জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ

জাল সনদে নিয়োগ পাওয়া দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতেও বলেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েক দিন আগে চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) এই ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সাত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যাচাই-বাছাইয়ে এসব জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী চিহ্নিত করা হয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান বা প্রতিনিধির সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদ যাচাই করে জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

তার আলোকে এখন এসব শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যবস্থার অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে অবৈধভাবে গ্রহণ করা বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা, যাঁরা অবসরে গেছেন তাঁদের অবসর সুবিধা বাতিল, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আপত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের মাধ্যমে আদায় এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

এর আগে ডিআইএ ২০১৩ সাল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মোট ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাগত এবং যোগ্যতার সনদ ভুয়া বলে তথ্য পেয়েছিল। এ জন্য ওই সব শিক্ষককে দেওয়া বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করেছিল সংস্থাটি। জাল সনদ দেখিয়ে চাকরি অথবা এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে মোট কত টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল, তা জানা যায়নি তখন। তবে কয়েকটি বিভাগের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। যেমন খুলনা ও বরিশাল বিভাগে জাল সনদে শিক্ষক হয়ে বেতন নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

একসময় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল। এখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এনটিআরসিএর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়া শিক্ষক হওয়ার সুযোগ নেই। ডিআইএর ওই প্রতিবেদনের তথ্যমতে, যে ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের সনদ জাল বলে পাওয়া গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৭৯৩ জন এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ২৯৬ জনের কম্পিউটার শিক্ষার সনদ এবং ৬৭ জনের বিএড, গ্রন্থাগার, সাচিবিক বিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের সনদ জাল।

জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ

জাল সনদে নিয়োগ পাওয়া দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতেও বলেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েক দিন আগে চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) এই ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সাত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যাচাই-বাছাইয়ে এসব জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী চিহ্নিত করা হয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান বা প্রতিনিধির সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদ যাচাই করে জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

তার আলোকে এখন এসব শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যবস্থার অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে অবৈধভাবে গ্রহণ করা বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা, যাঁরা অবসরে গেছেন তাঁদের অবসর সুবিধা বাতিল, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আপত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের মাধ্যমে আদায় এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

এর আগে ডিআইএ ২০১৩ সাল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মোট ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাগত এবং যোগ্যতার সনদ ভুয়া বলে তথ্য পেয়েছিল। এ জন্য ওই সব শিক্ষককে দেওয়া বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করেছিল সংস্থাটি। জাল সনদ দেখিয়ে চাকরি অথবা এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে মোট কত টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল, তা জানা যায়নি তখন। তবে কয়েকটি বিভাগের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। যেমন খুলনা ও বরিশাল বিভাগে জাল সনদে শিক্ষক হয়ে বেতন নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

একসময় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল। এখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এনটিআরসিএর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়া শিক্ষক হওয়ার সুযোগ নেই। ডিআইএর ওই প্রতিবেদনের তথ্যমতে, যে ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের সনদ জাল বলে পাওয়া গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৭৯৩ জন এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ২৯৬ জনের কম্পিউটার শিক্ষার সনদ এবং ৬৭ জনের বিএড, গ্রন্থাগার, সাচিবিক বিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের সনদ জাল।

ট্যাগ