এ বছরও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত

এ বছরও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন বন্ধের পর গতবার শিক্ষাবিদদের মতামত উপেক্ষা করে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে এ পরীক্ষা চালু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এ বছর আবারও এই পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।

এ বিষয়ে ১১ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণি পাঠ্যক্রমে আরও মনোযোগী করতে এবং শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো। গত বছরের মতো একই পদ্ধতিতে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণির সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় চিঠিতে।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃত্তি যাদের প্রয়োজন, তাদের চিহ্নিত করার অনেক বিকল্প উপায় আছে। সেগুলো চর্চা না করে সেই বহুল সমালোচিত পদ্ধতি আবারও নিয়ে আসা হতাশাজনক।

এম তারিক আহসান, জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক

শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মত হলো, এই বৃত্তি পরীক্ষা এ বছর থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন এই শিক্ষাক্রমের ধারণার সঙ্গে মিল রেখে এবং করোনার কারণে ইতিমধ্যে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান নিয়েছে।

এ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তকে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ও শিশু বিকাশের পরিপন্থী এবং বৈষম্য সৃষ্টিকারী বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃত্তি যাদের প্রয়োজন, তাদের চিহ্নিত করার অনেক বিকল্প উপায় আছে। সেগুলো চর্চা না করে সেই বহুল সমালোচিত পদ্ধতি আবারও নিয়ে আসা হতাশাজনক। শিক্ষার সিদ্ধান্ত শুধু একটি নির্বাহী আদেশের বিষয় নয়। শিক্ষাবিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরে এ ধরনের বৈষম্যমূলক চর্চা বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। আশা করি, শিগগির তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

সূত্র: প্রথম আলো

এ বছরও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত

এ বছরও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন বন্ধের পর গতবার শিক্ষাবিদদের মতামত উপেক্ষা করে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে এ পরীক্ষা চালু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এ বছর আবারও এই পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।

এ বিষয়ে ১১ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণি পাঠ্যক্রমে আরও মনোযোগী করতে এবং শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো। গত বছরের মতো একই পদ্ধতিতে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণির সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় চিঠিতে।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃত্তি যাদের প্রয়োজন, তাদের চিহ্নিত করার অনেক বিকল্প উপায় আছে। সেগুলো চর্চা না করে সেই বহুল সমালোচিত পদ্ধতি আবারও নিয়ে আসা হতাশাজনক।

এম তারিক আহসান, জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক

শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মত হলো, এই বৃত্তি পরীক্ষা এ বছর থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন এই শিক্ষাক্রমের ধারণার সঙ্গে মিল রেখে এবং করোনার কারণে ইতিমধ্যে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান নিয়েছে।

এ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তকে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ও শিশু বিকাশের পরিপন্থী এবং বৈষম্য সৃষ্টিকারী বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃত্তি যাদের প্রয়োজন, তাদের চিহ্নিত করার অনেক বিকল্প উপায় আছে। সেগুলো চর্চা না করে সেই বহুল সমালোচিত পদ্ধতি আবারও নিয়ে আসা হতাশাজনক। শিক্ষার সিদ্ধান্ত শুধু একটি নির্বাহী আদেশের বিষয় নয়। শিক্ষাবিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরে এ ধরনের বৈষম্যমূলক চর্চা বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। আশা করি, শিগগির তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

সূত্র: প্রথম আলো