শোকাবহ আগস্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব

বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ও রক্তাক্ত অধ্যায় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। এই দিনেই আমরা আমাদের জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারাই। জাতীয় শোক দিবসে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা ‘শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন’-এ তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী মোজাহিদুল ইসলাম নিরব।

দিনটি আমাদের জন্য শোকের এবং লজ্জার: বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বাঙালি জাতি অনাথ হয়ে যায়। সেদিন রাতে ধানমন্ডি-৩২ হয়ে উঠেছিল রীতিমতো এক কবরস্থান। আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের যোগ্য নেতাকে। এই দিনটি আমাদের জন্য লজ্জার কারণ আমরাই ছিলাম আমাদের মহান নেতার হত্যাকারী। সেই ঘটনার জন্য আমাদের বিশ্বাসঘাতক ও প্রতারকের কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে হয়। সোনার বাংলাকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব এখন আমাদের। দুর্গ গড়ে তুলতে হবে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে, গড়তে হবে সোনার বাংলা। তার আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে প্রস্তুত করতে হবে নিজেদের। তাওহীদ আহমদ সালেহীন, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, প্রথমবর্ষ।

সদ্য স্বাধীন হওয়া জাতির কালো অধ্যায়ের সূচনা: এই দিনে এক কলঙ্কময় ইতিহাস রচিত হয়। এটা ছিলো সদ্য স্বাধীন হওয়া এক জাতির জন্য কালো অধ্যায়। এই অন্ধকারেই জাতি হারায় সোনার বাংলা গড়ার কারিগরকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই কলঙ্কময় ইতিহাস না থাকলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যেতো। তিনি বাংলার প্রতিটি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করেছেন। তরুণদের কাছে তিনি আদর্শের নাম। তার সংগ্রামী জীবন থেকে তরুণ প্রজন্ম অন্যায়ের প্রতিবাদ, ন্যায়ের পথে চলা এবং আত্নবিশ্বাসী হতে শিখে। তারই দেখানো পথে তরুণরা কাজ করে চলেছে তার রেখে যাওয়া অসম্পন্ন দেশকে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে। সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণা, শিক্ষার্থী, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, প্রথমবর্ষ।

রক্তাক্ত আগস্ট নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী: শ্রাবণের সেই বৃষ্টিভেজা দিনগুলোতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর নিজ বাসভবন থেকে হঠাৎ এক ভয়ংকর বুক কেপে ওঠা শব্দ শোনা যায়, তখনই বৃষ্টি ধারার মতো গড়িয়ে পড়ে রক্তের বন্যা। যে বন্যার প্রবল স্রোত বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে ডুবিয়ে ফেলে। হু হু করে কেঁদে ওঠে প্রতিটি বাঙালির বুক। নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী হয় রক্তাক্ত সেই রাত। এই দিনে জাতি গভীরভাবে শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কোটি বাঙালির মনে আজীবন বেঁচে থাকবেন বাংলার এই সূর্য সন্তান। আরজানা হোসেন, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ, প্রথমবর্ষ।

৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতি তাকে ভুলেনি: কলঙ্কময় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আগস্ট আমাদের কাছে আসে শোকের বার্তা নিয়ে। দুর্বিষহ বেদনা নিয়ে ৪৮ বছর ধরে দিনটিকে স্মরণ করে আসছে বাঙালি জাতি। যার হাত ধরে ৩০ লক্ষ মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতা তারই বুকে গুলি করে বিপথগামীরা রচিত করে মর্মান্তিক ইতিহাস। সেদিনের সেই গুলির শব্দে আজও কেপে উঠে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়। ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতি তাকে ভুলেনি। বাঙালি আজও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। মো. জুবায়ের রহমান তন্ময়, শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস অনুষদ, প্রথমবর্ষ।

শোকাবহ আগস্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব

বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ও রক্তাক্ত অধ্যায় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। এই দিনেই আমরা আমাদের জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারাই। জাতীয় শোক দিবসে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা ‘শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন’-এ তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী মোজাহিদুল ইসলাম নিরব।

দিনটি আমাদের জন্য শোকের এবং লজ্জার: বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বাঙালি জাতি অনাথ হয়ে যায়। সেদিন রাতে ধানমন্ডি-৩২ হয়ে উঠেছিল রীতিমতো এক কবরস্থান। আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের যোগ্য নেতাকে। এই দিনটি আমাদের জন্য লজ্জার কারণ আমরাই ছিলাম আমাদের মহান নেতার হত্যাকারী। সেই ঘটনার জন্য আমাদের বিশ্বাসঘাতক ও প্রতারকের কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে হয়। সোনার বাংলাকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব এখন আমাদের। দুর্গ গড়ে তুলতে হবে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে, গড়তে হবে সোনার বাংলা। তার আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে প্রস্তুত করতে হবে নিজেদের। তাওহীদ আহমদ সালেহীন, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, প্রথমবর্ষ।

সদ্য স্বাধীন হওয়া জাতির কালো অধ্যায়ের সূচনা: এই দিনে এক কলঙ্কময় ইতিহাস রচিত হয়। এটা ছিলো সদ্য স্বাধীন হওয়া এক জাতির জন্য কালো অধ্যায়। এই অন্ধকারেই জাতি হারায় সোনার বাংলা গড়ার কারিগরকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই কলঙ্কময় ইতিহাস না থাকলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যেতো। তিনি বাংলার প্রতিটি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করেছেন। তরুণদের কাছে তিনি আদর্শের নাম। তার সংগ্রামী জীবন থেকে তরুণ প্রজন্ম অন্যায়ের প্রতিবাদ, ন্যায়ের পথে চলা এবং আত্নবিশ্বাসী হতে শিখে। তারই দেখানো পথে তরুণরা কাজ করে চলেছে তার রেখে যাওয়া অসম্পন্ন দেশকে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে। সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণা, শিক্ষার্থী, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, প্রথমবর্ষ।

রক্তাক্ত আগস্ট নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী: শ্রাবণের সেই বৃষ্টিভেজা দিনগুলোতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর নিজ বাসভবন থেকে হঠাৎ এক ভয়ংকর বুক কেপে ওঠা শব্দ শোনা যায়, তখনই বৃষ্টি ধারার মতো গড়িয়ে পড়ে রক্তের বন্যা। যে বন্যার প্রবল স্রোত বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে ডুবিয়ে ফেলে। হু হু করে কেঁদে ওঠে প্রতিটি বাঙালির বুক। নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী হয় রক্তাক্ত সেই রাত। এই দিনে জাতি গভীরভাবে শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কোটি বাঙালির মনে আজীবন বেঁচে থাকবেন বাংলার এই সূর্য সন্তান। আরজানা হোসেন, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ, প্রথমবর্ষ।

৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতি তাকে ভুলেনি: কলঙ্কময় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আগস্ট আমাদের কাছে আসে শোকের বার্তা নিয়ে। দুর্বিষহ বেদনা নিয়ে ৪৮ বছর ধরে দিনটিকে স্মরণ করে আসছে বাঙালি জাতি। যার হাত ধরে ৩০ লক্ষ মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতা তারই বুকে গুলি করে বিপথগামীরা রচিত করে মর্মান্তিক ইতিহাস। সেদিনের সেই গুলির শব্দে আজও কেপে উঠে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়। ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতি তাকে ভুলেনি। বাঙালি আজও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। মো. জুবায়ের রহমান তন্ময়, শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস অনুষদ, প্রথমবর্ষ।