স্বাধীনতা দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব

সিয়াম হোসেন, রাকিব আল হাসান শরৎ ও ইফতিসামূল হক নিহাল।

আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। নিজেদের স্বাধীনতা আদায় করতে ৫২ বছর আগেই বাঙালি ছিড়ে ফেলেছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদের অন্যায়ভাবে বেঁধে দেওয়া শিকল, ভেঙে দিয়েছিল ঐ লৌহ কপাটের দুর্গ। সকল অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে নিজেদের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার অধিকারের পাশাপশি পেয়েছে স্বাধীন একটি দেশ, লাল সবুজ পতাকা আর একটি জাতীয় সংগীত। স্বাধীনতা দিবস আজ তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা এই মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরছেন শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী মোজাহিদুল ইসলাম নিরব।

‘স্বাধীনতার সুফল পেয়েছি কিনা এমন প্রশ্ন অসঙ্গত, অপ্রত্যাশিত নয়’

মানুষ যখন তার জন্মগত অধিকার থেকে অন্যের দ্বারা বঞ্চিত হয়, তখনই সে প্রতিবাদ করে। আমরা শোষণ ও বঞ্চনারই শিকার হয়েছিলাম। শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তি পেতে আমরা স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে অর্জন করেছে স্বাধীনতা। জাতি আজ স্বাধীনতার ৫২টি বসন্ত পার করলেও এখনও নিশ্চিত করা যায়নি প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা। হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, মারামারি, লুটপাট দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ধরনের ব্যর্থতার উদাহরণ অগণিত। কথায় আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছি কিনা, স্বাধীনতার সুফল পেয়েছি কিনা এমন প্রশ্ন অসঙ্গত, অপ্রত্যাশিত, অন্যায় নয়। দেশে বিদ্যমান সকল অপকর্ম, অপরাধ দুরীভূত হোক। বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নশীল দেশ নয়, উন্নত দেশে পরিণত হোক। বাস্তবিক অর্থেই বাংলাদেশ ‘সোনার বাংলায়’ পরিণত হোক।

রাকিব আল হাসান শরৎ, ১ম বর্ষ, আইন বিভাগ

‘স্বাধীনতার সাথে লেগে আছে তাজা রক্তের গন্ধ’

দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার দামাল ছেলেরা এনে দেয় স্বাধীন একটি ভূখণ্ড। বাংলার মানুষ স্বাধীনভাবে জীবনযাপন শুরু করে। স্বাধীনতার সাথে লেগে আছে ৩০ লক্ষ শহিদের তাজা রক্তের গন্ধ। রক্তের বিনিময়ে আনা স্বাধীনতা অর্জন করার পর সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষা করা। ৭১-এ বাংলার দামাল ছেলেরা এনে দিয়েছিলো স্বাধীনতা। এখন সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা বর্তমান তারুণ্যের দায়িত্ব। দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নতি সাধনে হাতে হাত রেখে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন আমাদেরই দায়িত্ব। অর্জন করা স্বাধীনতাকে রক্ষা করে সামনে এগিয়ে চলাই হবে স্বাধীনতা অর্জন করার সার্থকতা।

ইফতিসামূল হক নিহাল, ১ম বর্ষ, সমাজকর্ম ও সমাজবিজ্ঞান

‘স্বাধীনতা তার কাঁধের ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে এসেছে’

দীর্ঘ যুদ্ধের পর স্বাধীনতা এসেছে, তার কাঁধের ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে এসেছে। বাংলার মানুষের বহুদিনের আশা পূরণ হয়েছে ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে। একটি স্বাধীন দেশ, পতাকা আর স্বাধীনভাবে বাঁচার ইচ্ছে ছিলো সেই ইংরেজ আমল থেকে। অবশেষে বহু বছরের অপেক্ষার পর শত লাঞ্ছনা সহ্য করে, শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে। বাঙালি জাতি নতুন করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখেছে, স্বাধীনভাবে হাঁসতে শিখেছে। মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের সেই নিপীড়িক দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়, পরমুহূর্তেই আবার বীরের মতো যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করার স্মৃতি যেন আমাদের অহংকার। যারা শরীরের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এনে দিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা, আজকের মহান স্বাধীনতা দিবসে তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

