এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জবি শিক্ষক সমিতির

জবি সংবাদদাতা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় 

সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (গুচ্ছ পদ্ধতি) থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরেই জবির অবস্থান আজ দৃশ্যমান। শিক্ষা ও গবেষণায় জবি যখন সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মধ্যে এক অনন্য অবস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাচ্ছিল এবং জবির  ভর্তি প্রক্রিয়া ও কৌশল উন্নততর হওয়ায় যখন তা ঢাবির মতো পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রহণ করেছে ঠিক সেই মুহুর্তে সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই প্রশাসনিক একক সিদ্ধান্তে গুচ্ছ পদ্ধতির নামে নতুন এক পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে জবিকে ঢোকানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্পূর্ণরূপে নতুন ও অভিনব এ পদ্ধতিতে সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা বিসর্জন, বিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণের কারণে সেশনজট সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি, আর্থিক সচ্ছতার অভাব, অপেক্ষাকৃত দুর্বল মেধার শিক্ষার্থী প্রাপ্তি ইত্যাদি বহুবিধ সমস্যার কারণে জবির সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়।

সিদ্ধান্তে বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গতবছরের ১৮ এপ্রিল তৃতীয় সাধারণ সভায় উপরোক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা দিয়ে শেষবারের মতো গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, উক্ত দাবি সমূহের অধিকাংশই বাস্তবায়িত না হওয়ায় গতবছরের ১৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সমিতির আয়োজিত পঞ্চম সাধারণ সভায় শিক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সভায় সমিতির সভাপতি আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ

এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জবি শিক্ষক সমিতির

জবি সংবাদদাতা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় 

সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (গুচ্ছ পদ্ধতি) থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরেই জবির অবস্থান আজ দৃশ্যমান। শিক্ষা ও গবেষণায় জবি যখন সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মধ্যে এক অনন্য অবস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাচ্ছিল এবং জবির  ভর্তি প্রক্রিয়া ও কৌশল উন্নততর হওয়ায় যখন তা ঢাবির মতো পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রহণ করেছে ঠিক সেই মুহুর্তে সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই প্রশাসনিক একক সিদ্ধান্তে গুচ্ছ পদ্ধতির নামে নতুন এক পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে জবিকে ঢোকানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্পূর্ণরূপে নতুন ও অভিনব এ পদ্ধতিতে সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা বিসর্জন, বিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণের কারণে সেশনজট সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি, আর্থিক সচ্ছতার অভাব, অপেক্ষাকৃত দুর্বল মেধার শিক্ষার্থী প্রাপ্তি ইত্যাদি বহুবিধ সমস্যার কারণে জবির সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়।

সিদ্ধান্তে বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গতবছরের ১৮ এপ্রিল তৃতীয় সাধারণ সভায় উপরোক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা দিয়ে শেষবারের মতো গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, উক্ত দাবি সমূহের অধিকাংশই বাস্তবায়িত না হওয়ায় গতবছরের ১৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সমিতির আয়োজিত পঞ্চম সাধারণ সভায় শিক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সভায় সমিতির সভাপতি আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