শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

নাজমুল হাসান রাবি

বৃহস্পতিবার বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজসহ চট্টগ্রামের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫ টায় প্রথমে ষোল শহর থেকে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল আমাদের আন্দোলন চলাকালে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। এর মাঝে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ টিয়ার-শেল নিক্ষেপ করেছে।

ফলে অনেকেই আহত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েই আজকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছি। আমরা চাই এই কোটার একটা যৌক্তিক সমাধান হোক। এই সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন-আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, আমার বোনের রক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাইকোটা না মেধা? মেধা মেধা, জেগেছে রে জেগেছ ছাত্র সমাজ জেগেছ,লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন গেলেছ।

‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”,একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার, দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’

মুক্তি যোদ্ধের চেতনা বৈষম্য মানে না, আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই। লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, সারা বাংলা ব্লকেড, দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত,‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি আমাদের আন্দোলনরত ভাই-বোনদের উপর গুলি চালানো হয়েছে, গায়ে হাত তোলা হয়েছে। সারা দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন হামলা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।

হামলা করে শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে এক পর্যায়ে পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে এবং শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইবিহো/এসএস

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

নাজমুল হাসান রাবি

বৃহস্পতিবার বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজসহ চট্টগ্রামের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫ টায় প্রথমে ষোল শহর থেকে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল আমাদের আন্দোলন চলাকালে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। এর মাঝে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ টিয়ার-শেল নিক্ষেপ করেছে।

ফলে অনেকেই আহত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েই আজকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছি। আমরা চাই এই কোটার একটা যৌক্তিক সমাধান হোক। এই সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন-আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, আমার বোনের রক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাইকোটা না মেধা? মেধা মেধা, জেগেছে রে জেগেছ ছাত্র সমাজ জেগেছ,লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন গেলেছ।

‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”,একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার, দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’

মুক্তি যোদ্ধের চেতনা বৈষম্য মানে না, আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই। লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, সারা বাংলা ব্লকেড, দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত,‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি আমাদের আন্দোলনরত ভাই-বোনদের উপর গুলি চালানো হয়েছে, গায়ে হাত তোলা হয়েছে। সারা দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন হামলা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।

হামলা করে শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে এক পর্যায়ে পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে এবং শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইবিহো/এসএস