বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: গুচ্ছের গ্যাঁড়াকলে গচ্চা অর্ধেক বছর

লেখা:রাহাত মিনহাজ

কিন্তু কেন এই সময়ক্ষেপণ? কেন এত দেরি? কেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সময়ের অপচয়? এর কোনো সদুত্তর কারও জানা নেই। ছবি : প্রথম আলো

অভিভাবকের এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল না। হাসিমুখে পাশ কাটাতে বললাম, তাড়াতাড়িই শুরু হবে। তবে এখন প্রথম প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক নিশ্চিত করেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগগুলোয় এখনো ৩৫২টি আসন খালি আছে। ১৪ জানুয়ারি দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে আসন শূন্য আছে ৪৪টি। এরপর আছে ইসলামি স্টাডিজ বিভাগ। শূন্য আসন ২৭টি। দফায় দফায় মেধাতালিকার ক্রম পিছিয়েও শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বিভাগগুলো। আমার বিভাগ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় আসন খালি সাতটি।

গুচ্ছ পদ্ধতিকে পরিহার করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিও আবেদন শুরু হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। আর এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগের বছরের অর্থাৎ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে আগামী মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। তাহলে গুচ্ছ পদ্ধতির নীতিনির্ধারকেরা কবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেবেন? কবে নতুন আরও একটি ব্যাচ ভর্তি হবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে অবস্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবস্থা হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান কতটা করুণ, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বাকি ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু হতে যে আরও দুই থেকে তিন মাস লেগে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার পর ক্লাসে বসতে সময়ে লাগছে আট থেকে নয় মাস। এরপর আছে মাইগ্রেশনের অত্যাচার। প্রতিবছর প্রথম সেমিস্টারে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী অন্য বিভাগে চলে যান। অনেকেই আবার মাইগ্রেশন করে বিভাগে আসেন অর্ধেক ক্লাস শেষ হওয়ার পর। গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এই সমস্যা চরমভাবে ভোগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় ভয়াবহ ধীরগতি ক্ষুব্ধ করছে শিক্ষকদেরও।

আরও পড়ুন

পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে ডারউইনের তত্ত্ব!

সবারই জানা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শুরু হওয়া নতুন এই পদ্ধতিতে আসেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে গুচ্ছে আস্থা রাখেনি জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট। এমনকি ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসও (বিইউপি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরু হয়েছে চার থেকে পাঁচ মাস আগে। গুচ্ছের তুলনায় একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যেই প্রথম সেমিস্টার শেষ করে ফেলেছেন। তাঁদের অনেকেই এখন প্রথম সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছেন অথবা চলতি মাসেই পরীক্ষায় বসবেন।

যত দূর জানি, চলতি মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম সেমিস্টারের চুড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান ও ব্যবসা অনুষদের বিভাগগুলো নিশ্চিতভাবেই আরও এগিয়ে। জানিয়ে রাখা ভালো, হিসাবের বাইরে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেমিস্টার শুরু হয় আরও আগে। এমনকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েটেরও আগে। দ্রুত স্নাতক শেষ হবে—এই প্রলোভনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিযোগিতা মূলকভাবে যথাসম্ভব দ্রুত সেশন শুরু করে থাকে।

কিন্তু কেন এই সময়ক্ষেপণ? কেন এত দেরি? কেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সময়ের অপচয়? এর কোনো সদুত্তর কারও জানা নেই। কেউ কোনো উত্তর দিতে পারেন না। আর যেহেতু একটি কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালিত হয়, সেহেতু সবাই ওই কমিটির ওপর দায় চাপিয়ে পিঠ বাঁচিয়ে চলেন। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। যত দূর জানি, পরীক্ষা নিতে অতি বিলম্ব, ভর্তিপ্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় এবং কাঙ্ক্ষিত মানের শিক্ষার্থী না পাওয়ায় এরই মধ্যেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে অবস্থান নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয়কে চিঠি দিয়েছে। এ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। হয়তো আগামী পরীক্ষার আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

গুচ্ছ পদ্ধতিকে পরিহার করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিও আবেদন শুরু হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। আর এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগের বছরের অর্থাৎ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে আগামী মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। তাহলে গুচ্ছ পদ্ধতির নীতিনির্ধারকেরা কবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেবেন? কবে নতুন আরও একটি ব্যাচ ভর্তি হবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।

ফিরে আসি শিক্ষার্থীদের কথায়, আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে এত সময় নষ্ট করায় শিক্ষার্থীদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো, তার জন্য কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। ক্ষমা চাইলে সবচেয়ে ভালো হতো, কিন্তু সেটা মনে হয় বাংলাদেশের বাস্তবতায় অসম্ভব।

