হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ

আসির ইসহাক তাসওয়ার

আসির ইসহাক তাসওয়ার।

ইউরোপে পড়ালেখার মান বেশ ভালো। বৃত্তির সুবিধা এবং পড়া শেষে চাকরির সুযোগ থাকায় অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে পাড়ি জমান। দেশটির উল্লেখযোগ্য একটি ফুল-ফান্ডেড বৃত্তি হলো ‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ’। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট মাস্টার্স ও ডক্টরাল পর্যায়ে পড়তে পারবেন।সাধারণত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই স্কলারশিপের আবেদন নেওয়া শুরু হয়। আর তা চলে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত।

যেসব বিষয় থাকা জরুরি
স্কলারশিপ পেতে হলে অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করতে হবে। আর আইইএলটিএসে ৭-৭.৫-এর মধ্যে স্কোর করা ভালো। সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে সম্পৃক্ত থাকলে খুবই ভালো। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, সহশিক্ষা কার্যক্রমের সার্টিফিকেট, শিক্ষকের দেওয়া রেকমেন্ডেশন লেটারও সঙ্গে রাখতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মোটিভেশনাল লেটার। রেকমেন্ডেশন লেটার আপনার প্রোফাইলকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। আর মোটিভেশনাল লেটারে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে যে কেন আপনি এখানে পড়তে চান, কেন এই স্কলারশিপ চান, কেন এ বিষয় নিয়েই পড়তে চাইছেন, এখানে পড়লে হাঙ্গেরিতে আপনি কেমন ভূমিকা রাখবেন, নিজ দেশের জন্য কী করবেন ইত্যাদি।

সুযোগ-সুবিধা
এখানে মেডিসিন, ফার্মেসি, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পড়া যাবে। সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি ডরমিটরিতে বিনা খরচে থাকার ব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের খরচ, স্বাস্থ্যবিমা ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষেই অনেকে ইন্টার্নশিপ করতে থাকেন এবং স্নাতক শেষে সবাই চাকরিতে ঢুকে পড়েন। তাঁরাও নতুনদের চাকরি পেতে সাহায্য করেন। এ ছাড়া খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ তো থাকছেই।

আবেদনের সময় লক্ষণীয়
সব সময় পরিকল্পনা করে কাজ করুন। বারবার চেক করুন আপনার সব কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে নাকি। আর আবেদনপত্র পাঠানোর পর ধৈর্য ধরে থাকুন। কারণ সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র নেওয়া হয়। এরপর যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রাইমারি লিস্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য এপ্রিলে একটি ভর্তিপরীক্ষা দেন। এরপর জুলাইয়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অফার লেটার দেওয়া হয়।প্রথমবার সুযোগ না মিললেও পরেরবার আবেদন করার সুযোগ তো থাকছেই। সেই সময়টাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। সবার জন্য শুভকামনা।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

আসির ইসহাক তাসওয়ার, শিক্ষার্থী, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অব ডেব্রুসান

অনুলিখন: মুসাররাত আবির

হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ

আসির ইসহাক তাসওয়ার

আসির ইসহাক তাসওয়ার।

ইউরোপে পড়ালেখার মান বেশ ভালো। বৃত্তির সুবিধা এবং পড়া শেষে চাকরির সুযোগ থাকায় অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে পাড়ি জমান। দেশটির উল্লেখযোগ্য একটি ফুল-ফান্ডেড বৃত্তি হলো ‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ’। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট মাস্টার্স ও ডক্টরাল পর্যায়ে পড়তে পারবেন।সাধারণত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই স্কলারশিপের আবেদন নেওয়া শুরু হয়। আর তা চলে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত।

যেসব বিষয় থাকা জরুরি
স্কলারশিপ পেতে হলে অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করতে হবে। আর আইইএলটিএসে ৭-৭.৫-এর মধ্যে স্কোর করা ভালো। সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে সম্পৃক্ত থাকলে খুবই ভালো। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, সহশিক্ষা কার্যক্রমের সার্টিফিকেট, শিক্ষকের দেওয়া রেকমেন্ডেশন লেটারও সঙ্গে রাখতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মোটিভেশনাল লেটার। রেকমেন্ডেশন লেটার আপনার প্রোফাইলকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। আর মোটিভেশনাল লেটারে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে যে কেন আপনি এখানে পড়তে চান, কেন এই স্কলারশিপ চান, কেন এ বিষয় নিয়েই পড়তে চাইছেন, এখানে পড়লে হাঙ্গেরিতে আপনি কেমন ভূমিকা রাখবেন, নিজ দেশের জন্য কী করবেন ইত্যাদি।

সুযোগ-সুবিধা
এখানে মেডিসিন, ফার্মেসি, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পড়া যাবে। সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি ডরমিটরিতে বিনা খরচে থাকার ব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের খরচ, স্বাস্থ্যবিমা ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষেই অনেকে ইন্টার্নশিপ করতে থাকেন এবং স্নাতক শেষে সবাই চাকরিতে ঢুকে পড়েন। তাঁরাও নতুনদের চাকরি পেতে সাহায্য করেন। এ ছাড়া খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ তো থাকছেই।

আবেদনের সময় লক্ষণীয়
সব সময় পরিকল্পনা করে কাজ করুন। বারবার চেক করুন আপনার সব কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে নাকি। আর আবেদনপত্র পাঠানোর পর ধৈর্য ধরে থাকুন। কারণ সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র নেওয়া হয়। এরপর যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রাইমারি লিস্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য এপ্রিলে একটি ভর্তিপরীক্ষা দেন। এরপর জুলাইয়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অফার লেটার দেওয়া হয়।প্রথমবার সুযোগ না মিললেও পরেরবার আবেদন করার সুযোগ তো থাকছেই। সেই সময়টাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। সবার জন্য শুভকামনা।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

আসির ইসহাক তাসওয়ার, শিক্ষার্থী, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অব ডেব্রুসান

অনুলিখন: মুসাররাত আবির