ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ছাদ থেকে লাফিয়ে সেরা বিতার্কিক নওরীনের মৃত্যু

ফরহাদ খাদেম

নওরীন নুসরাত।

ভবনের ছয় তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মারা গেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভূমি ও আইন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নওরীন বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। সেই সাথে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিতার্কিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার। তিনি জানান, নওরীনের পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছি, সে তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকাতে থাকতো। যতটুকু জানতে পেরেছি, সেখানে ৬ তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। নওরীনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার আগে থেকেই মেন্টাল স্ট্রেস ছিল।

এর আগে, গত ২১ জুলাই চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলা কান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নওরীন। বিয়ের পর তার স্বামীর সাথে ঢাকা সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী নামাবাজারের পাশে বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন বাড়িতে থাকতেন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি আমিও শুনলাম। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জি এম আসলামুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের কারো অভিযোগ নেই। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।

ইবিহো/এসএস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ছাদ থেকে লাফিয়ে সেরা বিতার্কিক নওরীনের মৃত্যু

ফরহাদ খাদেম

নওরীন নুসরাত।

ভবনের ছয় তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মারা গেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভূমি ও আইন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নওরীন বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। সেই সাথে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিতার্কিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার। তিনি জানান, নওরীনের পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছি, সে তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকাতে থাকতো। যতটুকু জানতে পেরেছি, সেখানে ৬ তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। নওরীনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার আগে থেকেই মেন্টাল স্ট্রেস ছিল।

এর আগে, গত ২১ জুলাই চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলা কান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নওরীন। বিয়ের পর তার স্বামীর সাথে ঢাকা সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী নামাবাজারের পাশে বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন বাড়িতে থাকতেন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি আমিও শুনলাম। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জি এম আসলামুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের কারো অভিযোগ নেই। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।

ইবিহো/এসএস