  • রাহাত মিনহাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: গুচ্ছের গ্যাঁড়াকলে গচ্চা অর্ধেক বছর

লেখা:রাহাত মিনহাজ

কিন্তু কেন এই সময়ক্ষেপণ? কেন এত দেরি? কেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সময়ের অপচয়? এর কোনো সদুত্তর কারও জানা নেই। ছবি : প্রথম আলো

অভিভাবকের এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল না। হাসিমুখে পাশ কাটাতে বললাম, তাড়াতাড়িই শুরু হবে। তবে এখন প্রথম প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক নিশ্চিত করেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগগুলোয় এখনো ৩৫২টি আসন খালি আছে। ১৪ জানুয়ারি দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে আসন শূন্য আছে ৪৪টি। এরপর আছে ইসলামি স্টাডিজ বিভাগ। শূন্য আসন ২৭টি। দফায় দফায় মেধাতালিকার ক্রম পিছিয়েও শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বিভাগগুলো। আমার বিভাগ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় আসন খালি সাতটি।

গুচ্ছ পদ্ধতিকে পরিহার করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিও আবেদন শুরু হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। আর এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগের বছরের অর্থাৎ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে আগামী মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। তাহলে গুচ্ছ পদ্ধতির নীতিনির্ধারকেরা কবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেবেন? কবে নতুন আরও একটি ব্যাচ ভর্তি হবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে অবস্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবস্থা হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান কতটা করুণ, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বাকি ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু হতে যে আরও দুই থেকে তিন মাস লেগে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার পর ক্লাসে বসতে সময়ে লাগছে আট থেকে নয় মাস। এরপর আছে মাইগ্রেশনের অত্যাচার। প্রতিবছর প্রথম সেমিস্টারে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী অন্য বিভাগে চলে যান। অনেকেই আবার মাইগ্রেশন করে বিভাগে আসেন অর্ধেক ক্লাস শেষ হওয়ার পর। গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এই সমস্যা চরমভাবে ভোগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় ভয়াবহ ধীরগতি ক্ষুব্ধ করছে শিক্ষকদেরও।

আরও পড়ুন

পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে ডারউইনের তত্ত্ব!

সবারই জানা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শুরু হওয়া নতুন এই পদ্ধতিতে আসেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে গুচ্ছে আস্থা রাখেনি জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট। এমনকি ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসও (বিইউপি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরু হয়েছে চার থেকে পাঁচ মাস আগে। গুচ্ছের তুলনায় একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যেই প্রথম সেমিস্টার শেষ করে ফেলেছেন। তাঁদের অনেকেই এখন প্রথম সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছেন অথবা চলতি মাসেই পরীক্ষায় বসবেন।

যত দূর জানি, চলতি মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম সেমিস্টারের চুড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান ও ব্যবসা অনুষদের বিভাগগুলো নিশ্চিতভাবেই আরও এগিয়ে। জানিয়ে রাখা ভালো, হিসাবের বাইরে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেমিস্টার শুরু হয় আরও আগে। এমনকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েটেরও আগে। দ্রুত স্নাতক শেষ হবে—এই প্রলোভনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিযোগিতা মূলকভাবে যথাসম্ভব দ্রুত সেশন শুরু করে থাকে।

কিন্তু কেন এই সময়ক্ষেপণ? কেন এত দেরি? কেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সময়ের অপচয়? এর কোনো সদুত্তর কারও জানা নেই। কেউ কোনো উত্তর দিতে পারেন না। আর যেহেতু একটি কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালিত হয়, সেহেতু সবাই ওই কমিটির ওপর দায় চাপিয়ে পিঠ বাঁচিয়ে চলেন। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। যত দূর জানি, পরীক্ষা নিতে অতি বিলম্ব, ভর্তিপ্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় এবং কাঙ্ক্ষিত মানের শিক্ষার্থী না পাওয়ায় এরই মধ্যেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে অবস্থান নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয়কে চিঠি দিয়েছে। এ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। হয়তো আগামী পরীক্ষার আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

গুচ্ছ পদ্ধতিকে পরিহার করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিও আবেদন শুরু হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। আর এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগের বছরের অর্থাৎ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে আগামী মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। তাহলে গুচ্ছ পদ্ধতির নীতিনির্ধারকেরা কবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেবেন? কবে নতুন আরও একটি ব্যাচ ভর্তি হবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।

ফিরে আসি শিক্ষার্থীদের কথায়, আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে এত সময় নষ্ট করায় শিক্ষার্থীদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো, তার জন্য কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। ক্ষমা চাইলে সবচেয়ে ভালো হতো, কিন্তু সেটা মনে হয় বাংলাদেশের বাস্তবতায় অসম্ভব।

  • রাহাত মিনহাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।