শেষ হলো জবির তৃতীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী ৩য় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। এবারের প্রদর্শনীতে ১৯৫ জন শিল্পীর ৩৪৫টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।

রোববার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চার ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১৪ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।এবারের প্রদর্শনীতে শিল্পীরা রঙতুলিতে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের পরিবর্তনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। একটি ছবিতে দেখা যায়, দলবদ্ধ ইঁদুর খাবার খাচ্ছে। এতে সমাজের দুর্নীতিবাজদের চিত্রায়িত করা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে বাউল লালনের একতারার দিকে কালো হাত বাড়িয়ে দিয়ে যেন দেশীয় সংস্কৃতিতে কালো থাবাকেই শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন। তাদের চিত্রকর্মে গ্রামীণ সমাজের বিবর্তন ও যান্ত্রিক নগরজীবন ফুটে উঠেছে। প্রদর্শনীতে ভবনের ভাঙা খুঁটির ভাস্কর্যে দেখানো হয়েছে সংস্কৃতির দৈন্যদশা, সাম্প্রদায়িকতা আর জাতিগত বিভক্তি। উঠে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমান সময়ের দুর্ভোগের চিত্রও।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, চারুকলা বিভাগ অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আমরা চেষ্টা করছি চারুকলা বিভাগকে একটি স্টুডিও, গ্যালারিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার। আশা করছি, খুব শিগগির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদ নামে একটি আলাদা অনুষদ গঠন করা হবে।

এ শিল্পকলা প্রদর্শনীতে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং, ভাস্কর্য, ব্যাসিক কোর্স— এই চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ফাইয়াজ হোসেন, আশফিকুর রহমান, আতিকুর রহমান, উম্মে তহমিনা জেরীফ মিশু, সুমাইয়া তাহরিন সৃজনী, লিসি আজা, নাঈম মৃধা, রাফিয়া জামান অসমিতা, হৃদয় হোসেন, পরমা দাস, তনু মং প্রু মারমা, জয়িতা দাম, রুদ্র সাহা ও শারমিন আক্তার হিমাকে।এসময় চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ, কলা অনুষদের ডিন রইছ উদদীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শিল্পচার্জ জয়নুল আবেদিনের উত্তরসূরি শিল্প পৃষ্ঠপোষক ময়নুল আবেদিন। অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন।

এমএল/এসএসএইচ

শেষ হলো জবির তৃতীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী ৩য় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। এবারের প্রদর্শনীতে ১৯৫ জন শিল্পীর ৩৪৫টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।

রোববার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চার ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১৪ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।এবারের প্রদর্শনীতে শিল্পীরা রঙতুলিতে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের পরিবর্তনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। একটি ছবিতে দেখা যায়, দলবদ্ধ ইঁদুর খাবার খাচ্ছে। এতে সমাজের দুর্নীতিবাজদের চিত্রায়িত করা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে বাউল লালনের একতারার দিকে কালো হাত বাড়িয়ে দিয়ে যেন দেশীয় সংস্কৃতিতে কালো থাবাকেই শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন। তাদের চিত্রকর্মে গ্রামীণ সমাজের বিবর্তন ও যান্ত্রিক নগরজীবন ফুটে উঠেছে। প্রদর্শনীতে ভবনের ভাঙা খুঁটির ভাস্কর্যে দেখানো হয়েছে সংস্কৃতির দৈন্যদশা, সাম্প্রদায়িকতা আর জাতিগত বিভক্তি। উঠে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমান সময়ের দুর্ভোগের চিত্রও।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, চারুকলা বিভাগ অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আমরা চেষ্টা করছি চারুকলা বিভাগকে একটি স্টুডিও, গ্যালারিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার। আশা করছি, খুব শিগগির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদ নামে একটি আলাদা অনুষদ গঠন করা হবে।

এ শিল্পকলা প্রদর্শনীতে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং, ভাস্কর্য, ব্যাসিক কোর্স— এই চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ফাইয়াজ হোসেন, আশফিকুর রহমান, আতিকুর রহমান, উম্মে তহমিনা জেরীফ মিশু, সুমাইয়া তাহরিন সৃজনী, লিসি আজা, নাঈম মৃধা, রাফিয়া জামান অসমিতা, হৃদয় হোসেন, পরমা দাস, তনু মং প্রু মারমা, জয়িতা দাম, রুদ্র সাহা ও শারমিন আক্তার হিমাকে।এসময় চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ, কলা অনুষদের ডিন রইছ উদদীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শিল্পচার্জ জয়নুল আবেদিনের উত্তরসূরি শিল্প পৃষ্ঠপোষক ময়নুল আবেদিন। অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন।

এমএল/এসএসএইচ