রিয়েলমি প্রেজেন্ট কুবি হাল্ট প্রাইজে বিজয়ী টিম ‘কার্গসমেরিন’

একা তালুকদার

হাল্ট প্রাইজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়-২০২৪ এর অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে কুমিল্লা ময়নামতি অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরবর্তীতে সংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে শেষ হয় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্লাটফর্ম ‘চরকি’-র প্রধান নির্বাহী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি, টু-সেন্ট পডকাস্ট এর সহযোগী হোস্ট সাজ্জাদ হোসেন, স্ট্রিমিং, ফ্রিল্যান্সার ও এমজি মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী নাফিস মাহাদি নীল এবং ফর্বস-‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকাভুক্ত শাহ রাফায়েত চৌধুরীসহ হাল্ট প্রাইজ অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের উপদেষ্টারা।

প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক হিসেবে ছিলেন হালিমা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগর, প্রাণ-আর এফ এল এর ডিজিটাল মিডিয়া এবং প্ল্যানিং স্ট্র‍্যাটেজিক বিভাগের সহযোগী ব্যবস্থাপক সাকিফ আমজাদ আল হক।

এছাড়াও বিচারকের আসনে ছিলেন ইয়াসিন সোহাগ (হেড স্ট্র‍্যাটেজিক বিজনেস পার্টনার,কমার্শিয়াল, কোকাকোলা), তন্ময় দাস (মার্কেটিং প্রধান, আব্দুল মোমেন বেভারেজ লিমিটেড),মোহাম্মদ ফারুক রহমান (ম্যানেজার, ডিজিটাল ওয়েব ও প্রমোশন, রিয়েলমি)

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সেরা দশ ফাইনালিস্ট দল তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। টিম ১০টি হলো ‘ডায়নামিক মার্কেটারস, টিম কার্গসমেরিন, টিম এমিবা, টিম কাচ্চি, টিম শতরঞ্জি, স্পার্ক ব্লেজ, টিম এন্ত্রপলজি, টিম অরবিট, এপেক্সালি ইনোভেটরস ও টিম পাইওনিয়ার।’ আইডিয়া উপস্থাপন শেষে তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে ‘টিম কার্গসমেরিন’, দ্বিতীয় হয়েছে ‘টিম পাইওনিয়ার’, তৃতীয় হয়েছে ‘টিম কাচ্ছি’।

আইডিয়া উপস্থাপন শেষে বিকেলের দিকে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্য রাখেন।
অতিথির বক্তব্যে চরকি-র প্রধান নির্বাহী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি বলেন, “আপনাদের পড়াশোনার বাহিরে এসে যে নতুন কিছু করছেন এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আমি এই ধরনের প্রোগ্রামে বেশি বেশি আসতে চাই কারণ এইখানে আসার পর আগামীকালের কাজকে অনেক বেশি সহজ করে দেয়। আপনি আজকে যে স্বপ্নটা দেখছেন, কখনোই এটা ভাইবেন না যে আপনার স্বপ্নটা পূর্ণ হবে না। আপনি আপনার কাজটা করে যান, কে কী বললো দেইখেন না। নেটওয়ার্কিকিং ইজ ইম্পর্ট্যান্ট। আপনাকে কানেক্টেড থাকতে হবে। আপনাকে বুঝাতে হবে আপনি ভালো ফিল্ম বানাতে পারেন।”

হালিমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগর বলেন, “আপনার যদি মনে হয় আপনি যে কাজটি করছেন সেটি ভালো লাগছে না তাহলে এটি আপনার জন্য না। আপনি যা, তাই প্রকাশ করুন।”

‘হাল্ট প্রাইজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ক্যাম্পাস ডিরেক্টর সুমাইয়া কবির বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন ক্যাম্পাসে এত বড় একটা প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা অনেক বড় ব্যাপার। স্পন্সর ম্যানেজ করা থেকে শুরু করে, মিডিয়া এবং সর্বোপরি সবকিছু ম্যানেজ করতে পেরেছি এবং কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সবকিছু সুন্দর সুশৃঙ্খল হয়েছে এজন্য খুব ভালো লাগছে।”

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ২২১টি টিম রেজিস্ট্রেশন করে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতাপূর্ণ ধাপ শেষ করে ৩০টি টিম সেমি-ফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ হয়। যার মধ্য থেকে ১০টি টিম ফাইনালে অংশগ্রহণ করে।

ফাইনাল প্রতিযোগিতা শেষে তিন বিজয়ী দল পায় ৩০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি। অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলো পরবর্তীতে রিজিওনাল সামিটে দেশের অন্যান্য অন ক্যাম্পাস বিজয়ীদের সাথে লড়বে। সেখানে বিজয়ী দলটি সুযোগ পাবে গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণ করার। গ্লোবাল ফাইনালে চূড়ান্ত বিজয়ী দলটি তাদের বিজনেস আইডিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য পাবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইবিহো/এসএস