সিয়াম হোসেন, প্রথমবর্ষ, বিবিএ

লেখা: শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব

সিয়াম হোসেন, রাকিব আল হাসান শরৎ ও ইফতিসামূল হক নিহাল।

আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। নিজেদের স্বাধীনতা আদায় করতে ৫২ বছর আগেই বাঙালি ছিড়ে ফেলেছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদের অন্যায়ভাবে বেঁধে দেওয়া শিকল, ভেঙে দিয়েছিল ঐ লৌহ কপাটের দুর্গ। সকল অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে নিজেদের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার অধিকারের পাশাপশি পেয়েছে স্বাধীন একটি দেশ, লাল সবুজ পতাকা আর একটি জাতীয় সংগীত। স্বাধীনতা দিবস আজ তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা এই মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরছেন শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী মোজাহিদুল ইসলাম নিরব।

‘স্বাধীনতার সুফল পেয়েছি কিনা এমন প্রশ্ন অসঙ্গত, অপ্রত্যাশিত নয়’

মানুষ যখন তার জন্মগত অধিকার থেকে অন্যের দ্বারা বঞ্চিত হয়, তখনই সে প্রতিবাদ করে। আমরা শোষণ ও বঞ্চনারই শিকার হয়েছিলাম। শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তি পেতে আমরা স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে অর্জন করেছে স্বাধীনতা। জাতি আজ স্বাধীনতার ৫২টি বসন্ত পার করলেও এখনও নিশ্চিত করা যায়নি প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা। হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, মারামারি, লুটপাট দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ধরনের ব্যর্থতার উদাহরণ অগণিত। কথায় আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছি কিনা, স্বাধীনতার সুফল পেয়েছি কিনা এমন প্রশ্ন অসঙ্গত, অপ্রত্যাশিত, অন্যায় নয়। দেশে বিদ্যমান সকল অপকর্ম, অপরাধ দুরীভূত হোক। বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নশীল দেশ নয়, উন্নত দেশে পরিণত হোক। বাস্তবিক অর্থেই বাংলাদেশ ‘সোনার বাংলায়’ পরিণত হোক।

রাকিব আল হাসান শরৎ, ১ম বর্ষ, আইন বিভাগ

‘স্বাধীনতার সাথে লেগে আছে তাজা রক্তের গন্ধ’

দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার দামাল ছেলেরা এনে দেয় স্বাধীন একটি ভূখণ্ড। বাংলার মানুষ স্বাধীনভাবে জীবনযাপন শুরু করে। স্বাধীনতার সাথে লেগে আছে ৩০ লক্ষ শহিদের তাজা রক্তের গন্ধ। রক্তের বিনিময়ে আনা স্বাধীনতা অর্জন করার পর সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষা করা। ৭১-এ বাংলার দামাল ছেলেরা এনে দিয়েছিলো স্বাধীনতা। এখন সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা বর্তমান তারুণ্যের দায়িত্ব। দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নতি সাধনে হাতে হাত রেখে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন আমাদেরই দায়িত্ব। অর্জন করা স্বাধীনতাকে রক্ষা করে সামনে এগিয়ে চলাই হবে স্বাধীনতা অর্জন করার সার্থকতা।

ইফতিসামূল হক নিহাল, ১ম বর্ষ, সমাজকর্ম ও সমাজবিজ্ঞান

‘স্বাধীনতা তার কাঁধের ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে এসেছে’

দীর্ঘ যুদ্ধের পর স্বাধীনতা এসেছে, তার কাঁধের ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে এসেছে। বাংলার মানুষের বহুদিনের আশা পূরণ হয়েছে ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে। একটি স্বাধীন দেশ, পতাকা আর স্বাধীনভাবে বাঁচার ইচ্ছে ছিলো সেই ইংরেজ আমল থেকে। অবশেষে বহু বছরের অপেক্ষার পর শত লাঞ্ছনা সহ্য করে, শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে। বাঙালি জাতি নতুন করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখেছে, স্বাধীনভাবে হাঁসতে শিখেছে। মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের সেই নিপীড়িক দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়, পরমুহূর্তেই আবার বীরের মতো যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করার স্মৃতি যেন আমাদের অহংকার। যারা শরীরের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এনে দিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা, আজকের মহান স্বাধীনতা দিবসে তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

সিয়াম হোসেন, প্রথমবর্ষ, বিবিএ

লেখা: শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়