হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অধ্যক্ষকে বোর্ডের শোকজ

ইত্তেফাক রিপোর্ট

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় সিট প্ল্যান বসানোর ক্ষেত্রে অনিয়ম করছে কোনো কোনো পরীক্ষাকেন্দ্র। প্রথমে আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর তথ্য দেওয়া হয়েছে শিক্ষা বোর্ডে। পরে ৪ ফুট বেঞ্চে দুই জন এবং ৬ ফুট বেঞ্চে তিন জন করে শিক্ষার্থীর সিট প্ল্যান করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষার্থী বেশি পাওয়া গেলে সম্মানীও বেশি মিলবে—এ আশায় এমনটি করছে। আবার কোনো কোনো কলেজ পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দিতে এমনটি করছে। তার প্রমাণ মিলেছে রাজধানীর একটি কেন্দ্রে।

পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী ৬ ফুটের বেঞ্চে দুই জন বসতে পারবে। ৬ ফুটের কম হলে এক জনের বসার ব্যবস্থা করতে পারবে। প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য এক জন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ দিতে হবে।

গত ১৩ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার সময় রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ। তিনি দেখতে পান কোনো কোনো কক্ষে ছোট (৪ ফুট) বেঞ্চে দুই জন, কোনো কোনো কক্ষে ৬ ফুট বেঞ্চে তিন জন পরীক্ষার্থীকে বসানো হয়েছে। অনেক কক্ষে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা ও পারস্পরিক উত্তরপত্র দেখাদেখি করে লিখছিল। হল পর্যবেক্ষকেরা দায়িত্ব পালনে যথাযথভাবে তৎপর ছিলেন না, যা এইচএসসি পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা, ২০২২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার।

পরিদর্শন শেষে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিব বিষয়টি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করেন। এর আলোকে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না—এই মর্মে লিখিত জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২-এর নির্দেশনা মোতাবেক নতুনভাবে উক্ত কেন্দ্রের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যথাযথ সিট প্ল্যান করে বোর্ডকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. আব্দুল জাব্বার মিয়া বলেন, সব বেঞ্চে তিন জন করে বসানো হয়নি। মাত্র এক-দুটি বেঞ্চে বসানো হয়েছে।

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অধ্যক্ষকে বোর্ডের শোকজ

ইত্তেফাক রিপোর্ট

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় সিট প্ল্যান বসানোর ক্ষেত্রে অনিয়ম করছে কোনো কোনো পরীক্ষাকেন্দ্র। প্রথমে আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর তথ্য দেওয়া হয়েছে শিক্ষা বোর্ডে। পরে ৪ ফুট বেঞ্চে দুই জন এবং ৬ ফুট বেঞ্চে তিন জন করে শিক্ষার্থীর সিট প্ল্যান করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষার্থী বেশি পাওয়া গেলে সম্মানীও বেশি মিলবে—এ আশায় এমনটি করছে। আবার কোনো কোনো কলেজ পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দিতে এমনটি করছে। তার প্রমাণ মিলেছে রাজধানীর একটি কেন্দ্রে।

পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী ৬ ফুটের বেঞ্চে দুই জন বসতে পারবে। ৬ ফুটের কম হলে এক জনের বসার ব্যবস্থা করতে পারবে। প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য এক জন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ দিতে হবে।

গত ১৩ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার সময় রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ। তিনি দেখতে পান কোনো কোনো কক্ষে ছোট (৪ ফুট) বেঞ্চে দুই জন, কোনো কোনো কক্ষে ৬ ফুট বেঞ্চে তিন জন পরীক্ষার্থীকে বসানো হয়েছে। অনেক কক্ষে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা ও পারস্পরিক উত্তরপত্র দেখাদেখি করে লিখছিল। হল পর্যবেক্ষকেরা দায়িত্ব পালনে যথাযথভাবে তৎপর ছিলেন না, যা এইচএসসি পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা, ২০২২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার।

পরিদর্শন শেষে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিব বিষয়টি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করেন। এর আলোকে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না—এই মর্মে লিখিত জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২-এর নির্দেশনা মোতাবেক নতুনভাবে উক্ত কেন্দ্রের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যথাযথ সিট প্ল্যান করে বোর্ডকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. আব্দুল জাব্বার মিয়া বলেন, সব বেঞ্চে তিন জন করে বসানো হয়নি। মাত্র এক-দুটি বেঞ্চে বসানো হয়েছে।