স্বপ্ন যাঁদের সরকারি মেডিকেল কলেজ

সামিহা সারা

প্রতীকী ছবি

পর্ব-১
এইচএসসি পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার। যেহেতু এইচএসসির পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিন মাসের মতো সময় পাওয়া যায়, তাই প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। কিছু পদ্ধতি ও পড়াশোনার কৌশলই হতে পারে স্বপ্নপূরণের সহায়ক।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, ইংরেজিতে ১৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় থাকবে ৩৬ সেকেন্ড এবং ১০০টি এমসিকিউর জন্য মোট ৬০ মিনিট বা এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে।

বই সিলেকশন
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় বই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বইয়ের বিকল্প কিছুই নেই। তবে বাজারে অনেক লেখকের বই পাওয়া যায়, কোন বইয়ের জন্য কোন লেখকের বই পড়তে হবে সেগুলো হলো–

  • প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য গাজী আজমল স্যারের বই অবশ্যই পড়তে হবে। পাশাপাশি আলিম স্যারের বই অপশনাল হিসেবে পড়া যেতে পারে।
  • উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবুল হাসান স্যারের বই পড়তে হবে।
  • রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য হাজারী স্যারের বই অবশ্যই পড়তে হবে।
  • পদার্থবিজ্ঞানের জন্য ইসাক স্যারের বই অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।
  • ইংরেজির জন্য অ্যাপেক্স বা বাজারে ভালো মানের কোনো বই অনুসরণ করা যেতে পারে। অথবা কোচিং থেকে দেওয়া বই অনুসরণ করলেও যথেষ্ট।
  • সাধারণ জ্ঞানের জন্য জুবায়ের জিকে বা কোচিং থেকে দেওয়া নোটস অনুসরণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

প্রাণিবিজ্ঞান
এই বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রথম অধ্যায়, অর্থাৎ প্রাণী বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস। এখান থেকে প্রতিবছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দুটি বা তারও বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। তাই এ অধ্যায়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে জানতে হবে। প্রতিটি পর্বের প্রাণীকে আলাদাভাবে চেনার জন্য যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন রেচননালি বা শিখা কোষ কোন পর্বের প্রাণীর মাঝে দেখা যায়। আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক, ট্রোকোফোর নামের লার্ভার বিকাশ ঘটে কোন পর্বে? এ ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে এই অধ্যায় থেকে। যেহেতু ইংরেজি শব্দ দিয়ে কিছু কিছু প্রশ্ন করা হয়, তাই ইংরেজি শব্দগুলো আয়ত্ত করতে হবে। প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিটি অধ্যায় এবং প্রতিটি লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বোল্ড করে লেখাগুলো অবশ্যই পড়তে হবে। এ ছাড়া কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন এন্ডোস্টাইল নামক অঙ্গ পরবর্তী সময়ে কিসে রূপান্তরিত হয়? এ ছাড়া অধ্যায়ের শেষে যে পার্থক্য বা ছক থাকে, সেগুলো অবশ্যই পড়তে হবে উদাহরণসহ।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে হাইড্রা, ঘাসফড়িং, রুই মাছ, এগুলোর কমন কিছু বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, জনন, চলন, শ্বাসতন্ত্র এসব জানতে হবে। তৃতীয় অধ্যায়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পৌষ্টিক নালি বিভিন্ন অংশে খাদ্য পরিপাকের রূপান্তর ছকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া পরিপাকে হরমোনের ভূমিকা, যকৃৎ এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চতুর্থ অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ের প্রতিটি লাইন ভালোভাবে জানতে হবে। প্রতিটি রক্তকণিকার কাজ, রক্ত-সম্পর্কিত যত রকম তথ্য আছে এবং হৃৎপিণ্ডের টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চম অধ্যায় প্রথম ৪ থেকে ৫ পৃষ্ঠা খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিভিন্ন অংশ ও সংগ্রাহী নালির কাজের ছক ভালোভাবে জানতে হবে। এ ছাড়া ডায়ালাইসিসের উপাদান, হরমোনের ক্রিয়া, মূত্রের বৈশিষ্ট্য, উপাদান, বৃক্কের বাহ্যিক ও সূক্ষ্ম গঠন জানতে হবে। এ ছাড়া কিছু পরিমাণ ও মান রয়েছে, সেগুলো মুখস্থ করতে হবে। অষ্টম অধ্যায়ে করোটিক স্নায়ু, উৎস, শাখা, বিস্তার, প্রকৃতি কাজ নিয়ে যে ছকটি আছে, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই এ ছক থেকে ন্যূনতম একটি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। এভাবে প্রতি অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক বুঝে পড়তে হবে এবং অনুশীলনীতে যে প্রশ্নগুলো থাকে, সেগুলো সমাধান করতে হবে। বিগত বছরে আসা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে এবং নিজে নিজে পরীক্ষা দিতে হবে। [বাকি অংশ আগামী পর্বে]

