‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ চবি প্রশাসন’

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (সিইউজেএন) উদ্যোগে চবিসাসের সদস্য ও প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশারফ শাহ্কে ছাত্রলীগের মারধর এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘটা সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনা ও চবিসাস সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবিসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আব্দুর রহিম ও সদস্য মারজান আক্তার।

এছাড়া মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও সিইউজেএন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, চবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ ও সিইউজেএন এর সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজি, সিইউজেএন এর সভাপতি, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ হামিদউল্লাহ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের ব্যুরো চিফ শিমুল নজরুল ইসলাম, সমকালের রিজিওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী।

চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও সিইউজেএন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর গত এক যুগে আমরা মাঝেমাঝে বিভিন্ন প্রোগ্রামে এসেছি এ ক্যাম্পাসে। কিন্তু গত কয়েক মাসে আমাদেরকে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বেশ কয়েকবার আসতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আজ আমরা আর বিচার চাইতে আসিনি। কারণ আমরা জানি কোনো বিচার পাবো না। আমরা শুধু নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।

চবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ ও সিইউজেএন এর সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, গত দুই বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। হামলাকারীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেয়েছে। মনে রাখবেন, আমরা লিখতে যেমন জানি, প্রতিবাদ জানাতেও জানি।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজি বলেন, মারজান আক্তার, দোস্ত মোহাম্মদ, মোশাররফ শাহ-একে একে আমাদের বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। আমার মনে হয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বরং খুশি হয়েছে সাংবাদিকদের মারধর করায়। কারণ সাংবাদিকরা প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম তুলে ধরছে। এ সবকিছুর পেছনে অন্যতম কারণ হলো-এখানে ভিসি, প্রো-ভিসি এগুলো হঠাৎ নাজিল হয়। দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যদি প্রশাসনের দায়িত্বে আসতেন তারা তাহলে তাদের দায়বদ্ধতা থাকতো। আমরা মোশাররফের ওপর হামলাকারীদের বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনও যেন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হয়, সেই প্রত্যাশা করি।

সিইউজেএন এর সভাপতি, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ হামিদউল্লাহ বলেন, এ ক্যাম্পাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল অনিয়মে এদের হাত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে অন্যায় অনিয়মকে নিয়ে সাংবাদিকরা লিখছে বলেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের সভাপতি, যার কি-না ১২ থেকে ১৪ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ। পৃথিবীর কোনো দেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার নজির নেই। আমরা এরকম প্রতিবাদে আর দাঁড়াতে চাই না। আগামীতে আমরা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে দাঁড়াব।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের ব্যুরো চিফ শিমুল নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের দলীয়করণ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, উনারাও কথা বলতে এবং ব্যবস্থা নিতে সাহস পান না। খুব বেশিদিন নেই, যখন আপনাদের ওপরও এমন হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না তারা। আপনারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য এই উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। একদিন তারা আপনাদেরও মাথা ভেঙে দিবে। সেদিনও আমরা লিখবো।

সমকালের রিজিওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন বলেন, এ ক্যাম্পাসে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। এখানে আমরাও সাংবাদিকতা করেছি। কিন্তু এমন মেরুদণ্ডহীন, নির্লজ্জ প্রশাসন আমরা কখনো দেখিনি। মারজান আক্তারের ঘটনায় কয়েক দফায় তদন্ত কমিটি করেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বলতে চাই, আপনি বেশিদিন এ চেয়ারে থাকতে পারবেন না। তবে সম্মানের সঙ্গে যাবেন কি-না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি ছাত্রলীগের মাথা না হয়ে সকল শিক্ষার্থীর মাথা হোন। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুণ, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস না পায়।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সবসময় হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। মোশাররফের ওপর হামলা একেবারেই পরিকল্পিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নামকাওয়াস্তে শাস্তি হয়েছে। আপনি যদি শাস্তি দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা বুঝে নেব আপনি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এমনকি আমরা দেখেছি সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এটা প্রশাসনের মদদ ছাড়া সম্ভব না। আজকে শিক্ষকরাও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না। গণমাধ্যমকর্মীদের এ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে অছাত্ররা হল ত্যাগ করেছে কি-না, প্রশাসনকে সে প্রশ্নও করুন।

