মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুজনের রিমান্ড

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

ধর্ষণ। প্রতীকী

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর মোহসীনের আদালতে আসামিদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন— বারদি ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মো. রাকিব ও নাগপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন। মামলার আরেক আসামি ওই এলাকার মো. শাকিল এখনো পলাতক।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করেন। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান জানান, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে রাকিব, মোশারফসহ কয়েকজন তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। মেয়েটি মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ১ নভেম্বর রাতে মেয়েটি ঘর থেকে বের হলে রাকিবের নেতৃত্বে শাকিল ও মোশারফ তার মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকায় শাকিলের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে তাকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেন।

অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার বিচার চেয়েও বিচার না পেলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, ছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার দায়ের পরপরই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুজনের রিমান্ড

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

ধর্ষণ। প্রতীকী

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর মোহসীনের আদালতে আসামিদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন— বারদি ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মো. রাকিব ও নাগপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন। মামলার আরেক আসামি ওই এলাকার মো. শাকিল এখনো পলাতক।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করেন। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান জানান, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে রাকিব, মোশারফসহ কয়েকজন তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। মেয়েটি মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ১ নভেম্বর রাতে মেয়েটি ঘর থেকে বের হলে রাকিবের নেতৃত্বে শাকিল ও মোশারফ তার মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকায় শাকিলের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে তাকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেন।

অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার বিচার চেয়েও বিচার না পেলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, ছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার দায়ের পরপরই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।