রামেকের চিকিৎসক-নার্সদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ রাবির

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। রাবি শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এই অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর রাজপাড়া থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম এ অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ অক্টোবর আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত শাহরিয়ারকে চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে না নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে চিকিৎসক ও নার্স দেরিতে আসে এবং নানা অজুহাতে চিকিৎসা প্রদানে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ফলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিলম্ব ও বিনা চিকিৎসায় শাহরিয়ার মৃত্যুবরণ করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, শাহরিয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি সাধারণ ছাত্রদের মাঝে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে পৌঁছান এবং চিকিৎসকের অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। সেই সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও তার আশপাশের ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, আনসার ও তাদের উচ্ছৃঙ্খল সহযোগীরা ন্যাক্কারজনকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শোকার্ত শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে, অকথ্য গালিগালাজ করে এবং আকস্মিকভাবে হামলা চালায়।

হামলায় তারা লাঠি এবং শল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত ধারালো যন্ত্রসামগ্রী দিয়ে আনুমানিক শতাধিক শিক্ষার্থীকে গুরুতরভাবে আহত করে। আহত শিক্ষার্থীদের অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্র, বারিন্দ মেডিকেলসহ রাজশাহীর অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম সিদ্দিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে তা এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি, পর্যালোচনা চলছে। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ দিয়েছে তারও তদন্ত চলছে।

এর আগে ২০ অক্টোবর একই থানায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ দায়ের করে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে অজ্ঞাতনামা ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় এবং কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অভিযোগ দিল রাবি প্রশাসন।

অভিযোগে গত বুধবার রাতে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও আশেপাশে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ব্রাদার ও আনসার সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগে কারও নাম নেই। অভিযুক্তরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন সেটিও উল্লেখ করা হয়নি।

আরএআর

রামেকের চিকিৎসক-নার্সদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ রাবির

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। রাবি শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এই অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর রাজপাড়া থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম এ অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ অক্টোবর আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত শাহরিয়ারকে চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে না নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে চিকিৎসক ও নার্স দেরিতে আসে এবং নানা অজুহাতে চিকিৎসা প্রদানে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ফলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিলম্ব ও বিনা চিকিৎসায় শাহরিয়ার মৃত্যুবরণ করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, শাহরিয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি সাধারণ ছাত্রদের মাঝে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে পৌঁছান এবং চিকিৎসকের অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। সেই সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও তার আশপাশের ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, আনসার ও তাদের উচ্ছৃঙ্খল সহযোগীরা ন্যাক্কারজনকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শোকার্ত শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে, অকথ্য গালিগালাজ করে এবং আকস্মিকভাবে হামলা চালায়।

হামলায় তারা লাঠি এবং শল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত ধারালো যন্ত্রসামগ্রী দিয়ে আনুমানিক শতাধিক শিক্ষার্থীকে গুরুতরভাবে আহত করে। আহত শিক্ষার্থীদের অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্র, বারিন্দ মেডিকেলসহ রাজশাহীর অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম সিদ্দিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে তা এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি, পর্যালোচনা চলছে। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ দিয়েছে তারও তদন্ত চলছে।

এর আগে ২০ অক্টোবর একই থানায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ দায়ের করে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে অজ্ঞাতনামা ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় এবং কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অভিযোগ দিল রাবি প্রশাসন।

অভিযোগে গত বুধবার রাতে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও আশেপাশে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ব্রাদার ও আনসার সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগে কারও নাম নেই। অভিযুক্তরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন সেটিও উল্লেখ করা হয়নি।

আরএআর