শিকারির কাছ থেকে উদ্ধার ৩০ পাখি রাবিতে অবমুক্ত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি

বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধারের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। বুধবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান পাখিগুলো অবমুক্ত করেন।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, আনিছুর নামের এক শিকারির কাছ থেকে পাখি কেনার কথা বলে একটি ঠিকানা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল। সে অনুসারে নাজমুল একটি মোটরসাইকেলযোগে সেখানে যায়। পেছন থেকে তাকে অনুসরণ করে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের লোকজন। পরে তার কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। এসময় পাখি বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। পরে নাটোর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবায়ের হাবিব ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান জানান, রাবি শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে বন্যপ্রাণী কেনাবেচা রোধে আমাদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। বন্যপ্রাণীগুলো প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অভিযানে দুটি কালিম, ১৪টি পাতি সরালি, একটি পাহাড়ি ময়না, একটি টিয়াসহ দেশি ও অতিথি বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়।ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. নাজমুল হোসেন জানান, পাখিরা আমাদের মতোই প্রকৃতির অংশ। তারা মুক্ত থাকলে প্রকৃতি ভালো থাকবে। ভালো থাকবে প্রকৃতি মায়ের সব সন্তান।

এসময় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. সরোয়ার হোসেন খান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এম সালেহ রেজা ও নজরুল ইসলাম এবং উদ্ধারকর্মী মো. নাজমুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/এএসএম

শিকারির কাছ থেকে উদ্ধার ৩০ পাখি রাবিতে অবমুক্ত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি

বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধারের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। বুধবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান পাখিগুলো অবমুক্ত করেন।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, আনিছুর নামের এক শিকারির কাছ থেকে পাখি কেনার কথা বলে একটি ঠিকানা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল। সে অনুসারে নাজমুল একটি মোটরসাইকেলযোগে সেখানে যায়। পেছন থেকে তাকে অনুসরণ করে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের লোকজন। পরে তার কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। এসময় পাখি বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। পরে নাটোর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবায়ের হাবিব ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান জানান, রাবি শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে বন্যপ্রাণী কেনাবেচা রোধে আমাদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। বন্যপ্রাণীগুলো প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অভিযানে দুটি কালিম, ১৪টি পাতি সরালি, একটি পাহাড়ি ময়না, একটি টিয়াসহ দেশি ও অতিথি বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়।ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. নাজমুল হোসেন জানান, পাখিরা আমাদের মতোই প্রকৃতির অংশ। তারা মুক্ত থাকলে প্রকৃতি ভালো থাকবে। ভালো থাকবে প্রকৃতি মায়ের সব সন্তান।

এসময় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. সরোয়ার হোসেন খান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এম সালেহ রেজা ও নজরুল ইসলাম এবং উদ্ধারকর্মী মো. নাজমুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/এএসএম