ক্যান্সার আক্রান্ত অনুপের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আরো ১০ লক্ষ টাকা

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

ক্যান্সার আক্রান্ত অনুপের চিকিৎসার জন্য আরও প্রয়োজন ১০ লক্ষ টাকা। গত ২৩ এপ্রিল ভারতে তার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অপারেশনের পরে ৬টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। এর মধ্যে ৩টি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেমোথেরাপি দিতে প্রয়োজন হয় ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতি মাসে ওষুধের জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তার অসহায় পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছেনা। এ মাসের ২১ তারিখে তাকে চতুর্থ কেমোথেরাপি দিতে হবে।

অনুপের বয়স এখন ২৩ বছর। তার গ্রাম রতনদিয়া, উপজেলা কালুখালী, জেলা রাজবাড়ি। তিনি ২০১৭ সালে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পরেই তার বা পায়ের হাঁটুর উপরে একটি টিউমার চোখে পড়ে। পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে টিউমারটি অপারেশন করার পর বায়োপসির মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার দেখানোর পর, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে ৬টি সাইকেল কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এদিকে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি তার পড়াশোনা ত্যাগ করেন নি। ২০২২ সালে তিনি সিভিল টেকনোলজিতে সিজিপিএ ৩.৮৪ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।

২০১৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের ভেলোরের খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজ চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। সেখানে ৩৩টি রেডিও থেরাপি দেওয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। প্রতিবছর মেডিকেল চেকাপের জন্য ভারতে গমণ করেন এবং সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এভাবে ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকাপের ফলে জানা যায়, ক্যান্সার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকারও অধিক।

এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছেনা। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেওয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না। এখন তার আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তিনি পরিবারের আহার পর্যন্ত ঠিকমতো জোগাড় করকে পারছেন না। তার সকল সহায়-সম্বল, জমিজমা বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা চালানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছেনা। তাই একজন অসহায় বাবা পুত্রের জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। অনুপের চিকিৎসার জন্য আপনার মানবিক হাত বাড়িয়ে দিন।

অনুপকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

অনুপ কুমার পাল, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ,কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 0561110010815
অধীর কুমার পাল, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 2213100000286, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম্বার:2551050039312, বিকাশ নাম্বার: 01792-639549, রকেট নাম্বার: 01792-6395492, নগদ নাম্বার: 01537-367600

ইবিহো/এসএস

ক্যান্সার আক্রান্ত অনুপের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আরো ১০ লক্ষ টাকা

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

ক্যান্সার আক্রান্ত অনুপের চিকিৎসার জন্য আরও প্রয়োজন ১০ লক্ষ টাকা। গত ২৩ এপ্রিল ভারতে তার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অপারেশনের পরে ৬টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। এর মধ্যে ৩টি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেমোথেরাপি দিতে প্রয়োজন হয় ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতি মাসে ওষুধের জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তার অসহায় পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছেনা। এ মাসের ২১ তারিখে তাকে চতুর্থ কেমোথেরাপি দিতে হবে।

অনুপের বয়স এখন ২৩ বছর। তার গ্রাম রতনদিয়া, উপজেলা কালুখালী, জেলা রাজবাড়ি। তিনি ২০১৭ সালে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পরেই তার বা পায়ের হাঁটুর উপরে একটি টিউমার চোখে পড়ে। পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে টিউমারটি অপারেশন করার পর বায়োপসির মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার দেখানোর পর, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে ৬টি সাইকেল কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এদিকে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি তার পড়াশোনা ত্যাগ করেন নি। ২০২২ সালে তিনি সিভিল টেকনোলজিতে সিজিপিএ ৩.৮৪ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।

২০১৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের ভেলোরের খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজ চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। সেখানে ৩৩টি রেডিও থেরাপি দেওয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। প্রতিবছর মেডিকেল চেকাপের জন্য ভারতে গমণ করেন এবং সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এভাবে ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকাপের ফলে জানা যায়, ক্যান্সার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকারও অধিক।

এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছেনা। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেওয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না। এখন তার আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তিনি পরিবারের আহার পর্যন্ত ঠিকমতো জোগাড় করকে পারছেন না। তার সকল সহায়-সম্বল, জমিজমা বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা চালানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছেনা। তাই একজন অসহায় বাবা পুত্রের জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। অনুপের চিকিৎসার জন্য আপনার মানবিক হাত বাড়িয়ে দিন।

অনুপকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

অনুপ কুমার পাল, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ,কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 0561110010815
অধীর কুমার পাল, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 2213100000286, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম্বার:2551050039312, বিকাশ নাম্বার: 01792-639549, রকেট নাম্বার: 01792-6395492, নগদ নাম্বার: 01537-367600

ইবিহো/এসএস