মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে শিক্ষা বোর্ডের চিঠি

মাউশির কাছে চিঠি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার পর সেখানে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মাউশির কাছে যে চিঠি দিয়েছে তাতে বলা হয়, গত বছরের ২৩ মে থেকে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে পরিচালনা কমিটি নেই। কাকে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) প্রধান করে অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা আছে। অবশ্য কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পর।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চিঠির বিষয়ে করণীয় জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এখন এমপিও (বেতন–ভাতার সরকারি অংশ পাওয়া) তালিকা অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দ্রুত পরিচালনা কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

রাজধানীর মিরপুর এলাকার মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের নানা অনিয়ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, একটি গোষ্ঠী রাজধানীর অন্যতম বড় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ইচ্ছেমতো’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য মাউশির ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছিল।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি মূলত তিনটি অভিযোগ তদন্ত করেছে। প্রথম অভিযোগটি ছিল, পরিচালনা পর্ষদ নিয়ম ভেঙে ৬০ বছর বয়স হওয়ার পরও ফরহাদ হোসেনের (অধ্যক্ষ) চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে (চুক্তিতে)। এ নিয়োগ সঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখেছে কমিটি। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএসসি পাসের সনদ অনুসারে ২০২০ সালের ২ জুলাই ফরহাদ হোসেনের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে।

তাঁর নিয়োগের ক্ষেত্রে (চুক্তিতে) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ প্রযোজ্য হবে। যাতে কোনো প্রতিষ্ঠানপ্রধান, সহকারী প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীকে পুনর্নিয়োগ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য তাঁর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি বিধিসম্মত হয়নি।

এর আগে একই অভিযোগ তদন্ত করে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল মাউশির একটি তদন্ত কমিটি। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ফরহাদ হোসেনের প্রধান শিক্ষক থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ বিধিসম্মত নয়। এ জন্য নীতিমালা মেনে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও তা মানেনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে শিক্ষা বোর্ডের চিঠি

মাউশির কাছে চিঠি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার পর সেখানে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মাউশির কাছে যে চিঠি দিয়েছে তাতে বলা হয়, গত বছরের ২৩ মে থেকে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে পরিচালনা কমিটি নেই। কাকে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) প্রধান করে অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা আছে। অবশ্য কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পর।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চিঠির বিষয়ে করণীয় জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এখন এমপিও (বেতন–ভাতার সরকারি অংশ পাওয়া) তালিকা অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দ্রুত পরিচালনা কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

রাজধানীর মিরপুর এলাকার মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের নানা অনিয়ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, একটি গোষ্ঠী রাজধানীর অন্যতম বড় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ইচ্ছেমতো’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য মাউশির ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছিল।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি মূলত তিনটি অভিযোগ তদন্ত করেছে। প্রথম অভিযোগটি ছিল, পরিচালনা পর্ষদ নিয়ম ভেঙে ৬০ বছর বয়স হওয়ার পরও ফরহাদ হোসেনের (অধ্যক্ষ) চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে (চুক্তিতে)। এ নিয়োগ সঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখেছে কমিটি। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএসসি পাসের সনদ অনুসারে ২০২০ সালের ২ জুলাই ফরহাদ হোসেনের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে।

তাঁর নিয়োগের ক্ষেত্রে (চুক্তিতে) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ প্রযোজ্য হবে। যাতে কোনো প্রতিষ্ঠানপ্রধান, সহকারী প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীকে পুনর্নিয়োগ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য তাঁর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি বিধিসম্মত হয়নি।

এর আগে একই অভিযোগ তদন্ত করে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল মাউশির একটি তদন্ত কমিটি। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ফরহাদ হোসেনের প্রধান শিক্ষক থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ বিধিসম্মত নয়। এ জন্য নীতিমালা মেনে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও তা মানেনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।