ইবিহো/এসএস

‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ চবি প্রশাসন’

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (সিইউজেএন) উদ্যোগে চবিসাসের সদস্য ও প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশারফ শাহ্কে ছাত্রলীগের মারধর এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘটা সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনা ও চবিসাস সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবিসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আব্দুর রহিম ও সদস্য মারজান আক্তার।

এছাড়া মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও সিইউজেএন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, চবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ ও সিইউজেএন এর সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজি, সিইউজেএন এর সভাপতি, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ হামিদউল্লাহ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের ব্যুরো চিফ শিমুল নজরুল ইসলাম, সমকালের রিজিওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী।

চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও সিইউজেএন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর গত এক যুগে আমরা মাঝেমাঝে বিভিন্ন প্রোগ্রামে এসেছি এ ক্যাম্পাসে। কিন্তু গত কয়েক মাসে আমাদেরকে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বেশ কয়েকবার আসতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আজ আমরা আর বিচার চাইতে আসিনি। কারণ আমরা জানি কোনো বিচার পাবো না। আমরা শুধু নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।

চবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ ও সিইউজেএন এর সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, গত দুই বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। হামলাকারীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেয়েছে। মনে রাখবেন, আমরা লিখতে যেমন জানি, প্রতিবাদ জানাতেও জানি।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজি বলেন, মারজান আক্তার, দোস্ত মোহাম্মদ, মোশাররফ শাহ-একে একে আমাদের বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। আমার মনে হয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বরং খুশি হয়েছে সাংবাদিকদের মারধর করায়। কারণ সাংবাদিকরা প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম তুলে ধরছে। এ সবকিছুর পেছনে অন্যতম কারণ হলো-এখানে ভিসি, প্রো-ভিসি এগুলো হঠাৎ নাজিল হয়। দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যদি প্রশাসনের দায়িত্বে আসতেন তারা তাহলে তাদের দায়বদ্ধতা থাকতো। আমরা মোশাররফের ওপর হামলাকারীদের বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনও যেন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হয়, সেই প্রত্যাশা করি।

সিইউজেএন এর সভাপতি, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ হামিদউল্লাহ বলেন, এ ক্যাম্পাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল অনিয়মে এদের হাত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে অন্যায় অনিয়মকে নিয়ে সাংবাদিকরা লিখছে বলেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের সভাপতি, যার কি-না ১২ থেকে ১৪ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ। পৃথিবীর কোনো দেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার নজির নেই। আমরা এরকম প্রতিবাদে আর দাঁড়াতে চাই না। আগামীতে আমরা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে দাঁড়াব।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের ব্যুরো চিফ শিমুল নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের দলীয়করণ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, উনারাও কথা বলতে এবং ব্যবস্থা নিতে সাহস পান না। খুব বেশিদিন নেই, যখন আপনাদের ওপরও এমন হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না তারা। আপনারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য এই উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। একদিন তারা আপনাদেরও মাথা ভেঙে দিবে। সেদিনও আমরা লিখবো।

সমকালের রিজিওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন বলেন, এ ক্যাম্পাসে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। এখানে আমরাও সাংবাদিকতা করেছি। কিন্তু এমন মেরুদণ্ডহীন, নির্লজ্জ প্রশাসন আমরা কখনো দেখিনি। মারজান আক্তারের ঘটনায় কয়েক দফায় তদন্ত কমিটি করেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বলতে চাই, আপনি বেশিদিন এ চেয়ারে থাকতে পারবেন না। তবে সম্মানের সঙ্গে যাবেন কি-না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি ছাত্রলীগের মাথা না হয়ে সকল শিক্ষার্থীর মাথা হোন। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুণ, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস না পায়।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সবসময় হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। মোশাররফের ওপর হামলা একেবারেই পরিকল্পিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নামকাওয়াস্তে শাস্তি হয়েছে। আপনি যদি শাস্তি দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা বুঝে নেব আপনি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এমনকি আমরা দেখেছি সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এটা প্রশাসনের মদদ ছাড়া সম্ভব না। আজকে শিক্ষকরাও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না। গণমাধ্যমকর্মীদের এ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে অছাত্ররা হল ত্যাগ করেছে কি-না, প্রশাসনকে সে প্রশ্নও করুন।

ইবিহো/এসএস