সুষ্ঠু সময় ব্যবস্থাপনা

জীবন সময়ের সমষ্টি। তাই সফলতার জন্য সুষ্ঠু সময় ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা জীবনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। শিক্ষার্থীদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিপুল জামান

দৈনন্দিন কর্মসূচি : প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে হয় তার সবই দৈনন্দিন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। আমরা সাধারণত যে রুটিন তৈরি করি তা মূলত দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচিই। এই কর্মসূচিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকে। দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচি তৈরির সময় লক্ষ রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ও অবশ্য করণীয় কাজগুলোর জন্য যেন যথেষ্ট সময় থাকে। করণীয় কাজের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পায়, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর কাছে অধ্যয়নই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। দিনের যে সময় পড়তে ভালো লাগে, যতক্ষণ পড়তে ভালো লাগে সে অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পূর্ণ করো। পড়াশোনার সময়কে অগ্রাধিকার দিয়ে দিনের অন্যান্য কাজ কর্মসূচিতে সমন্বয় করো।

সাপ্তাহিক কর্মসূচি : যে কাজগুলো প্রতিদিন করার প্রয়োজন হয় না কিন্তু সপ্তাহে অন্তত একবার করার প্রয়োজন হয় তেমন কাজ সম্পন্ন করার যে কর্মসূচি তৈরি করা হয় তাকে আমরা বলতে পারি সাপ্তাহিক কর্মসূচি। বাসার কাজ যেমন বাজার করা, পড়ার টেবিল গোছানো, জামা-কাপড় পরিষ্কার ইত্যাদিকে সাপ্তাহিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে পারো। তা ছাড়া সারা সপ্তাহের পড়াগুলোকে গুছানোর জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কাজে লাগানো যেতে পারে। দক্ষতা অর্জনমূলক কাজ যেমন কম্পিউটার শেখা, গান শেখা, আবৃত্তি শেখা, নতুন ভাষা শেখা ইত্যাদির অনুশীলনের জন্য সময় নির্ধারণও সাপ্তাহিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।

মাসিক কর্মসূচি : কোনো বিষয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা সাধারণত মাস ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাই মাসের শুরুতে কবে কোন মূল্যায়ন পরীক্ষা আছে তা দিনপঞ্জিতে চিহ্নিত করো এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে থাকো। আত্মসমালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাসের শুরুতে বিগত মাসের কাজের পর্যালোচনা করতে পারো। আত্মপর্যালোচনা শেষে বার্ষিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরের মাসের কর্মসূচি তৈরি করো।

বার্ষিক কর্মসূচি : বছরের প্রথমেই বার্ষিক লক্ষ্য নির্ধারণ করো। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী কাজ করা দরকার তার একটি তালিকা তৈরি করো। কোন কাজ কখন করবে তা চিহ্নিত করো। প্রচলিত ক্যালেন্ডারে এ সময়গুলো চিহ্নিত করো। বছরের শুরুতেই একটি ডায়েরি সংগ্রহ করে তারিখ অনুযায়ী লিখেও রাখতে পারো। বার্ষিক লক্ষ্য হতে পারে নতুন কোনো ভাষা শেখা, নতুন কোনো স্থান ভ্রমণ করা, কম্পিউটারের কোনো কোর্স করা ইত্যাদি।

সময় ব্যবস্থার এই তিনটি পর্যায়ের কর্মসূচি তৈরিতে প্রয়োজনে বাবা-মা, শিক্ষক বা বড় অন্য কোনো অভিভাবকেরও সাহায্য নিতে পারো।

সুষ্ঠু সময় ব্যবস্থাপনা

জীবন সময়ের সমষ্টি। তাই সফলতার জন্য সুষ্ঠু সময় ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা জীবনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। শিক্ষার্থীদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিপুল জামান

দৈনন্দিন কর্মসূচি : প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে হয় তার সবই দৈনন্দিন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। আমরা সাধারণত যে রুটিন তৈরি করি তা মূলত দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচিই। এই কর্মসূচিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকে। দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচি তৈরির সময় লক্ষ রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ও অবশ্য করণীয় কাজগুলোর জন্য যেন যথেষ্ট সময় থাকে। করণীয় কাজের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পায়, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর কাছে অধ্যয়নই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। দিনের যে সময় পড়তে ভালো লাগে, যতক্ষণ পড়তে ভালো লাগে সে অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পূর্ণ করো। পড়াশোনার সময়কে অগ্রাধিকার দিয়ে দিনের অন্যান্য কাজ কর্মসূচিতে সমন্বয় করো।

সাপ্তাহিক কর্মসূচি : যে কাজগুলো প্রতিদিন করার প্রয়োজন হয় না কিন্তু সপ্তাহে অন্তত একবার করার প্রয়োজন হয় তেমন কাজ সম্পন্ন করার যে কর্মসূচি তৈরি করা হয় তাকে আমরা বলতে পারি সাপ্তাহিক কর্মসূচি। বাসার কাজ যেমন বাজার করা, পড়ার টেবিল গোছানো, জামা-কাপড় পরিষ্কার ইত্যাদিকে সাপ্তাহিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে পারো। তা ছাড়া সারা সপ্তাহের পড়াগুলোকে গুছানোর জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কাজে লাগানো যেতে পারে। দক্ষতা অর্জনমূলক কাজ যেমন কম্পিউটার শেখা, গান শেখা, আবৃত্তি শেখা, নতুন ভাষা শেখা ইত্যাদির অনুশীলনের জন্য সময় নির্ধারণও সাপ্তাহিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।

মাসিক কর্মসূচি : কোনো বিষয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা সাধারণত মাস ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাই মাসের শুরুতে কবে কোন মূল্যায়ন পরীক্ষা আছে তা দিনপঞ্জিতে চিহ্নিত করো এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে থাকো। আত্মসমালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাসের শুরুতে বিগত মাসের কাজের পর্যালোচনা করতে পারো। আত্মপর্যালোচনা শেষে বার্ষিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরের মাসের কর্মসূচি তৈরি করো।

বার্ষিক কর্মসূচি : বছরের প্রথমেই বার্ষিক লক্ষ্য নির্ধারণ করো। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী কাজ করা দরকার তার একটি তালিকা তৈরি করো। কোন কাজ কখন করবে তা চিহ্নিত করো। প্রচলিত ক্যালেন্ডারে এ সময়গুলো চিহ্নিত করো। বছরের শুরুতেই একটি ডায়েরি সংগ্রহ করে তারিখ অনুযায়ী লিখেও রাখতে পারো। বার্ষিক লক্ষ্য হতে পারে নতুন কোনো ভাষা শেখা, নতুন কোনো স্থান ভ্রমণ করা, কম্পিউটারের কোনো কোর্স করা ইত্যাদি।

সময় ব্যবস্থার এই তিনটি পর্যায়ের কর্মসূচি তৈরিতে প্রয়োজনে বাবা-মা, শিক্ষক বা বড় অন্য কোনো অভিভাবকেরও সাহায্য নিতে পারো।