শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন সাবেক ২ ছাত্র

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়েরই দুজন সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মারধরে আহত ওই শিক্ষককে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাটুরিয়ার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মুখে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আলামিন ও রমজান আলী সজল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

মারধরে আহত ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তেরা হলেন হরগজ বালুচরের মো. রফিকের ছেলে প্রাক্তন ছাত্র আলামিন (২১) ও রহমানের ছেলে রমজান আলী সজল (২১)।

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্কুলের অদূরে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম। এ সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে আমার মোবাইলে ফোনে। ফোনে আমাকে স্কুলে ঢোকার আগে গেটের সামনে দেখা করতে বলে বখাটে আলামিন ও রমজান আলী। প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে পৌনে ১০টার সময় গেটের সামনে এলে তারা আমাকে ধরে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্কুলে খবর দিলে অন্য শিক্ষকেরা আমাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘রমজান আলী ও আলামিন প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা মাঝেমধ্যে বিচার দিত। এরা নেশাগ্রস্ত ও মাদকাসক্ত। আমি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ওই দুই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, ‘শিক্ষককে পেটানোর ঘটনা দুঃখজনক। আমি বখাটে যুবকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’ হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষককে পেটানোর ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। উপজেলার প্রতিটি স্কুল চলাকালীন ও ছুটির সময় পুলিশ প্রশাসনের তদারকি বাড়ালে উত্ত্যক্তের ঘটনা কমে আসবে বলে আমি মনে করি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন সাবেক ২ ছাত্র

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়েরই দুজন সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মারধরে আহত ওই শিক্ষককে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাটুরিয়ার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মুখে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আলামিন ও রমজান আলী সজল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

মারধরে আহত ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তেরা হলেন হরগজ বালুচরের মো. রফিকের ছেলে প্রাক্তন ছাত্র আলামিন (২১) ও রহমানের ছেলে রমজান আলী সজল (২১)।

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্কুলের অদূরে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম। এ সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে আমার মোবাইলে ফোনে। ফোনে আমাকে স্কুলে ঢোকার আগে গেটের সামনে দেখা করতে বলে বখাটে আলামিন ও রমজান আলী। প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে পৌনে ১০টার সময় গেটের সামনে এলে তারা আমাকে ধরে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্কুলে খবর দিলে অন্য শিক্ষকেরা আমাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘রমজান আলী ও আলামিন প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা মাঝেমধ্যে বিচার দিত। এরা নেশাগ্রস্ত ও মাদকাসক্ত। আমি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ওই দুই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, ‘শিক্ষককে পেটানোর ঘটনা দুঃখজনক। আমি বখাটে যুবকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’ হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষককে পেটানোর ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। উপজেলার প্রতিটি স্কুল চলাকালীন ও ছুটির সময় পুলিশ প্রশাসনের তদারকি বাড়ালে উত্ত্যক্তের ঘটনা কমে আসবে বলে আমি মনে করি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’