হাবিপ্রবির ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। গত ২৮ জুলাই (শুক্রবার) অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের এক বিশেষ বনভোজনে হাবিপ্রবি যন্ত্র কৌশল বিভাগের (১৮ ব্যাচের) শিক্ষার্থী অয়ন সরকার কে সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের (১৯ ব্যাচের) হাসিবুল হক সৌরভকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।

আংশিক কমিটি’টি ঘোষণা করেন অর্ক সাংস্কৃতিক জোট ২০১৯-২০ সেশনের সভাপতি জুলকিফল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ইসা ইবনে মাহমুদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যগণ।

পরে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গত ১০ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ফুড অ্যান্ড প্রসেসিং বিভাগের মিনহাজুল ইসলাম আবিদ, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো ফাহিম আবরার, কৃষি অনুষদরের যারীন শাইমা শ্যামা, যন্ত্র কৌশল বিভাগের রাফিউল ইসলামসহ প্রমুখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাকিবুর রহামান মাহিন, পরিসংখ্যান বিভাগের অপূর্ব উন্মেষ, ফিশারিজ অনুষদের লতা সরকার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন। পরিসংখ্যান বিভাগের সাদমান সাকিব রাশিক, রসায়ন বিভাগের স্নিগ্ধা প্রামানিক, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফারহিন আহসান সুপ্ত, প্রচার সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ফিশারিজ অনুষদের ফারিহা পায়েল, কৃষি অনুষদের ফুয়াদ খান দপ্তর সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সালমাত রাব্বানী মিলন, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাকিব সেলিম অর্থসম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সুকান্ত কুমার মল্লিক এবং অন্যান্য পদে অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের আরো অনেকেই মনোনীত হয়েছেন।

এই কমিটিকে আগামী এক বছরের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কমিটির নতুন সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সত্য ও সুন্দরের সন্ধানী, আমাদের প্রিয় ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট। কালের ধারাবাহিকতার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলা সংস্কৃতি, ভাষা, শিক্ষা সবকিছু ফুটিয়ে তুলতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে আমরা সক্ষম হয়েছি। নতুন প্রজন্ম একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মেধা ও প্রতিভার সুষ্ঠু বিকাশ করতে পারে তার জন্য ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’ সবসময় সুযোগ করে দিয়েছে। বার্ষিক আয়োজন ‘গাংচিল’ এর পাশাপাশি নানা ধরনের ছোট ছোট আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দিয়ে থাকি। অর্ক বরাবর থেকেই আমার প্রাণের ও ভালোবাসার সংগঠন, যেখানে সিনিয়র-জুনিয়র ও ব্যাচমেটদের একটি চমৎকার মেলবন্ধনের মাধ্যমে সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ আছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের এবং নতুন কিছু আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সংগঠনকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার যাতে করে প্রতিভার গন্ডি শুধু ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি যাতে করে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু মানসিকতার সংস্কৃতিচর্চা করতে পারেন তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি।

সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, অর্ক সাংস্কৃতিক জোট ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় ও পুরাতন সংগঠন। ২০১৯ সালে ভর্তির পর থেকে সংগঠনটিকে দেখে আসছি এবং এর সাথে একসাথে পথ চলা। গত ২৮ জুলাই পূর্ববর্তী কমিটি বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে। যথাযথ চেষ্টা থাকবে দায়িত্ব সততার সাথে পালন করার এবং সিনিয়রদের আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়ার। চেষ্টা করব গতানুগতিক ঐতিহ্যকে সাথে রেখে নতুনত্ব ও সৃজনশীলতায় পরিপূর্ণ একটি পরিবেশ নতুনদের দেওয়ার। এ জন্য ক্যাম্পাস প্রশাসনের পূর্ণ সহায়তা আশা করছি।

উল্লেখ্য, ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’ ১৯৯৫ সালের ২ জুলাই গঠিত হয়।

