আবাসন সংকটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি প্রতিনিধি

দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ হয়েও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটেনি আবাসন সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৭টি আবাসিক হলে সিট সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৯ হাজার। যা মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় মাত্র ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

 

ফলে আবাসিক হলে একটি সিটের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেগ পেতে হয়। কেননা আবাসন সংকটের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্যের কারণে সিট পেতে চলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেক সময়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে ভোগান্তি। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার কাক্সিক্ষত পরিবেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যত শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, ততগুলো নতুন হল নির্মাণ হয়নি। ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন এই সমস্যা এক দিনে সমাধান করাও সম্ভব নয়। দুটি হলের নির্মাণ কাজ চলছে।

আরও কয়েকটি নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এছাড়া ক্লাসের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় কিছু আসন কমানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। এতে সংকট নিরসন কিছুটা সহজ হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স সাত দশক হলেও কাটেনি আবাসন সংকট। ফলে হলে একটি সিট পেতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অর্ধেক সময় চলে যায়।
প্রাধ্যক্ষদের অফিসে মাসের পর মাস ঘুরেও মেলে না সিট। অন্যদিকে হলে নেতাদের দৌরাত্ম্যে বাড়ছে ভোগান্তি। ফলে হল প্রশাসন সঠিকভাবে সিট বরাদ্দ দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাছাড়া গণরুমে গাদাগাদি করে থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও গবেষণার কাক্সিক্ষত পরিবেশ। বাড়ছে মানসিক চাপ। তাই অবিলম্বে এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাইরে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য তাদের অনেকের নেই। তাই সবাই চায় হলে থাকতে। কিন্তু সিট সীমিত থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে সৃষ্টি হয়েছে গণরুম। যেখানে গাদাগাদি করে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক দিকটি তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের যে অবস্থা সেখানে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু মানসিক বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তবে যেহেতু এটি এক দিনে সমাধান যোগ্য নয়। তাই নিজেকে মানসিকভাবে খাপ খাইয়ে নিলেই উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকেও দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।

আবাসন সংকটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি প্রতিনিধি

দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ হয়েও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটেনি আবাসন সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৭টি আবাসিক হলে সিট সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৯ হাজার। যা মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় মাত্র ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

 

ফলে আবাসিক হলে একটি সিটের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেগ পেতে হয়। কেননা আবাসন সংকটের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্যের কারণে সিট পেতে চলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেক সময়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে ভোগান্তি। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার কাক্সিক্ষত পরিবেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যত শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, ততগুলো নতুন হল নির্মাণ হয়নি। ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন এই সমস্যা এক দিনে সমাধান করাও সম্ভব নয়। দুটি হলের নির্মাণ কাজ চলছে।

আরও কয়েকটি নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এছাড়া ক্লাসের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় কিছু আসন কমানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। এতে সংকট নিরসন কিছুটা সহজ হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স সাত দশক হলেও কাটেনি আবাসন সংকট। ফলে হলে একটি সিট পেতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অর্ধেক সময় চলে যায়।
প্রাধ্যক্ষদের অফিসে মাসের পর মাস ঘুরেও মেলে না সিট। অন্যদিকে হলে নেতাদের দৌরাত্ম্যে বাড়ছে ভোগান্তি। ফলে হল প্রশাসন সঠিকভাবে সিট বরাদ্দ দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাছাড়া গণরুমে গাদাগাদি করে থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও গবেষণার কাক্সিক্ষত পরিবেশ। বাড়ছে মানসিক চাপ। তাই অবিলম্বে এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাইরে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য তাদের অনেকের নেই। তাই সবাই চায় হলে থাকতে। কিন্তু সিট সীমিত থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে সৃষ্টি হয়েছে গণরুম। যেখানে গাদাগাদি করে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক দিকটি তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের যে অবস্থা সেখানে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু মানসিক বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তবে যেহেতু এটি এক দিনে সমাধান যোগ্য নয়। তাই নিজেকে মানসিকভাবে খাপ খাইয়ে নিলেই উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকেও দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।