পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর

এইচএসসিতে এবার পরীক্ষার্থী ১২ লাখ

যুগান্তর প্রতিবেদন

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কম ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন। ৬ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর। পরীক্ষা সামনে রেখে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে পরীক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারের এসএসসিতে প্রশ্নফাঁসের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি আসলে সেই অর্থে ফাঁস নয়। একজন কেন্দ্রসচিব ট্রেজারি থেকে প্রশ্ন নিয়ে গেছেন। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেউ যাতে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াতে না পারে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা সামনে রেখে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত দিনে ক্লাসে সরাসরি পাঠদান করা যায়নি। এ কারণে ‘কাস্টমাইজড’ সিলেবাসে এবার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পূর্ণ নম্বরের পরিবর্তে অর্ধেক নম্বরে হচ্ছে এ পরীক্ষা, যদিও শতভাগ নম্বরে ফল দেওয়া হবে। এবার ধর্ম আর আইসিটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আগের পরীক্ষা প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে এসব বিষয়ে নম্বর দেওয়া হবে। তবে আগামী বছর (২০২৩ সাল) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে এবং পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে নেওয়া হবে।

এবার গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমত এর আগে পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয়। তখন পাশের হার বেড়ে যায়। এ কারণে এবার অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এজন্য এবার প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার যে পরীক্ষার্থী আছে তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। সবাই ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। তবে তাদের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেবল এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্বের কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে রাখা হবে। ওই তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর

এইচএসসিতে এবার পরীক্ষার্থী ১২ লাখ

যুগান্তর প্রতিবেদন

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কম ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন। ৬ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর। পরীক্ষা সামনে রেখে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে পরীক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারের এসএসসিতে প্রশ্নফাঁসের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি আসলে সেই অর্থে ফাঁস নয়। একজন কেন্দ্রসচিব ট্রেজারি থেকে প্রশ্ন নিয়ে গেছেন। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেউ যাতে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াতে না পারে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা সামনে রেখে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত দিনে ক্লাসে সরাসরি পাঠদান করা যায়নি। এ কারণে ‘কাস্টমাইজড’ সিলেবাসে এবার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পূর্ণ নম্বরের পরিবর্তে অর্ধেক নম্বরে হচ্ছে এ পরীক্ষা, যদিও শতভাগ নম্বরে ফল দেওয়া হবে। এবার ধর্ম আর আইসিটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আগের পরীক্ষা প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে এসব বিষয়ে নম্বর দেওয়া হবে। তবে আগামী বছর (২০২৩ সাল) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে এবং পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে নেওয়া হবে।

এবার গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমত এর আগে পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয়। তখন পাশের হার বেড়ে যায়। এ কারণে এবার অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এজন্য এবার প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার যে পরীক্ষার্থী আছে তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। সবাই ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। তবে তাদের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেবল এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্বের কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে রাখা হবে। ওই তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।