চা-শিঙাড়া-সমুচা-চপে ১০ টাকাতেও মুনাফা!
মোতাহার হোসেন, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের একটি বক্তব্যের সূত্রে এই ক্যাম্পাসের ১০ টাকার এক কাপ চা, শিঙাড়া, সমুচা ও চপের গল্প কমবেশি সবারই জানা। সেই বক্তব্যের পর পেরিয়ে গেছে ৩ বছর ৮ মাস ১৮ দিন। এই সময়ে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের রেকর্ড মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কিন্তু এখনো সেই ১০ টাকাতেই পাওয়া যায় চারটি আইটেম। অথচ এত সস্তায় এসব খাবার বিক্রি করেও লাভ হয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ার!
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও পাওয়া যায় উপাচার্যের কথার সত্যতা। এক কাপ গরম পানির সঙ্গে সামান্য চা পাতা মিশিয়ে ও এক টুকরো লেবু দিয়ে বানানো চায়ের দাম স্থানভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা। খোদ ঢাবির প্রাণকেন্দ্র টিএসসি প্রাঙ্গণ ও বিভিন্ন হলেও মোটামুটি একই অবস্থা। কিন্তু ডাকসু ও টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক কাপ চায়ের দাম মাত্র ১ টাকা। শিঙাড়া, আলুর চপ, সমুচার দামও রাজধানীতে স্থানভেদে ৫-১০ থেকে ১৫ টাকা। সেখানে ঢাবির দুই ক্যাফেটেরিয়ায় এসবের দাম মাত্র ৩ টাকা। মাত্র ১০ টাকায় এতকিছু পাওয়া যায়, যা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এসব ক্যাফেটেরিয়ায় নিয়মিত যাতায়াতকারীরা জানেন, সত্যিই ১০ টাকায় এতকিছু পাওয়া সম্ভব। এসব বিক্রি করে রীতিমতো মুনাফাও যোগ হয় এসব ক্যাফেটেরিয়ার।
টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার আগস্টে খাবার বিক্রি হয়েছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৩ টাকার, বিপরীতে ব্যয় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪০ টাকা। টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভ হয় ৪৫ হাজার ৯৯৩ টাকা। প্রায় কাছাকাছি চিত্র ছিল ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াতেও।
এ বিষয়ে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে থাকা সৈয়দ আলী আকবর বলেন, ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটা শিঙাড়া, একটা চপ এবং একটা সমুচা বিক্রি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। আমরা সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এগুলোতে খুব বেশি লাভ নাই। কোনো রকম চালিয়ে নিচ্ছি। এসব ক্যাফেটেরিয়ায় চা, শিঙাড়া, চপ, সমুচার পাশাপাশি ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, মাংস, ডিম, প্যাটিস, কফি ও বিভিন্ন প্রকার কোল্ড ড্রিংকস পাওয়া যায়। খাবারের দামও তুলনামূলক কম। বিভিন্ন হলে ভাত, পোলাও, খিচুড়ির সঙ্গে মাংস ৪০ থেকে ৬০ টাকা রাখা হলেও এখানে মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যায়। ফলে প্রচুর শিক্ষার্থী ও বহিরাগত খেতে আসেন এখানে। খাবারের মানও দামের তুলনায় যথেষ্ট ভালো বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ডাকসু ও টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম খুবই কম। সে জন্যই আমরা সেখানে খেতে যাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, স্থাপনা, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ এগুলোর খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে বহন করে। যাতে শিক্ষার্থীরা সুলভ মূল্যে সবকিছু পেতে পারে। আমরা এটা তদারকিও করি, যাতে গুণগত মান না কমে।

চা-শিঙাড়া-সমুচা-চপে ১০ টাকাতেও মুনাফা!
মোতাহার হোসেন, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের একটি বক্তব্যের সূত্রে এই ক্যাম্পাসের ১০ টাকার এক কাপ চা, শিঙাড়া, সমুচা ও চপের গল্প কমবেশি সবারই জানা। সেই বক্তব্যের পর পেরিয়ে গেছে ৩ বছর ৮ মাস ১৮ দিন। এই সময়ে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের রেকর্ড মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কিন্তু এখনো সেই ১০ টাকাতেই পাওয়া যায় চারটি আইটেম। অথচ এত সস্তায় এসব খাবার বিক্রি করেও লাভ হয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ার!
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও পাওয়া যায় উপাচার্যের কথার সত্যতা। এক কাপ গরম পানির সঙ্গে সামান্য চা পাতা মিশিয়ে ও এক টুকরো লেবু দিয়ে বানানো চায়ের দাম স্থানভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা। খোদ ঢাবির প্রাণকেন্দ্র টিএসসি প্রাঙ্গণ ও বিভিন্ন হলেও মোটামুটি একই অবস্থা। কিন্তু ডাকসু ও টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক কাপ চায়ের দাম মাত্র ১ টাকা। শিঙাড়া, আলুর চপ, সমুচার দামও রাজধানীতে স্থানভেদে ৫-১০ থেকে ১৫ টাকা। সেখানে ঢাবির দুই ক্যাফেটেরিয়ায় এসবের দাম মাত্র ৩ টাকা। মাত্র ১০ টাকায় এতকিছু পাওয়া যায়, যা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এসব ক্যাফেটেরিয়ায় নিয়মিত যাতায়াতকারীরা জানেন, সত্যিই ১০ টাকায় এতকিছু পাওয়া সম্ভব। এসব বিক্রি করে রীতিমতো মুনাফাও যোগ হয় এসব ক্যাফেটেরিয়ার।
টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার আগস্টে খাবার বিক্রি হয়েছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৩ টাকার, বিপরীতে ব্যয় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪০ টাকা। টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভ হয় ৪৫ হাজার ৯৯৩ টাকা। প্রায় কাছাকাছি চিত্র ছিল ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াতেও।
এ বিষয়ে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে থাকা সৈয়দ আলী আকবর বলেন, ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটা শিঙাড়া, একটা চপ এবং একটা সমুচা বিক্রি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। আমরা সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এগুলোতে খুব বেশি লাভ নাই। কোনো রকম চালিয়ে নিচ্ছি। এসব ক্যাফেটেরিয়ায় চা, শিঙাড়া, চপ, সমুচার পাশাপাশি ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, মাংস, ডিম, প্যাটিস, কফি ও বিভিন্ন প্রকার কোল্ড ড্রিংকস পাওয়া যায়। খাবারের দামও তুলনামূলক কম। বিভিন্ন হলে ভাত, পোলাও, খিচুড়ির সঙ্গে মাংস ৪০ থেকে ৬০ টাকা রাখা হলেও এখানে মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যায়। ফলে প্রচুর শিক্ষার্থী ও বহিরাগত খেতে আসেন এখানে। খাবারের মানও দামের তুলনায় যথেষ্ট ভালো বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ডাকসু ও টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম খুবই কম। সে জন্যই আমরা সেখানে খেতে যাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, স্থাপনা, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ এগুলোর খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে বহন করে। যাতে শিক্ষার্থীরা সুলভ মূল্যে সবকিছু পেতে পারে। আমরা এটা তদারকিও করি, যাতে গুণগত মান না কমে।