ইবিহো/এসএস

হাবিপ্রবির ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। গত ২৮ জুলাই (শুক্রবার) অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের এক বিশেষ বনভোজনে হাবিপ্রবি যন্ত্র কৌশল বিভাগের (১৮ ব্যাচের) শিক্ষার্থী অয়ন সরকার কে সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের (১৯ ব্যাচের) হাসিবুল হক সৌরভকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।

আংশিক কমিটি’টি ঘোষণা করেন অর্ক সাংস্কৃতিক জোট ২০১৯-২০ সেশনের সভাপতি জুলকিফল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ইসা ইবনে মাহমুদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যগণ।

পরে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গত ১০ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ফুড অ্যান্ড প্রসেসিং বিভাগের মিনহাজুল ইসলাম আবিদ, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো ফাহিম আবরার, কৃষি অনুষদরের যারীন শাইমা শ্যামা, যন্ত্র কৌশল বিভাগের রাফিউল ইসলামসহ প্রমুখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাকিবুর রহামান মাহিন, পরিসংখ্যান বিভাগের অপূর্ব উন্মেষ, ফিশারিজ অনুষদের লতা সরকার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন। পরিসংখ্যান বিভাগের সাদমান সাকিব রাশিক, রসায়ন বিভাগের স্নিগ্ধা প্রামানিক, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফারহিন আহসান সুপ্ত, প্রচার সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ফিশারিজ অনুষদের ফারিহা পায়েল, কৃষি অনুষদের ফুয়াদ খান দপ্তর সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সালমাত রাব্বানী মিলন, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাকিব সেলিম অর্থসম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সুকান্ত কুমার মল্লিক এবং অন্যান্য পদে অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের আরো অনেকেই মনোনীত হয়েছেন।

এই কমিটিকে আগামী এক বছরের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কমিটির নতুন সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সত্য ও সুন্দরের সন্ধানী, আমাদের প্রিয় ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট। কালের ধারাবাহিকতার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলা সংস্কৃতি, ভাষা, শিক্ষা সবকিছু ফুটিয়ে তুলতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে আমরা সক্ষম হয়েছি। নতুন প্রজন্ম একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মেধা ও প্রতিভার সুষ্ঠু বিকাশ করতে পারে তার জন্য ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’ সবসময় সুযোগ করে দিয়েছে। বার্ষিক আয়োজন ‘গাংচিল’ এর পাশাপাশি নানা ধরনের ছোট ছোট আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দিয়ে থাকি। অর্ক বরাবর থেকেই আমার প্রাণের ও ভালোবাসার সংগঠন, যেখানে সিনিয়র-জুনিয়র ও ব্যাচমেটদের একটি চমৎকার মেলবন্ধনের মাধ্যমে সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ আছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের এবং নতুন কিছু আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সংগঠনকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার যাতে করে প্রতিভার গন্ডি শুধু ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি যাতে করে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু মানসিকতার সংস্কৃতিচর্চা করতে পারেন তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি।

সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, অর্ক সাংস্কৃতিক জোট ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় ও পুরাতন সংগঠন। ২০১৯ সালে ভর্তির পর থেকে সংগঠনটিকে দেখে আসছি এবং এর সাথে একসাথে পথ চলা। গত ২৮ জুলাই পূর্ববর্তী কমিটি বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে। যথাযথ চেষ্টা থাকবে দায়িত্ব সততার সাথে পালন করার এবং সিনিয়রদের আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়ার। চেষ্টা করব গতানুগতিক ঐতিহ্যকে সাথে রেখে নতুনত্ব ও সৃজনশীলতায় পরিপূর্ণ একটি পরিবেশ নতুনদের দেওয়ার। এ জন্য ক্যাম্পাস প্রশাসনের পূর্ণ সহায়তা আশা করছি।

উল্লেখ্য, ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’ ১৯৯৫ সালের ২ জুলাই গঠিত হয়।

ইবিহো/এসএস