বঙ্গবন্ধু-ঢাবি না থাকলে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে এ দুটি নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, একজন মহান মানুষ যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে মহীরুহে পরিণত হয়েছিলেন। আরেকটি মহৎ প্রতিষ্ঠান যেটি এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো প্রসারের পাশাপাশি স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উভয়ই প্রায় সমবয়সী। জাতির পিতা জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালে, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ সালে।শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের স্মারক হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্মিত ‘রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক স্থায়ী আর্ট গ্যালারির উদ্বোধন ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, অসচ্ছল শিল্পীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অসচ্ছল শিল্পীদের নিয়মিত অনুদান দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালীন প্রায় ২০ হাজার অসচ্ছল শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৮তম দপ্তর হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে-  বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট। প্রধানমন্ত্রী এ সংস্থার জন্য ‘সিড মানি’ হিসেবে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। সংস্থাটির পক্ষ থেকে শিল্পীদের কল্যাণে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শিল্পীদের সন্তানদের বৃত্তি  দেওয়া হবে এবং শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে গবেষণায় অনুদান দেওয়া হবে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গ্যালারি ও চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এ. কে. আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার ও ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অ্যালামনাইয়ের শিল্পী সদস্যদের সম্পাদিত মোট ১১৩টি শিল্পকর্ম সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ১০৬টি চিত্রকর্ম ও বাকি ৭টি ভাস্কর্য। এসব শিল্পকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপনা, আন্দোলন-সংগ্রাম ও কৃতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অর্জন।

এইচআর/এমএইচএন/আরএইচ

 

বঙ্গবন্ধু-ঢাবি না থাকলে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে এ দুটি নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, একজন মহান মানুষ যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে মহীরুহে পরিণত হয়েছিলেন। আরেকটি মহৎ প্রতিষ্ঠান যেটি এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো প্রসারের পাশাপাশি স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উভয়ই প্রায় সমবয়সী। জাতির পিতা জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালে, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ সালে।শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের স্মারক হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্মিত ‘রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক স্থায়ী আর্ট গ্যালারির উদ্বোধন ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, অসচ্ছল শিল্পীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অসচ্ছল শিল্পীদের নিয়মিত অনুদান দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালীন প্রায় ২০ হাজার অসচ্ছল শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৮তম দপ্তর হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে-  বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট। প্রধানমন্ত্রী এ সংস্থার জন্য ‘সিড মানি’ হিসেবে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। সংস্থাটির পক্ষ থেকে শিল্পীদের কল্যাণে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শিল্পীদের সন্তানদের বৃত্তি  দেওয়া হবে এবং শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে গবেষণায় অনুদান দেওয়া হবে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গ্যালারি ও চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এ. কে. আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার ও ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অ্যালামনাইয়ের শিল্পী সদস্যদের সম্পাদিত মোট ১১৩টি শিল্পকর্ম সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ১০৬টি চিত্রকর্ম ও বাকি ৭টি ভাস্কর্য। এসব শিল্পকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপনা, আন্দোলন-সংগ্রাম ও কৃতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অর্জন।

এইচআর/এমএইচএন/আরএইচ