ইবির দাওয়াহ বিভাগে পুনর্মিলনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

ফরহাদ খাদেম

আনন্দ শোভাযাত্রা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এ উপলক্ষে শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি বের করা হয়।

র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, থিওলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এন এম এরশাদ উল্লাহ, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থটের মহা পরিচালক ড. এম আব্দুল আজিজ।

এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, এলামনাই এসোসিয়েশন এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম। যে প্লাটফর্মে আমাদের এ অনুভূতি তৈরি হয় যে, আমরা যে চারা থেকে উৎপন্ন হয়েছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের বিভাগ হচ্ছে সেই চারার বীজভূমি। এই বীজভূমি আমাদেরকে বড় করে তুলেছে, বৃক্ষে পরিনত করেছে, মহিরুহে পরিণত করেছে। সেখান থেকে আজ আপনারা বৃক্ষে ফল দিয়েছেন। সে ফলের ফলশ্রুতিতে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। আপনাদের মধ্যে আমরা গাছ লাগিয়েছিলাম, এখন আপনাদের মধ্যে ফল ধরেছে। এখন আপনি আপনার মাতৃসম বিশ্ববিদ্যালয়কে সে ফল দিয়ে সমৃদ্ধ করুন। এই আহ্বান আপনাদের কাছে আমি রাখতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আশা এটা যে, আমাদের ৩৬ টি বিভাগের ৩৬ টি বিভাগে ও প্রতিটি ব্যাচে এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন থাকবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারের আর্থিক সহায়তা ও অনুদানের উপর নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে কখনো কখনো সরকারও বিভিন্ন কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতা করা এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলোর দায়িত্ব পড়ে। পৃথিবীর প্রায় ৭০ ভাগেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভিতরকার অনুদান, বিভিন্ন ফাউন্ডেশন বা প্রতিষ্ঠান গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের কার্যাদি পরিচালনা করে। একটি মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা, জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা, বর্তমান পৃথিবীর সাথে নিজেকে এগিয়ে নিতে খাপ খাওয়ানোর মতো জ্ঞান ও আদর্শ ভিত্তিক শিক্ষা অর্জন করতে না পারি, তাহলে শুধুমাত্র একজন গ্রাজুয়েট হয়ে কোন লাভ নাই।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, অ্যালামনাই কমিটি গঠন ও মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এমবিএইচ/এসএস

ইবির দাওয়াহ বিভাগে পুনর্মিলনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

ফরহাদ খাদেম

আনন্দ শোভাযাত্রা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এ উপলক্ষে শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি বের করা হয়।

র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, থিওলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এন এম এরশাদ উল্লাহ, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থটের মহা পরিচালক ড. এম আব্দুল আজিজ।

এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, এলামনাই এসোসিয়েশন এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম। যে প্লাটফর্মে আমাদের এ অনুভূতি তৈরি হয় যে, আমরা যে চারা থেকে উৎপন্ন হয়েছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের বিভাগ হচ্ছে সেই চারার বীজভূমি। এই বীজভূমি আমাদেরকে বড় করে তুলেছে, বৃক্ষে পরিনত করেছে, মহিরুহে পরিণত করেছে। সেখান থেকে আজ আপনারা বৃক্ষে ফল দিয়েছেন। সে ফলের ফলশ্রুতিতে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। আপনাদের মধ্যে আমরা গাছ লাগিয়েছিলাম, এখন আপনাদের মধ্যে ফল ধরেছে। এখন আপনি আপনার মাতৃসম বিশ্ববিদ্যালয়কে সে ফল দিয়ে সমৃদ্ধ করুন। এই আহ্বান আপনাদের কাছে আমি রাখতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আশা এটা যে, আমাদের ৩৬ টি বিভাগের ৩৬ টি বিভাগে ও প্রতিটি ব্যাচে এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন থাকবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারের আর্থিক সহায়তা ও অনুদানের উপর নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে কখনো কখনো সরকারও বিভিন্ন কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতা করা এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলোর দায়িত্ব পড়ে। পৃথিবীর প্রায় ৭০ ভাগেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভিতরকার অনুদান, বিভিন্ন ফাউন্ডেশন বা প্রতিষ্ঠান গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের কার্যাদি পরিচালনা করে। একটি মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা, জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা, বর্তমান পৃথিবীর সাথে নিজেকে এগিয়ে নিতে খাপ খাওয়ানোর মতো জ্ঞান ও আদর্শ ভিত্তিক শিক্ষা অর্জন করতে না পারি, তাহলে শুধুমাত্র একজন গ্রাজুয়েট হয়ে কোন লাভ নাই।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, অ্যালামনাই কমিটি গঠন ও মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এমবিএইচ/এসএস