স্বপ্ন যাঁদের সরকারি মেডিকেল কলেজ

সামিহা সারা

প্রতীকী ছবি

পর্ব-১
এইচএসসি পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার। যেহেতু এইচএসসির পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিন মাসের মতো সময় পাওয়া যায়, তাই প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। কিছু পদ্ধতি ও পড়াশোনার কৌশলই হতে পারে স্বপ্নপূরণের সহায়ক।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, ইংরেজিতে ১৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় থাকবে ৩৬ সেকেন্ড এবং ১০০টি এমসিকিউর জন্য মোট ৬০ মিনিট বা এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে।

বই সিলেকশন
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় বই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বইয়ের বিকল্প কিছুই নেই। তবে বাজারে অনেক লেখকের বই পাওয়া যায়, কোন বইয়ের জন্য কোন লেখকের বই পড়তে হবে সেগুলো হলো–

  • প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য গাজী আজমল স্যারের বই অবশ্যই পড়তে হবে। পাশাপাশি আলিম স্যারের বই অপশনাল হিসেবে পড়া যেতে পারে।
  • উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবুল হাসান স্যারের বই পড়তে হবে।
  • রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য হাজারী স্যারের বই অবশ্যই পড়তে হবে।
  • পদার্থবিজ্ঞানের জন্য ইসাক স্যারের বই অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।
  • ইংরেজির জন্য অ্যাপেক্স বা বাজারে ভালো মানের কোনো বই অনুসরণ করা যেতে পারে। অথবা কোচিং থেকে দেওয়া বই অনুসরণ করলেও যথেষ্ট।
  • সাধারণ জ্ঞানের জন্য জুবায়ের জিকে বা কোচিং থেকে দেওয়া নোটস অনুসরণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

প্রাণিবিজ্ঞান
এই বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রথম অধ্যায়, অর্থাৎ প্রাণী বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস। এখান থেকে প্রতিবছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দুটি বা তারও বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। তাই এ অধ্যায়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে জানতে হবে। প্রতিটি পর্বের প্রাণীকে আলাদাভাবে চেনার জন্য যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন রেচননালি বা শিখা কোষ কোন পর্বের প্রাণীর মাঝে দেখা যায়। আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক, ট্রোকোফোর নামের লার্ভার বিকাশ ঘটে কোন পর্বে? এ ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে এই অধ্যায় থেকে। যেহেতু ইংরেজি শব্দ দিয়ে কিছু কিছু প্রশ্ন করা হয়, তাই ইংরেজি শব্দগুলো আয়ত্ত করতে হবে। প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিটি অধ্যায় এবং প্রতিটি লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বোল্ড করে লেখাগুলো অবশ্যই পড়তে হবে। এ ছাড়া কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন এন্ডোস্টাইল নামক অঙ্গ পরবর্তী সময়ে কিসে রূপান্তরিত হয়? এ ছাড়া অধ্যায়ের শেষে যে পার্থক্য বা ছক থাকে, সেগুলো অবশ্যই পড়তে হবে উদাহরণসহ।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে হাইড্রা, ঘাসফড়িং, রুই মাছ, এগুলোর কমন কিছু বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, জনন, চলন, শ্বাসতন্ত্র এসব জানতে হবে। তৃতীয় অধ্যায়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পৌষ্টিক নালি বিভিন্ন অংশে খাদ্য পরিপাকের রূপান্তর ছকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া পরিপাকে হরমোনের ভূমিকা, যকৃৎ এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চতুর্থ অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ের প্রতিটি লাইন ভালোভাবে জানতে হবে। প্রতিটি রক্তকণিকার কাজ, রক্ত-সম্পর্কিত যত রকম তথ্য আছে এবং হৃৎপিণ্ডের টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চম অধ্যায় প্রথম ৪ থেকে ৫ পৃষ্ঠা খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিভিন্ন অংশ ও সংগ্রাহী নালির কাজের ছক ভালোভাবে জানতে হবে। এ ছাড়া ডায়ালাইসিসের উপাদান, হরমোনের ক্রিয়া, মূত্রের বৈশিষ্ট্য, উপাদান, বৃক্কের বাহ্যিক ও সূক্ষ্ম গঠন জানতে হবে। এ ছাড়া কিছু পরিমাণ ও মান রয়েছে, সেগুলো মুখস্থ করতে হবে। অষ্টম অধ্যায়ে করোটিক স্নায়ু, উৎস, শাখা, বিস্তার, প্রকৃতি কাজ নিয়ে যে ছকটি আছে, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই এ ছক থেকে ন্যূনতম একটি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। এভাবে প্রতি অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক বুঝে পড়তে হবে এবং অনুশীলনীতে যে প্রশ্নগুলো থাকে, সেগুলো সমাধান করতে হবে। বিগত বছরে আসা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে এবং নিজে নিজে পরীক্ষা দিতে হবে। [বাকি অংশ আগামী পর্বে]