রিয়েলমি প্রেজেন্ট কুবি হাল্ট প্রাইজে বিজয়ী টিম ‘কার্গসমেরিন’

একা তালুকদার

হাল্ট প্রাইজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়-২০২৪ এর অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে কুমিল্লা ময়নামতি অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরবর্তীতে সংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে শেষ হয় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্লাটফর্ম ‘চরকি’-র প্রধান নির্বাহী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি, টু-সেন্ট পডকাস্ট এর সহযোগী হোস্ট সাজ্জাদ হোসেন, স্ট্রিমিং, ফ্রিল্যান্সার ও এমজি মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী নাফিস মাহাদি নীল এবং ফর্বস-‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকাভুক্ত শাহ রাফায়েত চৌধুরীসহ হাল্ট প্রাইজ অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের উপদেষ্টারা।

প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক হিসেবে ছিলেন হালিমা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগর, প্রাণ-আর এফ এল এর ডিজিটাল মিডিয়া এবং প্ল্যানিং স্ট্র‍্যাটেজিক বিভাগের সহযোগী ব্যবস্থাপক সাকিফ আমজাদ আল হক।

এছাড়াও বিচারকের আসনে ছিলেন ইয়াসিন সোহাগ (হেড স্ট্র‍্যাটেজিক বিজনেস পার্টনার,কমার্শিয়াল, কোকাকোলা), তন্ময় দাস (মার্কেটিং প্রধান, আব্দুল মোমেন বেভারেজ লিমিটেড),মোহাম্মদ ফারুক রহমান (ম্যানেজার, ডিজিটাল ওয়েব ও প্রমোশন, রিয়েলমি)

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সেরা দশ ফাইনালিস্ট দল তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। টিম ১০টি হলো ‘ডায়নামিক মার্কেটারস, টিম কার্গসমেরিন, টিম এমিবা, টিম কাচ্চি, টিম শতরঞ্জি, স্পার্ক ব্লেজ, টিম এন্ত্রপলজি, টিম অরবিট, এপেক্সালি ইনোভেটরস ও টিম পাইওনিয়ার।’ আইডিয়া উপস্থাপন শেষে তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে ‘টিম কার্গসমেরিন’, দ্বিতীয় হয়েছে ‘টিম পাইওনিয়ার’, তৃতীয় হয়েছে ‘টিম কাচ্ছি’।

আইডিয়া উপস্থাপন শেষে বিকেলের দিকে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্য রাখেন।
অতিথির বক্তব্যে চরকি-র প্রধান নির্বাহী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি বলেন, “আপনাদের পড়াশোনার বাহিরে এসে যে নতুন কিছু করছেন এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আমি এই ধরনের প্রোগ্রামে বেশি বেশি আসতে চাই কারণ এইখানে আসার পর আগামীকালের কাজকে অনেক বেশি সহজ করে দেয়। আপনি আজকে যে স্বপ্নটা দেখছেন, কখনোই এটা ভাইবেন না যে আপনার স্বপ্নটা পূর্ণ হবে না। আপনি আপনার কাজটা করে যান, কে কী বললো দেইখেন না। নেটওয়ার্কিকিং ইজ ইম্পর্ট্যান্ট। আপনাকে কানেক্টেড থাকতে হবে। আপনাকে বুঝাতে হবে আপনি ভালো ফিল্ম বানাতে পারেন।”

হালিমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগর বলেন, “আপনার যদি মনে হয় আপনি যে কাজটি করছেন সেটি ভালো লাগছে না তাহলে এটি আপনার জন্য না। আপনি যা, তাই প্রকাশ করুন।”

‘হাল্ট প্রাইজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ক্যাম্পাস ডিরেক্টর সুমাইয়া কবির বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন ক্যাম্পাসে এত বড় একটা প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা অনেক বড় ব্যাপার। স্পন্সর ম্যানেজ করা থেকে শুরু করে, মিডিয়া এবং সর্বোপরি সবকিছু ম্যানেজ করতে পেরেছি এবং কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সবকিছু সুন্দর সুশৃঙ্খল হয়েছে এজন্য খুব ভালো লাগছে।”

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ২২১টি টিম রেজিস্ট্রেশন করে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতাপূর্ণ ধাপ শেষ করে ৩০টি টিম সেমি-ফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ হয়। যার মধ্য থেকে ১০টি টিম ফাইনালে অংশগ্রহণ করে।

ফাইনাল প্রতিযোগিতা শেষে তিন বিজয়ী দল পায় ৩০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি। অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলো পরবর্তীতে রিজিওনাল সামিটে দেশের অন্যান্য অন ক্যাম্পাস বিজয়ীদের সাথে লড়বে। সেখানে বিজয়ী দলটি সুযোগ পাবে গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণ করার। গ্লোবাল ফাইনালে চূড়ান্ত বিজয়ী দলটি তাদের বিজনেস আইডিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য পাবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইবিহো/এসএস