প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি

যশোরের পাঁচ শিক্ষককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর ঢাকা বোর্ডের অধীনে এইচএসির বাংলা প্রথম পত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক’ প্রশ্নপত্র তৈরিতে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষকের দোষ পেয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। মূলত বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা এই প্রশ্নপত্র তৈরি ও মডারেশন করেছেন।

বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মাধব চন্দ্র রুদ্র গতকাল বলেন, বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক সরাসরি এ প্রতিবেদন আন্ত শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।

এর আগে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষকের উপস্থিতিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেন।আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, তাঁরা যে প্রশ্নপত্র করেছেন, তাতে তাঁদের অভিযোগ প্রমাণিত হবে এ নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। তবে রিপোর্টে কী এসেছে, তা এখনো দেখা হয়নি।মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষকদের এমপিও বাতিলসহ লঘু বা গুরুদণ্ড হতে পারে।

গত ৮ নভেম্বরের ওই বাংলা প্রথম প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি থাকার অভিযোগে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এ কে এম রব্বানীকে প্রধান করে বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ও উপকলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রশ্নপত্র তৈরি ও মডারেটের দায়ে পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটি। বিতর্কিত প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। আর প্রশ্নপত্রটি মডারেশন দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

 

প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি

যশোরের পাঁচ শিক্ষককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর ঢাকা বোর্ডের অধীনে এইচএসির বাংলা প্রথম পত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক’ প্রশ্নপত্র তৈরিতে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষকের দোষ পেয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। মূলত বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা এই প্রশ্নপত্র তৈরি ও মডারেশন করেছেন।

বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মাধব চন্দ্র রুদ্র গতকাল বলেন, বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক সরাসরি এ প্রতিবেদন আন্ত শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।

এর আগে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষকের উপস্থিতিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেন।আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, তাঁরা যে প্রশ্নপত্র করেছেন, তাতে তাঁদের অভিযোগ প্রমাণিত হবে এ নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। তবে রিপোর্টে কী এসেছে, তা এখনো দেখা হয়নি।মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষকদের এমপিও বাতিলসহ লঘু বা গুরুদণ্ড হতে পারে।

গত ৮ নভেম্বরের ওই বাংলা প্রথম প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি থাকার অভিযোগে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এ কে এম রব্বানীকে প্রধান করে বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ও উপকলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রশ্নপত্র তৈরি ও মডারেটের দায়ে পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটি। বিতর্কিত প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। আর প্রশ্নপত্রটি মডারেশন দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

 

ট্যাগ