ইবির নবীনবরণ

‘ব্যর্থ আমি হতেই পারি কিন্তু কখনই আমি অসফল নই’

ফরহাদ খাদেম
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ছাত্র উপদেষ্টা ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া।

ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম। 

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। প্রত্যেক ইউনিটের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ২ জন করে মোট ৮ জন শিক্ষার্থীকে ফুল ও স্যুভেনির এবং ৩৬টি বিভাগের প্রায় আড়াই হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আ ন ম উসামা বিন হাশিম, গণিত বিভাগের লুৎফর রহমান, বাংলা বিভাগের খন্দকার ফারজানা এবং হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের জয়া রাণী বসাক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ওরিয়েন্টেশন বক্তার বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, আমাদের কর্মক্ষেত্র আমাদেরকেই তৈরি করে নিতে হবে। আপনি সকল প্রকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। আপনি কখনই মনে করবেন না ব্যর্থতা, তার কারণ অনেক মনীষীরাই বলেছেন, ‘ব্যর্থ আমি হতেই পারি, কিন্তু কখনই আমি অসফল নই।’ আমি যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি এটাই আমার সফলতা। যদি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি, তাহলে আমি যেকোনো বিষয়ে পারদর্শী হব। বাঙালিদের মধ্যে যে আবেগ প্রবণতা আছে, সেটাই তাদের মানবতাবোধ জাগ্রত করে। নিজের রাগকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন একজন অতিথি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সবুজে ঘেরা, পাখির কলতানে মুখরিত এই অঙ্গনে তোমাদেরকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাই । তোমরা যখন বেড়িয়ে যাবে যেনো আমরা বলতে পারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের অবস্থানের জন্য আমরা ধন্য।

তিনি আরও বলেন, তোমরা যখন ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলে তখন তোমার পিতা-মাতা তোমাদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। সব উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে যখন তোমরা ভর্তি হলে তোমাদের পিতামাতা তোমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। আজ থেকে তোমাদের কমিটমেন্ট হোক, এই স্বপ্নকে তোমরা ভাঙ্গবে না। পিতামাতা এবং শিক্ষকদেরকে অতিক্রম করে তোমরা এমন জায়গায় যাও, যেন আমরা দেখতে পাই তোমরা উজ্জ্বল তারা হয়ে জ্বলছো। দেশ মাটি ও মানবতার সেবার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে গড়ে তোলার আহবান জানান উপাচার্য।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ইবিহো/এসএস

ইবির নবীনবরণ

‘ব্যর্থ আমি হতেই পারি কিন্তু কখনই আমি অসফল নই’

ফরহাদ খাদেম
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ছাত্র উপদেষ্টা ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া।

ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম। 

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। প্রত্যেক ইউনিটের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ২ জন করে মোট ৮ জন শিক্ষার্থীকে ফুল ও স্যুভেনির এবং ৩৬টি বিভাগের প্রায় আড়াই হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আ ন ম উসামা বিন হাশিম, গণিত বিভাগের লুৎফর রহমান, বাংলা বিভাগের খন্দকার ফারজানা এবং হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের জয়া রাণী বসাক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ওরিয়েন্টেশন বক্তার বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, আমাদের কর্মক্ষেত্র আমাদেরকেই তৈরি করে নিতে হবে। আপনি সকল প্রকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। আপনি কখনই মনে করবেন না ব্যর্থতা, তার কারণ অনেক মনীষীরাই বলেছেন, ‘ব্যর্থ আমি হতেই পারি, কিন্তু কখনই আমি অসফল নই।’ আমি যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি এটাই আমার সফলতা। যদি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি, তাহলে আমি যেকোনো বিষয়ে পারদর্শী হব। বাঙালিদের মধ্যে যে আবেগ প্রবণতা আছে, সেটাই তাদের মানবতাবোধ জাগ্রত করে। নিজের রাগকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন একজন অতিথি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সবুজে ঘেরা, পাখির কলতানে মুখরিত এই অঙ্গনে তোমাদেরকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাই । তোমরা যখন বেড়িয়ে যাবে যেনো আমরা বলতে পারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের অবস্থানের জন্য আমরা ধন্য।

তিনি আরও বলেন, তোমরা যখন ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলে তখন তোমার পিতা-মাতা তোমাদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। সব উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে যখন তোমরা ভর্তি হলে তোমাদের পিতামাতা তোমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। আজ থেকে তোমাদের কমিটমেন্ট হোক, এই স্বপ্নকে তোমরা ভাঙ্গবে না। পিতামাতা এবং শিক্ষকদেরকে অতিক্রম করে তোমরা এমন জায়গায় যাও, যেন আমরা দেখতে পাই তোমরা উজ্জ্বল তারা হয়ে জ্বলছো। দেশ মাটি ও মানবতার সেবার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে গড়ে তোলার আহবান জানান উপাচার্য।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ইবিহো/এসএস