লিচু ব্যবসায়ে সফল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জিয়া

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী জিয়া মাহমুদ। 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়া মাহমুদ। লেখাপড়ার পাশাপাশি করছেন ব্যবসাও। দেশব্যাপী দিনাজপুরের লিচুর রয়েছে আলাদা একটি খ্যাতি। এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জিয়া দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার বসবাস। বছর তিনেক আগে নিজ উপজেলাতেই বাড়ির আশেপাশের বাগান ইজারা নিয়ে শুরু করেন লিচুর ব্যবসা।

তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষুদ্র পরিসরে লিচুর ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে তার ব্যবসা বেশ জমজমাট। বর্তমানে তার ৩০ লাখ টাকার তিন বছর মেয়াদে ইজারায় ৫টি বাগান রয়েছে। সেসব বাগানে লিচু আসার পূর্বেই নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। লিচুর গাছে নিয়মিত প্রায় ১ লাখ টাকার কীটনাশক এবং ভিটামিন স্প্রে করেন। লিচু পরিপক্ব হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে রাখেন প্রহরী। ৫টি বাগানে ৬ জন প্রহরী রয়েছে। প্রতি প্রহরীর বেতন মাসে ১২ হাজার টাকা।

বাগান থেকে লিচু সংগ্রহের সময় অতিরিক্ত কাজের লোক নিয়ে লিচু সংগ্রহ করে থাকেন। এতে করে লিচুর মৌসুমে সে প্রায় পনেরো থেকে বিশ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। ১১শ লিচু গাছ থেকে নামানো এবং গুছানোর জন্য শ্রমিকদের দিতে হয় ২০০ টাকা। সকল খরচ বাদ দিয়ে তার এবছর প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। জিয়া বলেন লিচু ব্যবসা করতে গিয়ে তাকে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়নি। সে সর্বদা কম বা বেশি লাভেরই মুখ দেখেছেন। লিচু ব্যবসায়ের প্রথম বছরেই তিনি প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন।

তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি লিচু ব্যবসা করতে চায়, তাহলে অবশ্যই করতে পারে। কারণ লিচু ব্যবসায়ে কোনো রকমের লোকসান নেই।কেউ যদি কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেমন- কোন সময় লিচু গাছে কোন কীটনাশক এবং কোন ভিটামিন দিতে হবে, কোন সময় সেচ দিতে হবে, কোন সময় লিচু সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে সে নিশ্চিত ব্যবসায়ে সফল হবে।
সে ভবিষ্যতে লিচুসহ আরও ভালোকিছু ব্যবসায়ে যুক্ত হয়ে নিজের আর্থিক উন্নয়ন এবং অন্যদের আর্থিক উন্নয়ন করতে চান।

ইবিহো/এসএস

লিচু ব্যবসায়ে সফল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জিয়া

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী জিয়া মাহমুদ। 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়া মাহমুদ। লেখাপড়ার পাশাপাশি করছেন ব্যবসাও। দেশব্যাপী দিনাজপুরের লিচুর রয়েছে আলাদা একটি খ্যাতি। এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জিয়া দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার বসবাস। বছর তিনেক আগে নিজ উপজেলাতেই বাড়ির আশেপাশের বাগান ইজারা নিয়ে শুরু করেন লিচুর ব্যবসা।

তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষুদ্র পরিসরে লিচুর ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে তার ব্যবসা বেশ জমজমাট। বর্তমানে তার ৩০ লাখ টাকার তিন বছর মেয়াদে ইজারায় ৫টি বাগান রয়েছে। সেসব বাগানে লিচু আসার পূর্বেই নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। লিচুর গাছে নিয়মিত প্রায় ১ লাখ টাকার কীটনাশক এবং ভিটামিন স্প্রে করেন। লিচু পরিপক্ব হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে রাখেন প্রহরী। ৫টি বাগানে ৬ জন প্রহরী রয়েছে। প্রতি প্রহরীর বেতন মাসে ১২ হাজার টাকা।

বাগান থেকে লিচু সংগ্রহের সময় অতিরিক্ত কাজের লোক নিয়ে লিচু সংগ্রহ করে থাকেন। এতে করে লিচুর মৌসুমে সে প্রায় পনেরো থেকে বিশ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। ১১শ লিচু গাছ থেকে নামানো এবং গুছানোর জন্য শ্রমিকদের দিতে হয় ২০০ টাকা। সকল খরচ বাদ দিয়ে তার এবছর প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। জিয়া বলেন লিচু ব্যবসা করতে গিয়ে তাকে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়নি। সে সর্বদা কম বা বেশি লাভেরই মুখ দেখেছেন। লিচু ব্যবসায়ের প্রথম বছরেই তিনি প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন।

তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি লিচু ব্যবসা করতে চায়, তাহলে অবশ্যই করতে পারে। কারণ লিচু ব্যবসায়ে কোনো রকমের লোকসান নেই।কেউ যদি কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেমন- কোন সময় লিচু গাছে কোন কীটনাশক এবং কোন ভিটামিন দিতে হবে, কোন সময় সেচ দিতে হবে, কোন সময় লিচু সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে সে নিশ্চিত ব্যবসায়ে সফল হবে।
সে ভবিষ্যতে লিচুসহ আরও ভালোকিছু ব্যবসায়ে যুক্ত হয়ে নিজের আর্থিক উন্নয়ন এবং অন্যদের আর্থিক উন্নয়ন করতে চান।

ইবিহো/এসএস