শেষদিনে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে আদেশ অধ্যাপক শিরীণের

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের শেষ কার্য়দিবসে গেল বছরের সেপ্টেম্বরে চবির শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ বক্স ও শিক্ষক-স্টাফ বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা ২টি মামলা তুলে নিতে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রলীগের চাপে পড়েই অধ্যাপক শিরীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মামলা তুলে নিতে চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিবাদী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমরা অনুমতি পেয়েছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমি ও রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমাদ আদালতে যাবো। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমরা তা মেনে নিবো।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা করা কোন স্বার্থে তুলে নিচ্ছে প্রশাসন এমন প্রশ্ন সবার মনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, মামলা প্রত্যাহার করে নিলে আরও লাগামছাড়া ভাব দেখা যাবে। তাছাড়া এমন ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের খালাস দিলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে।

এর আগে, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে চবির শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ বক্স ও শিক্ষক-স্টাফ বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২টি মামলা করা হয়। প্রতিটি মামলায় ৭ জন করে ১৪ জনকে আসামি করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও একহাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় বাদী হন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ এবং প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক।

ইবিহো/এসএস

শেষদিনে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে আদেশ অধ্যাপক শিরীণের

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের শেষ কার্য়দিবসে গেল বছরের সেপ্টেম্বরে চবির শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ বক্স ও শিক্ষক-স্টাফ বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা ২টি মামলা তুলে নিতে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রলীগের চাপে পড়েই অধ্যাপক শিরীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মামলা তুলে নিতে চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিবাদী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমরা অনুমতি পেয়েছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমি ও রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমাদ আদালতে যাবো। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমরা তা মেনে নিবো।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা করা কোন স্বার্থে তুলে নিচ্ছে প্রশাসন এমন প্রশ্ন সবার মনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, মামলা প্রত্যাহার করে নিলে আরও লাগামছাড়া ভাব দেখা যাবে। তাছাড়া এমন ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের খালাস দিলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে।

এর আগে, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে চবির শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ বক্স ও শিক্ষক-স্টাফ বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২টি মামলা করা হয়। প্রতিটি মামলায় ৭ জন করে ১৪ জনকে আসামি করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও একহাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় বাদী হন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ এবং প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক।

ইবিহো/এসএস