ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ইবির ১০ গবেষক যারা

ফরহাদ খাদেম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বছর বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৭৬ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৩’ এ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন অনুষদের ৭৪ জন গবেষকের নাম এসেছে।

আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।

র‍্যাঙ্কিং তালিকার ‘এইচ’ ইনডেক্স সূত্রে, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫২তম, আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে ৩১০৪তম এবং বিশ্বে ৮৪৯৩তম। এ বছরের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান। তিনি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে ইবির সর্বোচ্চ র‍্যাংকে স্থান পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান (বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক এস এম মোস্তফা কামাল (গণিত), অধ্যাপক অশোক কুমার চক্রবর্তী (ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি), অধ্যাপক জালাল উদ্দীন (তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল), অধ্যাপক জি এম আরিফুজ্জামান খান (ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি), অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা জামাল (বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক মিনহাজ উল হক (ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি), অধ্যাপক দিপক কুমার পল (ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি), অধ্যাপক রুহুল আমিন ভূইয়ান (তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল)। তারা প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং প্রকৌশল প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে গবেষণা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের অনেক গবেষক কাজ করে যাচ্ছেন এবং প্রতিবছর র‍্যাংক করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ফান্ড রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে অনেক গবেষকরা যুক্ত হবেন। দেখা যায় ব্যয়বহুল হওয়ায় বিভিন্ন নিরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়ে করতে হয়। আমাদের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুবিধা বাড়াতে হবে। সেখানে দামি যন্ত্রপাতি থাকলেও অপারেটিং করা হচ্ছে না। এগুলোর যথার্থ ব্যাবহার ও সুবিধা পাওয়া গেলে আমাদেরকে টাকা খরচ করে বাহিরে বিভিন্ন নিরীক্ষা করতে হতো না। এতে গবেষকদের কাজ আরও বেগবান হতো। আশা করি সংকট কাটিয়ে আগামীতে ইবির গবেষকরাও ভালো করবে।

ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩২ জন গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৪ জন গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯৫ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৪ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।

বিশ্বসেরা গবেষকদের শীর্ষ ২ শতাংশের মধ্যে না থাকলেও শীর্ষ ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। এদিকে শীর্ষ ৩০ শতাংশের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা রয়েছেন।

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইট (https://www.adscientificindex.com/methodology/) সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকরিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়।

কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ইনডেক্স তালিকায় ইবিতে কলা নকশা ও স্থাপত্য, শিক্ষা, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞানে কোনও গবেষণা নেই।

ইবিহো/এসএস

ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ইবির ১০ গবেষক যারা

ফরহাদ খাদেম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বছর বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৭৬ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৩’ এ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন অনুষদের ৭৪ জন গবেষকের নাম এসেছে।

আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।

র‍্যাঙ্কিং তালিকার ‘এইচ’ ইনডেক্স সূত্রে, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫২তম, আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে ৩১০৪তম এবং বিশ্বে ৮৪৯৩তম। এ বছরের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান। তিনি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে ইবির সর্বোচ্চ র‍্যাংকে স্থান পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান (বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক এস এম মোস্তফা কামাল (গণিত), অধ্যাপক অশোক কুমার চক্রবর্তী (ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি), অধ্যাপক জালাল উদ্দীন (তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল), অধ্যাপক জি এম আরিফুজ্জামান খান (ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি), অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা জামাল (বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক মিনহাজ উল হক (ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি), অধ্যাপক দিপক কুমার পল (ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি), অধ্যাপক রুহুল আমিন ভূইয়ান (তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল)। তারা প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং প্রকৌশল প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে গবেষণা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের অনেক গবেষক কাজ করে যাচ্ছেন এবং প্রতিবছর র‍্যাংক করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ফান্ড রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে অনেক গবেষকরা যুক্ত হবেন। দেখা যায় ব্যয়বহুল হওয়ায় বিভিন্ন নিরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়ে করতে হয়। আমাদের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুবিধা বাড়াতে হবে। সেখানে দামি যন্ত্রপাতি থাকলেও অপারেটিং করা হচ্ছে না। এগুলোর যথার্থ ব্যাবহার ও সুবিধা পাওয়া গেলে আমাদেরকে টাকা খরচ করে বাহিরে বিভিন্ন নিরীক্ষা করতে হতো না। এতে গবেষকদের কাজ আরও বেগবান হতো। আশা করি সংকট কাটিয়ে আগামীতে ইবির গবেষকরাও ভালো করবে।

ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩২ জন গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৪ জন গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯৫ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৪ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।

বিশ্বসেরা গবেষকদের শীর্ষ ২ শতাংশের মধ্যে না থাকলেও শীর্ষ ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। এদিকে শীর্ষ ৩০ শতাংশের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা রয়েছেন।

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইট (https://www.adscientificindex.com/methodology/) সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকরিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়।

কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ইনডেক্স তালিকায় ইবিতে কলা নকশা ও স্থাপত্য, শিক্ষা, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞানে কোনও গবেষণা নেই।

ইবিহো/এসএস