শিক্ষকদের ডিপিএড কোর্স সংক্ষিপ্তের সিদ্ধান্ত, আপত্তি প্রশিক্ষকদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৮ মাসের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি অ্যাডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ বাদ দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে। বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ডিপিএড কোর্সের সময় না কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রশিক্ষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশিক্ষণের জন্য এরই মধ্যে ছয় মাস উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি মৌলিক প্রশিক্ষণে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। পিটিআই শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।স্বাধীনতার আগে থেকে দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এক বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট-ইন-এডুকেশন (সিইনএড) চালু ছিল। ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী সিইনএডকে আরও যুগোপযোগী করে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্সের প্রবর্তন করা হয়। সেই কোর্স প্রবর্তনের এক যুগ কাটতে না কাটতেই সেটিও বাতিল করে দিয়ে শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তম কুমার দাশ জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ডিপিএড নামে শিক্ষকদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেটি কোনো কাজে আসছে না। এটি পাবলিক পরীক্ষার মতো অনেকটা মুখস্থ বিদ্যানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষকদের দক্ষতা ও যোগ্যতার উন্নয়ন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কোর্সটি কোনো অর্থবহ ফলাফল না দেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের পরামর্শে প্রশিক্ষণ কোর্স পরিমার্জনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে দুটো গবেষণা করা হয়। গবেষণায় উন্নয়ন সহযোগীদের কথার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ডিপিএড কোর্সের মেয়াদ কমানোর বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর মিলে কর্মশালা করছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পিটিআই শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করছেন। এ বিষয়ে তারা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।এ বিষয়ে পিটিআই টির্চাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা পিটিআইয়ের সুপার মো. কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, প্রশিক্ষক হিসেবে আমাদের মনে হয়েছে ডিপিএড কোর্সের মেয়াদ কমালে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না। শিক্ষকদের দক্ষতার জন্য এ কোর্সটি করা হয়। সেটি মানসম্মত না হলে কোনো কাজে আসবে না।

এমএইচএম/এমকেআর/এএসএম

শিক্ষকদের ডিপিএড কোর্স সংক্ষিপ্তের সিদ্ধান্ত, আপত্তি প্রশিক্ষকদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৮ মাসের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি অ্যাডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ বাদ দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে। বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ডিপিএড কোর্সের সময় না কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রশিক্ষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশিক্ষণের জন্য এরই মধ্যে ছয় মাস উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি মৌলিক প্রশিক্ষণে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। পিটিআই শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।স্বাধীনতার আগে থেকে দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এক বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট-ইন-এডুকেশন (সিইনএড) চালু ছিল। ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী সিইনএডকে আরও যুগোপযোগী করে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্সের প্রবর্তন করা হয়। সেই কোর্স প্রবর্তনের এক যুগ কাটতে না কাটতেই সেটিও বাতিল করে দিয়ে শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তম কুমার দাশ জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ডিপিএড নামে শিক্ষকদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেটি কোনো কাজে আসছে না। এটি পাবলিক পরীক্ষার মতো অনেকটা মুখস্থ বিদ্যানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষকদের দক্ষতা ও যোগ্যতার উন্নয়ন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কোর্সটি কোনো অর্থবহ ফলাফল না দেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের পরামর্শে প্রশিক্ষণ কোর্স পরিমার্জনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে দুটো গবেষণা করা হয়। গবেষণায় উন্নয়ন সহযোগীদের কথার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ডিপিএড কোর্সের মেয়াদ কমানোর বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর মিলে কর্মশালা করছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পিটিআই শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করছেন। এ বিষয়ে তারা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।এ বিষয়ে পিটিআই টির্চাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা পিটিআইয়ের সুপার মো. কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, প্রশিক্ষক হিসেবে আমাদের মনে হয়েছে ডিপিএড কোর্সের মেয়াদ কমালে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না। শিক্ষকদের দক্ষতার জন্য এ কোর্সটি করা হয়। সেটি মানসম্মত না হলে কোনো কাজে আসবে না।

এমএইচএম/এমকেআর/এএসএম