দৃঢ় মনোবলই তার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার

নাজমুল হুদা

প্রবাদে আছে ‘ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়’। এমন বাণীতে বিশ্বাস করলে নিজের লক্ষ্য পূরণে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও কোনো বাধা হতে পারেনা। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা তেমনই একজন উদ্যমী শিক্ষার্থীর গল্প তুলে ধরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শিক্ষা শিক্ষাঙ্গন’ প্রতিনিধি নাজমুল হুদা।

গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান শাখা) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (৩ জুন)। এদিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারায়ণ দাস ঈশান। তবে আর ১০ জন স্বাভাবিক যুবকের মতোই এগিয়ে চলছেন সমানতালে। জানালেন, দৃঢ় মনোবলই তার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ঈশানের ইচ্ছা শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে প্রতিবন্ধকতাও যেন হার মেনেছে। স্বপ্ন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে অংশ নেওয়া ৩ হাজার ৬৮ জনের একজন ছিলেন । তার বসবাস পাবনার বনগ্রাম এলাকায়। চার ভাইবোনের মধ্যে ঈশান বড়।

ঈশানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমার ছোট থেকেই শিক্ষক হওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিল। পরে আমি মিয়াপুর কলেজ বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হই।

ঈশান আরও বলেন, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এ নিয়ে কখনো আমার মনে হীনমন্যতা ছিলনা। আমি শারীরিকভাবে অন্যদের মতো না হলেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। বাবা-মায়ের উৎসাহে আজ এতদূর পর্যন্ত আসা। সত্যি বলতে, পরিবারের সবার সহযোগিতা না পেলে এত দূর আসা সম্ভব হতো না।

ছেলের এমন অদম্য ইচ্ছা শক্তি দেখে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থেকেছেন মা-বাবা। তাদের সহযোগিতার কারণে আজ তার এ পর্যন্ত আসা।

ঈশানের বাবার নাম শ্রী নব চন্দ্র দাস। পেশায় একজন নাপিত। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঈশান কে নিয়ে আসেন তার মা। ঈশানের মা বলেন, জন্মের পাচঁ বছর পর থেকে ছেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে‌। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান সে।

তিনি আরও বলেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছে ঈশান। ঈশানের ইচ্ছা বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার হবেন।

উল্লেখ, ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়‌ পাবিপ্রবি কেন্দ্রে প্রায় ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

দৃঢ় মনোবলই তার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার

নাজমুল হুদা

প্রবাদে আছে ‘ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়’। এমন বাণীতে বিশ্বাস করলে নিজের লক্ষ্য পূরণে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও কোনো বাধা হতে পারেনা। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা তেমনই একজন উদ্যমী শিক্ষার্থীর গল্প তুলে ধরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শিক্ষা শিক্ষাঙ্গন’ প্রতিনিধি নাজমুল হুদা।

গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান শাখা) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (৩ জুন)। এদিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারায়ণ দাস ঈশান। তবে আর ১০ জন স্বাভাবিক যুবকের মতোই এগিয়ে চলছেন সমানতালে। জানালেন, দৃঢ় মনোবলই তার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ঈশানের ইচ্ছা শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে প্রতিবন্ধকতাও যেন হার মেনেছে। স্বপ্ন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে অংশ নেওয়া ৩ হাজার ৬৮ জনের একজন ছিলেন । তার বসবাস পাবনার বনগ্রাম এলাকায়। চার ভাইবোনের মধ্যে ঈশান বড়।

ঈশানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমার ছোট থেকেই শিক্ষক হওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিল। পরে আমি মিয়াপুর কলেজ বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হই।

ঈশান আরও বলেন, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এ নিয়ে কখনো আমার মনে হীনমন্যতা ছিলনা। আমি শারীরিকভাবে অন্যদের মতো না হলেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। বাবা-মায়ের উৎসাহে আজ এতদূর পর্যন্ত আসা। সত্যি বলতে, পরিবারের সবার সহযোগিতা না পেলে এত দূর আসা সম্ভব হতো না।

ছেলের এমন অদম্য ইচ্ছা শক্তি দেখে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থেকেছেন মা-বাবা। তাদের সহযোগিতার কারণে আজ তার এ পর্যন্ত আসা।

ঈশানের বাবার নাম শ্রী নব চন্দ্র দাস। পেশায় একজন নাপিত। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঈশান কে নিয়ে আসেন তার মা। ঈশানের মা বলেন, জন্মের পাচঁ বছর পর থেকে ছেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে‌। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান সে।

তিনি আরও বলেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছে ঈশান। ঈশানের ইচ্ছা বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার হবেন।

উল্লেখ, ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়‌ পাবিপ্রবি কেন্দ্রে প্রায় ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।