সেন্টমার্টিনে শিক্ষাসফর, ৩০ মিনিটে ৬৫ কেজি প্লাস্টিক সংগ্রহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিবেদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সেন্ট মার্টিনের ৬০০ মিটার এলাকা থেকে মাত্র ৩০ মিনিটে ৬৫ কেজি প্লাস্টিক সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাছবি: সংগৃহীত

লিখিত বিবরণীতে আরও বলা হয়, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ বলে ঘোষণা করে সরকার। সেন্ট মার্টিনকে রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম চললেও এখনো এখানে প্লাস্টিক দূষণ একটি ভয়াবহ সমস্যা বলে চিহ্নিত। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের ভিড়ে অতিরিক্ত প্লাস্টিক দূষণ গ্রাস করছে এখানকার জীববৈচিত্র্যকে। মাত্র ৩০ মিনিটে ৬০০ মিটার এলাকায় ৬৫ কেজি প্লাস্টিকের উপস্থিতি এটিই নির্দেশ করে যে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই আমরা প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ এই দ্বীপকে হারাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এমন উদ্যোগ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষাসফরের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। এ রকম কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজেরা নিজেদের ও আশপাশের মানুষদের সচেতন করতে পারবেন, একইভাবে জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ এলাকাগুলো রক্ষা পাবে পরিবেশদূষণের হাত থেকে।সেন্ট মার্টিন কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। প্রশাসনিকভাবে দ্বীপটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে গ্রাম আছে নয়টি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই দ্বীপের আয়তন ১৩ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। আছে দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল, সরকারি ভবনসহ অন্তত ৩ হাজার বসতবাড়ি। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শুরু করে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত এই দ্বীপে বেড়াতে যান পর্যটকেরা।বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আছে ৪০ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ক বা কড়ি–জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদসহ নানা প্রজাতির প্রাণী।

সেন্টমার্টিনে শিক্ষাসফর, ৩০ মিনিটে ৬৫ কেজি প্লাস্টিক সংগ্রহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিবেদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সেন্ট মার্টিনের ৬০০ মিটার এলাকা থেকে মাত্র ৩০ মিনিটে ৬৫ কেজি প্লাস্টিক সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাছবি: সংগৃহীত

লিখিত বিবরণীতে আরও বলা হয়, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ বলে ঘোষণা করে সরকার। সেন্ট মার্টিনকে রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম চললেও এখনো এখানে প্লাস্টিক দূষণ একটি ভয়াবহ সমস্যা বলে চিহ্নিত। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের ভিড়ে অতিরিক্ত প্লাস্টিক দূষণ গ্রাস করছে এখানকার জীববৈচিত্র্যকে। মাত্র ৩০ মিনিটে ৬০০ মিটার এলাকায় ৬৫ কেজি প্লাস্টিকের উপস্থিতি এটিই নির্দেশ করে যে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই আমরা প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ এই দ্বীপকে হারাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এমন উদ্যোগ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষাসফরের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। এ রকম কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজেরা নিজেদের ও আশপাশের মানুষদের সচেতন করতে পারবেন, একইভাবে জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ এলাকাগুলো রক্ষা পাবে পরিবেশদূষণের হাত থেকে।সেন্ট মার্টিন কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। প্রশাসনিকভাবে দ্বীপটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে গ্রাম আছে নয়টি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই দ্বীপের আয়তন ১৩ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। আছে দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল, সরকারি ভবনসহ অন্তত ৩ হাজার বসতবাড়ি। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শুরু করে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত এই দ্বীপে বেড়াতে যান পর্যটকেরা।বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আছে ৪০ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ক বা কড়ি–জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদসহ নানা প্রজাতির প্রাণী।