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা। বিষণ্নতা, হতাশা আসতে পারে। এটা খুবই সাধারণ। কিন্তু যাত্রা শেষে আপনি যে ফলাফল পাবেন তা সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত। তাই ধৈর্য রাখা আবশ্যক।”

অ্যাডমিশন প্রসেস এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা সহজ নয়। এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা। বিষণ্নতা, হতাশা আসতে পারে। এটা খুবই সাধারণ। কিন্তু যাত্রা শেষে আপনি যে ফলাফল পাবেন তা সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত। তাই ধৈর্য রাখা আবশ্যক। প্রয়োজনে এই অপেক্ষার সময়টুকু নিজেকে ক্রিয়েটিভ কিংবা প্রোডাকটিভ কোনো কাজে ব্যস্ত রাখুন। এ অভ্যাসটি আপনাকে আরও বেশি সাহায্য করবে যখন আপনি আপনার উচ্চশিক্ষা শুরু করবেন।

লেখক: পিএইচডি ফেলো ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইড।

অনুলিখন: জাহিদুল ইসলাম