শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিপরীত অবস্থানে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের চাওয়া চারুকলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ২২ দফার আন্দোলন এখন এক দফায় রূপ নিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবস্থান বিপরীতমুখী। শিক্ষকরা চাইছেন নিজস্ব ক্যাম্পাস। আর শিক্ষার্থীদের চাওয়া চারুকলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর। এ নিয়ে গত শুক্রবার চারুকলার শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি।

এর আগে দুদিন সময় নিয়েও শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়েই ইনস্টিটিউট ত্যাগ করেন শিক্ষকরা। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া গত বুধবার মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।

জুনায়েদ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, ‘গত শুক্রবার উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক হয়েছে। তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো তারা বিভিন্ন জটিলতার কথা বলছেন। ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন শিক্ষক ও প্রশাসন। অথচ আমরা কোনো কমিটি চাইনি। মূল ক্যাম্পাসে ফেরত যেতে চেয়েছি।’ তবে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুনকে আহ্বায়ক করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের আলোচনা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরস্পর বিপরীতমুখী। শিক্ষার্থীদের দাবি মানাটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। চাইলেই আমরা একটা ইনস্টিটিউটকে রাতারাতি ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে পারব না। তাই সার্বিক বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।’

রবিউল হাসান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘এ দাবির বিষয়ে কয়েকটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। এর দালিলিক কোনো সমস্যা আছে কিনা, ক্যাম্পাসে গেলে তারা কীভাবে থাকবে, কী কী সুবিধা-অসুবিধা আছে, প্রতিটি বিষয় কমিটি যাচাইবাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে। এতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরাও থাকবে। আশা করি, একটি সুন্দর সমাধান হবে।’ গত ২ নভেম্বর থেকে আবাসিক হল নির্মাণ এবং শ্রেণিকক্ষ সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন ইনস্টিটিউটটির শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিপরীত অবস্থানে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের চাওয়া চারুকলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ২২ দফার আন্দোলন এখন এক দফায় রূপ নিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবস্থান বিপরীতমুখী। শিক্ষকরা চাইছেন নিজস্ব ক্যাম্পাস। আর শিক্ষার্থীদের চাওয়া চারুকলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর। এ নিয়ে গত শুক্রবার চারুকলার শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি।

এর আগে দুদিন সময় নিয়েও শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়েই ইনস্টিটিউট ত্যাগ করেন শিক্ষকরা। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া গত বুধবার মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।

জুনায়েদ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, ‘গত শুক্রবার উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক হয়েছে। তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো তারা বিভিন্ন জটিলতার কথা বলছেন। ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন শিক্ষক ও প্রশাসন। অথচ আমরা কোনো কমিটি চাইনি। মূল ক্যাম্পাসে ফেরত যেতে চেয়েছি।’ তবে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুনকে আহ্বায়ক করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের আলোচনা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরস্পর বিপরীতমুখী। শিক্ষার্থীদের দাবি মানাটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। চাইলেই আমরা একটা ইনস্টিটিউটকে রাতারাতি ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে পারব না। তাই সার্বিক বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।’

রবিউল হাসান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘এ দাবির বিষয়ে কয়েকটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। এর দালিলিক কোনো সমস্যা আছে কিনা, ক্যাম্পাসে গেলে তারা কীভাবে থাকবে, কী কী সুবিধা-অসুবিধা আছে, প্রতিটি বিষয় কমিটি যাচাইবাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে। এতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরাও থাকবে। আশা করি, একটি সুন্দর সমাধান হবে।’ গত ২ নভেম্বর থেকে আবাসিক হল নির্মাণ এবং শ্রেণিকক্ষ সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন ইনস্টিটিউটটির শিক্ষার্থীরা।