মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় তরুণদের ভূমিকা

মো. জোবায়ের আহমেদ সাজিদ

মো. জোবায়ের আহমেদ সাজিদ।

ফেব্রুয়ারি মানেই রক্তঝরা এক মাস। বাংলা ভাষার বিজয়ের মাস।ফেব্রুয়ারি এলেই আমাদের সামনে ভেসে উঠে ভাষার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের সাহসী ও সংগ্রামী মুখ। আমরা তখন আবার ফিরে যাই স্মৃতি জাগানিয়া ১৯৫২-এর সেই উত্তাল ও উজ্জ্বল ইতিহাসের দিকে।এই স্মৃতি আমাদের জন্য যেমন গর্বের তেমনি রক্তঝরার বেদনারও। প্রশান্তি এখানেই যে, বাংলা ভাষা এখন শুধু রাষ্ট্রীয় ভাষারই মর্যাদা অর্জন করেনি, এই ভাষা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবেও মর্জাদা লাভ করেছে বিশ্ব দরবারে।

আর এই বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার প্রধান দায়িত্ব তরুণদেরই। তরুণ সমাজ বলতে ১৫-৩৫ বছর বয়সী তরুণ সমাজকে বুঝাচ্ছি। যেহেতু বাংলাদেশের অর্ধশতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ এবং এ তরুণরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাষার বিকৃতি ও দূষণ করছে। তারা মা কে মাম্মি, বাবকে ড্যাড বা ড্যাডি, ভাইকে ব্রো, বোনকে সিস এরকম অজস্র ভিনদেশী শব্দ বলার মাধ্যমে বাংলাকে দূষিত করছে।

একটি শিশুকেে তার জন্মের পর তার প্রথম শিক্ষা দেয় তার পরিবার কিন্তু কিশোর বয়সের পর থেকে সে ব্যক্তির উপর পরিবারের প্রভাব কমতে থাকে।বিশিষ্ট সমাজ ভাষাবিজ্ঞানী আর এ হার্টসানের মতে ‘তরুণরা তাদের সহপাঠী ও বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়’। সুতরাং তরুণ প্রজন্মে ভাষা বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে তরুণরাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলা ভাষার মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে মূলত তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম ও ভাষা সংস্কৃতিবোধের অভাব থাকায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভাষাপ্রেম জাগ্রতের মাধ্যমে যেমন ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়েছিল বিভিন্ন সময়, বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছিল সে চেতনা যদি আজকের তরুণদের হৃদয়ে ধারণ করে, তবেই ভাষার মর্যাদা রক্ষা সম্ভব।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন,
‘মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধসম’
তরুণদের উচিত মাতৃভাষাকে তার মায়ের দুধের ন্যায় সম্মান জানানো। তাতেই মাতৃভাষার মর্দাদা রক্ষা পাবে।

শিক্ষার্থী, নেত্রকোনা সরকারি কলেজ

মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় তরুণদের ভূমিকা

মো. জোবায়ের আহমেদ সাজিদ

মো. জোবায়ের আহমেদ সাজিদ।

ফেব্রুয়ারি মানেই রক্তঝরা এক মাস। বাংলা ভাষার বিজয়ের মাস।ফেব্রুয়ারি এলেই আমাদের সামনে ভেসে উঠে ভাষার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের সাহসী ও সংগ্রামী মুখ। আমরা তখন আবার ফিরে যাই স্মৃতি জাগানিয়া ১৯৫২-এর সেই উত্তাল ও উজ্জ্বল ইতিহাসের দিকে।এই স্মৃতি আমাদের জন্য যেমন গর্বের তেমনি রক্তঝরার বেদনারও। প্রশান্তি এখানেই যে, বাংলা ভাষা এখন শুধু রাষ্ট্রীয় ভাষারই মর্যাদা অর্জন করেনি, এই ভাষা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবেও মর্জাদা লাভ করেছে বিশ্ব দরবারে।

আর এই বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার প্রধান দায়িত্ব তরুণদেরই। তরুণ সমাজ বলতে ১৫-৩৫ বছর বয়সী তরুণ সমাজকে বুঝাচ্ছি। যেহেতু বাংলাদেশের অর্ধশতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ এবং এ তরুণরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাষার বিকৃতি ও দূষণ করছে। তারা মা কে মাম্মি, বাবকে ড্যাড বা ড্যাডি, ভাইকে ব্রো, বোনকে সিস এরকম অজস্র ভিনদেশী শব্দ বলার মাধ্যমে বাংলাকে দূষিত করছে।

একটি শিশুকেে তার জন্মের পর তার প্রথম শিক্ষা দেয় তার পরিবার কিন্তু কিশোর বয়সের পর থেকে সে ব্যক্তির উপর পরিবারের প্রভাব কমতে থাকে।বিশিষ্ট সমাজ ভাষাবিজ্ঞানী আর এ হার্টসানের মতে ‘তরুণরা তাদের সহপাঠী ও বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়’। সুতরাং তরুণ প্রজন্মে ভাষা বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে তরুণরাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলা ভাষার মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে মূলত তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম ও ভাষা সংস্কৃতিবোধের অভাব থাকায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভাষাপ্রেম জাগ্রতের মাধ্যমে যেমন ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়েছিল বিভিন্ন সময়, বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছিল সে চেতনা যদি আজকের তরুণদের হৃদয়ে ধারণ করে, তবেই ভাষার মর্যাদা রক্ষা সম্ভব।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন,
‘মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধসম’
তরুণদের উচিত মাতৃভাষাকে তার মায়ের দুধের ন্যায় সম্মান জানানো। তাতেই মাতৃভাষার মর্দাদা রক্ষা পাবে।

শিক্ষার্থী, নেত্রকোনা সরকারি কলেজ