স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

নাজমুল হুদা

তারেক হাসান, সোহাগ চৌধুরী, শরীয়ত- উল্লাহ, রওনক জাহান, ইসান খান ও তনুশ্রী রানী ঘোষ।

অগ্নিঝরা মার্চ মানে হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণ, যা বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে স্বাধীনতার আশা জাগিয়েছিল। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে আগুন বাঙালি জাতির অন্তরে লেগেছিল তার অবসান ঘটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ২৫ মার্চ ছিল একটি নির্মম কালো অধ্যায়।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম আক্রমণের ফলশ্রুতিতে ২৬ মার্চ ভোর বেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধ। তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন এ দেশের শান্তিকামী জনতা। অগ্নিঝরা মার্চে আমারা স্বাধীনতার চেতনায় নতুন করে উজ্জ্বীবিত হয়। এদেশের আগামীর কর্ণধার তারুণ্য সমাজ কী ভাবছে স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে। স্বাধীনতা দিবসে তরুণদের ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন নাজমুল হুদা।

তারেক হাসান, ৯ম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ: পাবনার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার গল্পটা অনেক বেশি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। সেই ইতিহাসের আজকের ধারক পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম শুরু থেকে আজ অবধি শুদ্ধ স্বাধীন চিত্তে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ এবং লালন করার চর্চা অব্যাহত। নানান সাংস্কৃতিক অঙ্গণে এই কথাগুলো একদম ফুলের মতন ফুটে উঠছে। সময়ের শিলালিপিতে তা কখনো স্বাধীনতা চত্বর, কখনোবা খেলার মাঠ কিংবা গল্প আড্ডায় বারবার লেখা হচ্ছে।

মো. সোহাগ চৌধুরী, ৯ম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ: ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এ স্বাধীনতা। স্বাধিনতা শুধুই একটা দিবস নয়। এটা আমাদেরকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করেছে। স্বাধীনতার চেতনায় আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সোনার বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের সেই আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।আমার প্রত্যাশা এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলার তরুণ সমাজ ।

মো. শরিয়ত-উল্লাহ, ১০ম ব্যাচ, রসায়ন বিভাগ: স্বাধীনতা শব্দ টা বৃহৎ। স্বাধীনতা শব্দ টা মনে আসলেই যে চিত্রটা মস্তিষ্কে আসে তা হল, একটা পাখি খাঁচা থেকে বের হয়ে ডানা ঝাঁপটিয়ে উঁড়ে যাচ্ছে । আর যে শব্দগুলা কানে বাজে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। স্বাধীনতা আমাদের এই প্রজন্মের কাছে কতটুকু আনন্দের বা আমরা কতটুকু-ই বা অনুভব করতে পারি। আদতে যারা অনুভব করে, ভালোবেসে এ দেশের মানুষের মুক্তির কথা চিন্তা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথায় ঝাঁপিয়ে পড়ে, নিজের জীবনকে বাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।তাদের স্বাধীনতা অনুভব করা আর আমাদের স্বাধীনতা অনুভব করা এক নয়।তবুও যতটুকু আনন্দ হয়, আমাদের বুকে তা বলে ব্যক্ত করার নয়। এদেশের মানুষ স্বাধীনতার মূল্য বুঝে ভাল কাজ স্বাধীনভাবে করতে পারে সেটুকুই প্রত্যাশা

রওনক জাহান, ১১তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ: স্বাধীনতা হলো বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। স্বাধীনতার চেতনা আমাদের সবসময় উজ্জ্বীবিত করে। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার এ চেতনা লালন করে বাংলাদেশকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক একইভাবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ বিশেষ দিনগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে চলেছে। এছাড়াও, মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়াবলির ওপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে, তার সাথে দিবসগুলোতে ফুটবল-ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। এভাবে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আগামীর সফলতার দিকে পদার্পণ করেছে পাবিপ্রবি।

ইসান খান, ১২তম ব্যাচ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ: বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এক ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এদেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে স্পর্ধা ও সাহসের যোগান দেয়। ৭ মার্চ শিক্ষা দেয়, কিভাবে মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণরা জ্ঞান ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বপরিমণ্ডলে উপস্থাপন করার, অধ্যয়ন-গবেষণা-আবিষ্কারের দ্বারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে, বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করার স্বপ্ন দেখে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।

তনুশ্রী রানী ঘোষ, ১২ তম ব্যাচ, ইংরেজি বিভাগ: স্বাধীনতা হলো সমুদ্রে পাওয়া দ্বীপের মতো; যা মনে প্রশান্তির জন্ম দেয়। প্রতিটি জনগণ সর্বোপরি আপামর বাঙালি সকলের কাছে স্বাধীনতা মানে নিজের সত্ত্বাকে আরও বেশি উজ্জ্বীবিত করে তোলা। এটি একটি চেতনা, যা বাঙালিরা লালন করে আসছে এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আরো সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা দিয়ে চলেছে। আর, এভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রোপিত স্বাধীনতার বীজ প্রতিটা মানুষের স্বাধীন সত্ত্বাকে জাগ্রত করছে এবং বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর করছে। মার্চ মাস আসলেই যেন প্রতিটি জনগণের অন্তরে স্বাধীনতার উজ্জীবিত শক্তি আরও বেশি প্রগাঢ় হয়ে ওঠে। এ লক্ষ্যেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সংগঠনগুলো গভীর শ্রদ্ধার সাথে এই দিনকে পালন করে আসছে। স্বাধীনতা লাভের আত্মগরিমায় গৌরবান্বিত হয়ে উঠে প্রতিটি বাঙালি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার প্রেরণায় উজ্জ্বীবিত হয়ে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটিকে পালন করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনাকে আরও জাগ্রত করে তুলতে তারা আয়োজন করে চলেছে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি।

