দাম ও মান নিয়ে প্রশ্ন

শীতের শুরুতে রাবিতে পিঠা বিক্রির ধুম

রাবি সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুল মাঠ, খালেদা জিয়া হল এবং রোকেয়া হলের সামনে পিঠার দোকান বসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছে রোকেয়া হলের সামনের দোকানগুলোতে।  এতে চিতই, ভাপা, তেলের পিঠাসহ বিভিন্ন রকম পিঠা পাওয়া যায়।

তবে এসব দোকানের পিঠার দাম ও মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। চিতই পিঠা আগে পাঁচ টাকা বিক্রি হলেও এখন বাড়িয়ে আট থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভাপা পিঠায় আট টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলের পিঠাও চড়া দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আগে ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পিঠার সঙ্গে ভর্তার জন্যেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। প্রতি ভর্তার বাটি ১০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের আটা ব্যবহার করেও চড়া দাম রাখছেন দোকানিরা। ফলে মান নিয়েও হতাশ শিক্ষার্থীরা।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুমানা ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের মাঠে দোকান হওয়ায় তাদের কোনো ভাড়া দিতে হচ্ছে না। তবুও চড়া দাম রাখছে কেন, সেটা আমার বোধগম্য না। বাইরের তুলনায় এখানে প্রতি পিঠায় রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত দাম। আবার পিঠার সঙ্গে ভর্তা খেতেও অতিরিক্ত ১০ টাকা দিতে হচ্ছে।

লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, আমার পড়াশোনা শেষ হওয়ায় আমি ঢাকায় চাকরি করি। ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খেতে আসলাম। এসে দেখি পিঠা তৈরির অবস্থা খুব বাজে। পিঠার দাম রাখা হচ্ছে বেশি এবং দামের তুলনায় মান একেবারে নিম্নমানের।

অভিযোগের বিষয়ে পিঠা বিক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই পিঠার দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। পিঠার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান দেওয়ায় তাদের খরচ বেশি হচ্ছে। তাছাড়া লাকড়ির দাম অনেকাংশে বেড়েছে যার কারণে সবরকম পিঠায় আগের থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।

খাবারের মানের বিষয়ে বিক্রেতা বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পিঠা খাওয়াতে। মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যায় তবুও চেষ্টা করি ভালো করতে।

দাম ও মান নিয়ে প্রশ্ন

শীতের শুরুতে রাবিতে পিঠা বিক্রির ধুম

রাবি সংবাদদাতা

ছবি: ইত্তেফাক

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুল মাঠ, খালেদা জিয়া হল এবং রোকেয়া হলের সামনে পিঠার দোকান বসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছে রোকেয়া হলের সামনের দোকানগুলোতে।  এতে চিতই, ভাপা, তেলের পিঠাসহ বিভিন্ন রকম পিঠা পাওয়া যায়।

তবে এসব দোকানের পিঠার দাম ও মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। চিতই পিঠা আগে পাঁচ টাকা বিক্রি হলেও এখন বাড়িয়ে আট থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভাপা পিঠায় আট টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলের পিঠাও চড়া দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আগে ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পিঠার সঙ্গে ভর্তার জন্যেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। প্রতি ভর্তার বাটি ১০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের আটা ব্যবহার করেও চড়া দাম রাখছেন দোকানিরা। ফলে মান নিয়েও হতাশ শিক্ষার্থীরা।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুমানা ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের মাঠে দোকান হওয়ায় তাদের কোনো ভাড়া দিতে হচ্ছে না। তবুও চড়া দাম রাখছে কেন, সেটা আমার বোধগম্য না। বাইরের তুলনায় এখানে প্রতি পিঠায় রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত দাম। আবার পিঠার সঙ্গে ভর্তা খেতেও অতিরিক্ত ১০ টাকা দিতে হচ্ছে।

লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, আমার পড়াশোনা শেষ হওয়ায় আমি ঢাকায় চাকরি করি। ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খেতে আসলাম। এসে দেখি পিঠা তৈরির অবস্থা খুব বাজে। পিঠার দাম রাখা হচ্ছে বেশি এবং দামের তুলনায় মান একেবারে নিম্নমানের।

অভিযোগের বিষয়ে পিঠা বিক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই পিঠার দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। পিঠার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান দেওয়ায় তাদের খরচ বেশি হচ্ছে। তাছাড়া লাকড়ির দাম অনেকাংশে বেড়েছে যার কারণে সবরকম পিঠায় আগের থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।

খাবারের মানের বিষয়ে বিক্রেতা বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পিঠা খাওয়াতে। মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যায় তবুও চেষ্টা করি ভালো করতে।