সম্মেলনে অনীহা নেতাদের

নিহার সরকার অংকুর

এক বছর মেয়াদি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়নি পাঁচ বছর সাত মাসেও। প্রায় ছয় বছর ধরে একই কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রলীগের এই ইউনিটটির কার্যক্রম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীরা। তারা ফেইসবুকে বিষয়টি নিয়ে করছেন নানা আলোচনা-সমালোচনা। এর আগে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেও আলোচনায় এসেছিল এই ইউনিটটি।

এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ অক্টোবর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৮ নভেম্বর ইউনিটটির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই সম্মেলনের কোনো প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে না ইউনিট নেতাদের। মাত্র দুদিন বাকি থাকলেও এখনো করা হয়নি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার ১২ দিন পরও হয়নি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। এমনকি সম্মেলনের অতিথি নির্ধারণ থেকে শুরু করে সম্মেলনস্থল প্রস্তুতের কাজও হয়নি। অবশ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রস্তুত থাকার কথা জানালেও তার বাস্তব প্রমাণ মেলেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নতুন পদপ্রত্যাশীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পান, যা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন এই নেতা। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে এলে হামলা ও চাপ সৃষ্টির ভয়েই তিনি আসছেন না বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও সভাপতির স্বাক্ষরের অভাবে ঘোষণা করতে পারছেন না সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর পর সম্মেলনের খবরে আমরা একটি উৎসবের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু প্রস্তুতিহীন এমন অবস্থায় আমরা আশাহত। তবে শেষ পর্যন্ত চাই সম্মেলন যেন হয়।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, ‘আমি সম্মেলন করতে প্রস্তুত। কেন্দ্র থেকে অতিথি নির্ধারণ করে দিলেই আমরা কাজ শুরু করব। এছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর পেলেই করা হবে প্রস্তুতি কমিটি।’

তবে সম্মেলন আয়োজনে দৃশ্যমান প্রস্তুতি না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি বেশি সময়ের বিষয় নয়। কেন্দ্র অতিথি নির্ধারণ করে দিলেই আমরা করে ফেলব। কেন্দ্র চাইলে সম্মেলন হবে।’ সভাপতির অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। কেন্দ্র নির্দেশ দিলেই হবে। তবে এই সময়ে প্রেস কমিটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা) হওয়াটাই ভালো। এতে সবার জন্যই ভালো হয়।’ সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ ফেলে ঢাকায় অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কাজেই ঢাকায় আছি।’

অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা সভাপতির অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পাওনাদারদের চাপের কারণে ক্যাম্পাসে আসছেন না সভাপতি। আর উনার না আসার কারণকে মূল কারণ দেখিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতিও দৃশ্যমান হচ্ছে না।’

এদিকে এরইমধ্যে আগামী ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যার কারণে কেন্দ্রীয় এই কমিটির এখন আর নতুন কোনো ইউনিটের কমিটি গঠনের ক্ষমতা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিই বহাল থাকার গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

সম্মেলনে অনীহা নেতাদের

নিহার সরকার অংকুর

এক বছর মেয়াদি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়নি পাঁচ বছর সাত মাসেও। প্রায় ছয় বছর ধরে একই কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রলীগের এই ইউনিটটির কার্যক্রম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীরা। তারা ফেইসবুকে বিষয়টি নিয়ে করছেন নানা আলোচনা-সমালোচনা। এর আগে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেও আলোচনায় এসেছিল এই ইউনিটটি।

এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ অক্টোবর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৮ নভেম্বর ইউনিটটির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই সম্মেলনের কোনো প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে না ইউনিট নেতাদের। মাত্র দুদিন বাকি থাকলেও এখনো করা হয়নি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার ১২ দিন পরও হয়নি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। এমনকি সম্মেলনের অতিথি নির্ধারণ থেকে শুরু করে সম্মেলনস্থল প্রস্তুতের কাজও হয়নি। অবশ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রস্তুত থাকার কথা জানালেও তার বাস্তব প্রমাণ মেলেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নতুন পদপ্রত্যাশীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পান, যা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন এই নেতা। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে এলে হামলা ও চাপ সৃষ্টির ভয়েই তিনি আসছেন না বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও সভাপতির স্বাক্ষরের অভাবে ঘোষণা করতে পারছেন না সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর পর সম্মেলনের খবরে আমরা একটি উৎসবের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু প্রস্তুতিহীন এমন অবস্থায় আমরা আশাহত। তবে শেষ পর্যন্ত চাই সম্মেলন যেন হয়।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, ‘আমি সম্মেলন করতে প্রস্তুত। কেন্দ্র থেকে অতিথি নির্ধারণ করে দিলেই আমরা কাজ শুরু করব। এছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর পেলেই করা হবে প্রস্তুতি কমিটি।’

তবে সম্মেলন আয়োজনে দৃশ্যমান প্রস্তুতি না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি বেশি সময়ের বিষয় নয়। কেন্দ্র অতিথি নির্ধারণ করে দিলেই আমরা করে ফেলব। কেন্দ্র চাইলে সম্মেলন হবে।’ সভাপতির অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। কেন্দ্র নির্দেশ দিলেই হবে। তবে এই সময়ে প্রেস কমিটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা) হওয়াটাই ভালো। এতে সবার জন্যই ভালো হয়।’ সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ ফেলে ঢাকায় অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কাজেই ঢাকায় আছি।’

অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা সভাপতির অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পাওনাদারদের চাপের কারণে ক্যাম্পাসে আসছেন না সভাপতি। আর উনার না আসার কারণকে মূল কারণ দেখিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতিও দৃশ্যমান হচ্ছে না।’

এদিকে এরইমধ্যে আগামী ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যার কারণে কেন্দ্রীয় এই কমিটির এখন আর নতুন কোনো ইউনিটের কমিটি গঠনের ক্ষমতা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিই বহাল থাকার গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।