ফেসবুকে পোস্ট, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার নিয়ে শিক্ষকদের সতর্ক করল মাউশি

সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ফেসবুক ব্যবহারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুসরণ করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষক ও কর্মচারীরা, যাঁরা সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করছেন, তাঁদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। গতকাল বুধবার মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নির্দেশনা দিয়েছে। এরপরও অনেক সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা তা অনুসরণ না করে সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। এ–জাতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মাউশি।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে যা বলেছে মাউশি

  • সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিপরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস/ পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে—এমন কোনো পোস্ট দেওয়া হতে বিরত থাকতে হবে;
  • লিঙ্গ বৈষম্য বা এ–সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না;
  • জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে—এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না;
  • ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যসংবলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘কনটেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সে জন্য প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি/বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করছেন। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, সরকারি চাকরি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী। মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি/বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত যে যে শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলেছেন, গ্রুপ অ্যাডমিন আছেন, তাঁদের গ্রুপে কনটেন্ট/ পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন/ বিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
  • এ নির্দেশনাটি মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি/ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি/ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন শিক্ষক-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি কারও কনটেন্ট/ পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কনটেন্ট/ পোস্ট আপলোডকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করবেন।
  • সূত্র: প্রথম আলো।

ফেসবুকে পোস্ট, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার নিয়ে শিক্ষকদের সতর্ক করল মাউশি

সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ফেসবুক ব্যবহারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুসরণ করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষক ও কর্মচারীরা, যাঁরা সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করছেন, তাঁদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। গতকাল বুধবার মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নির্দেশনা দিয়েছে। এরপরও অনেক সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা তা অনুসরণ না করে সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। এ–জাতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মাউশি।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে যা বলেছে মাউশি

  • সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিপরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস/ পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে—এমন কোনো পোস্ট দেওয়া হতে বিরত থাকতে হবে;
  • লিঙ্গ বৈষম্য বা এ–সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না;
  • জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে—এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না;
  • ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যসংবলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে;
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘কনটেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সে জন্য প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি/বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করছেন। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, সরকারি চাকরি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী। মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি/বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত যে যে শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলেছেন, গ্রুপ অ্যাডমিন আছেন, তাঁদের গ্রুপে কনটেন্ট/ পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন/ বিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
  • এ নির্দেশনাটি মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি/ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি/ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন শিক্ষক-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি কারও কনটেন্ট/ পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কনটেন্ট/ পোস্ট আপলোডকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করবেন।
  • সূত্র: প্রথম আলো।