মাত্র ১৯ নম্বর পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক।পুরোনো ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ১৯ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন এক পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া বিশেষ বিবেচনায় পোষ্য কোটা দুজন ও খেলোয়াড় কোটায় তিনজন করে মোট পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন। গত রোববার ভর্তি উপ-কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সুপারিশপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছকরা হলেন, নৌখা নায়েল ত্রিপুরা, মো. আশরাফুল হক, অনিক দাস ও মো. রিফাত হোসাইন আশিক, সুমাইয়া আক্তার বিথি, আতিকুর রহমান। তাদের মধ্যে শুধু সুমাইয়া আক্তার বিথি ন্যূনতম পাশ নম্বর ৪০ এর বেশি পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। তারা বলছেন, এতে চরমভাবে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন না। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্নের অধিকার তাদের নেই। এসব ভবিষ্যতে শিক্ষা ক্ষেত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমাইয়া আক্তার বিথি ও আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের ডায়নিং কর্মচারীর সন্তান। ভর্তির বিধি অনুযায়ী তারা পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত নয়। তাদেরকে পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিথির ‘এ’ ইউনিটে (৬৩৪৭১) প্রাপ্ত নম্বর ৬০.৬০। মেধা তালিকায় তার অবস্থান ২৪৯৭। ‘বি’ ইউনিটে (৭৭৮৯২) তিনি পেয়েছেন ৪৮.৭৫। এই ইউনিটে তার অবস্থান ১০৪২। অপরদিকে ‘বি’ ইউনিটে ৭২০২৮ রোলধারী আতিকুর রহমানের প্রাপ্ত নম্বর ৩০।

বাকি চারজনকে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেছেন শরীর চর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক এম আসাদুজ্জামান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষ বিবেচনায় তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দেয়। তাদের মধ্যে ‘বি’ ইউনিটের ৭৭০৯৪ রোলধারী রিফাত হোসাইন আশিকের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ১৯.৩৫ এবং ৭৭৭৮৭ রোলধারী অনিক দাস পেয়েছেন ২৬.২৫।

এ ছাড়াও ‘এ’ ইউনিটের নৌখা নায়েল ত্রিপুরা (রোল: ৩৫৭৮৫) ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৩৭.৬৫ নম্বর এবং একই ইউনিটের আশরাফুল হক (রোল: ১৭৩০৭) পেয়েছেন ৩৪.২৫ নম্বর। তাদের জন্য কোনো ধরণের কোটা না থাকলেও তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যারা এমনটি করছেন তাদের অধিকার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার।’

শরীরিচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘চারজন খেলোয়াড়কে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ভর্তি করা হয়নি।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি উপ-কমিটির প্রধান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ভর্তি কমিটির সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই তারা ভর্তির সুযোগ পাবে।’

মাত্র ১৯ নম্বর পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক।পুরোনো ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ১৯ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন এক পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া বিশেষ বিবেচনায় পোষ্য কোটা দুজন ও খেলোয়াড় কোটায় তিনজন করে মোট পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন। গত রোববার ভর্তি উপ-কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সুপারিশপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছকরা হলেন, নৌখা নায়েল ত্রিপুরা, মো. আশরাফুল হক, অনিক দাস ও মো. রিফাত হোসাইন আশিক, সুমাইয়া আক্তার বিথি, আতিকুর রহমান। তাদের মধ্যে শুধু সুমাইয়া আক্তার বিথি ন্যূনতম পাশ নম্বর ৪০ এর বেশি পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। তারা বলছেন, এতে চরমভাবে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন না। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্নের অধিকার তাদের নেই। এসব ভবিষ্যতে শিক্ষা ক্ষেত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমাইয়া আক্তার বিথি ও আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের ডায়নিং কর্মচারীর সন্তান। ভর্তির বিধি অনুযায়ী তারা পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত নয়। তাদেরকে পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিথির ‘এ’ ইউনিটে (৬৩৪৭১) প্রাপ্ত নম্বর ৬০.৬০। মেধা তালিকায় তার অবস্থান ২৪৯৭। ‘বি’ ইউনিটে (৭৭৮৯২) তিনি পেয়েছেন ৪৮.৭৫। এই ইউনিটে তার অবস্থান ১০৪২। অপরদিকে ‘বি’ ইউনিটে ৭২০২৮ রোলধারী আতিকুর রহমানের প্রাপ্ত নম্বর ৩০।

বাকি চারজনকে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেছেন শরীর চর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক এম আসাদুজ্জামান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষ বিবেচনায় তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দেয়। তাদের মধ্যে ‘বি’ ইউনিটের ৭৭০৯৪ রোলধারী রিফাত হোসাইন আশিকের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ১৯.৩৫ এবং ৭৭৭৮৭ রোলধারী অনিক দাস পেয়েছেন ২৬.২৫।

এ ছাড়াও ‘এ’ ইউনিটের নৌখা নায়েল ত্রিপুরা (রোল: ৩৫৭৮৫) ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৩৭.৬৫ নম্বর এবং একই ইউনিটের আশরাফুল হক (রোল: ১৭৩০৭) পেয়েছেন ৩৪.২৫ নম্বর। তাদের জন্য কোনো ধরণের কোটা না থাকলেও তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যারা এমনটি করছেন তাদের অধিকার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার।’

শরীরিচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘চারজন খেলোয়াড়কে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ভর্তি করা হয়নি।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি উপ-কমিটির প্রধান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ভর্তি কমিটির সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই তারা ভর্তির সুযোগ পাবে।’