স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

নাজমুল হুদা

তারেক হাসান, সোহাগ চৌধুরী, শরীয়ত- উল্লাহ, রওনক জাহান, ইসান খান ও তনুশ্রী রানী ঘোষ।

অগ্নিঝরা মার্চ মানে হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণ, যা বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে স্বাধীনতার আশা জাগিয়েছিল। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে আগুন বাঙালি জাতির অন্তরে লেগেছিল তার অবসান ঘটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ২৫ মার্চ ছিল একটি নির্মম কালো অধ্যায়।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম আক্রমণের ফলশ্রুতিতে ২৬ মার্চ ভোর বেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধ। তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন এ দেশের শান্তিকামী জনতা। অগ্নিঝরা মার্চে আমারা স্বাধীনতার চেতনায় নতুন করে উজ্জ্বীবিত হয়। এদেশের আগামীর কর্ণধার তারুণ্য সমাজ কী ভাবছে স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে। স্বাধীনতা দিবসে তরুণদের ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন নাজমুল হুদা।

তারেক হাসান, ৯ম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ: পাবনার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার গল্পটা অনেক বেশি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। সেই ইতিহাসের আজকের ধারক পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম শুরু থেকে আজ অবধি শুদ্ধ স্বাধীন চিত্তে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ এবং লালন করার চর্চা অব্যাহত। নানান সাংস্কৃতিক অঙ্গণে এই কথাগুলো একদম ফুলের মতন ফুটে উঠছে। সময়ের শিলালিপিতে তা কখনো স্বাধীনতা চত্বর, কখনোবা খেলার মাঠ কিংবা গল্প আড্ডায় বারবার লেখা হচ্ছে।

মো. সোহাগ চৌধুরী, ৯ম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ: ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এ স্বাধীনতা। স্বাধিনতা শুধুই একটা দিবস নয়। এটা আমাদেরকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করেছে। স্বাধীনতার চেতনায় আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সোনার বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের সেই আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।আমার প্রত্যাশা এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলার তরুণ সমাজ ।

মো. শরিয়ত-উল্লাহ, ১০ম ব্যাচ, রসায়ন বিভাগ: স্বাধীনতা শব্দ টা বৃহৎ। স্বাধীনতা শব্দ টা মনে আসলেই যে চিত্রটা মস্তিষ্কে আসে তা হল, একটা পাখি খাঁচা থেকে বের হয়ে ডানা ঝাঁপটিয়ে উঁড়ে যাচ্ছে । আর যে শব্দগুলা কানে বাজে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। স্বাধীনতা আমাদের এই প্রজন্মের কাছে কতটুকু আনন্দের বা আমরা কতটুকু-ই বা অনুভব করতে পারি। আদতে যারা অনুভব করে, ভালোবেসে এ দেশের মানুষের মুক্তির কথা চিন্তা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথায় ঝাঁপিয়ে পড়ে, নিজের জীবনকে বাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।তাদের স্বাধীনতা অনুভব করা আর আমাদের স্বাধীনতা অনুভব করা এক নয়।তবুও যতটুকু আনন্দ হয়, আমাদের বুকে তা বলে ব্যক্ত করার নয়। এদেশের মানুষ স্বাধীনতার মূল্য বুঝে ভাল কাজ স্বাধীনভাবে করতে পারে সেটুকুই প্রত্যাশা

রওনক জাহান, ১১তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ: স্বাধীনতা হলো বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। স্বাধীনতার চেতনা আমাদের সবসময় উজ্জ্বীবিত করে। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার এ চেতনা লালন করে বাংলাদেশকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক একইভাবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ বিশেষ দিনগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে চলেছে। এছাড়াও, মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়াবলির ওপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে, তার সাথে দিবসগুলোতে ফুটবল-ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। এভাবে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আগামীর সফলতার দিকে পদার্পণ করেছে পাবিপ্রবি।

ইসান খান, ১২তম ব্যাচ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ: বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এক ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এদেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে স্পর্ধা ও সাহসের যোগান দেয়। ৭ মার্চ শিক্ষা দেয়, কিভাবে মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণরা জ্ঞান ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বপরিমণ্ডলে উপস্থাপন করার, অধ্যয়ন-গবেষণা-আবিষ্কারের দ্বারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে, বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করার স্বপ্ন দেখে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।

তনুশ্রী রানী ঘোষ, ১২ তম ব্যাচ, ইংরেজি বিভাগ: স্বাধীনতা হলো সমুদ্রে পাওয়া দ্বীপের মতো; যা মনে প্রশান্তির জন্ম দেয়। প্রতিটি জনগণ সর্বোপরি আপামর বাঙালি সকলের কাছে স্বাধীনতা মানে নিজের সত্ত্বাকে আরও বেশি উজ্জ্বীবিত করে তোলা। এটি একটি চেতনা, যা বাঙালিরা লালন করে আসছে এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আরো সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা দিয়ে চলেছে। আর, এভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রোপিত স্বাধীনতার বীজ প্রতিটা মানুষের স্বাধীন সত্ত্বাকে জাগ্রত করছে এবং বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর করছে। মার্চ মাস আসলেই যেন প্রতিটি জনগণের অন্তরে স্বাধীনতার উজ্জীবিত শক্তি আরও বেশি প্রগাঢ় হয়ে ওঠে। এ লক্ষ্যেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সংগঠনগুলো গভীর শ্রদ্ধার সাথে এই দিনকে পালন করে আসছে। স্বাধীনতা লাভের আত্মগরিমায় গৌরবান্বিত হয়ে উঠে প্রতিটি বাঙালি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার প্রেরণায় উজ্জ্বীবিত হয়ে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটিকে পালন করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনাকে আরও জাগ্রত করে তুলতে তারা আয়োজন করে চলেছে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি।