বিইউপিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন যাঁদের

মুসাররাত আবির

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস বা বিইউপি-নামটা অনেকের কাছেই চেনা, আবার অচেনাও বটে। বিইউপির নাম শুনলে অনেকেই মনে করে এইটা কি সরকারি না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়? তাই শুরুতেই জানিয়ে রাখি, বিইউপি মিরপুর সেনানিবাসে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা মিলিটারি দ্বারা পরিচালিত।

ভর্তি পরীক্ষার ধরন

লিখিত ও মৌখিক—এই দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। লিখিত থেকে প্রতিটি ফ্যাকাল্টির সিটের অনুপাতে চার গুণ বেশি শিক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। লিখিততে মোট পাস মার্ক না থাকলেও, ইংরেজি অংশে ৪০% নম্বর পেতেই হবে। এখানে মোট ১০০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সমাধান করতে হয়। ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত অংশের মোট নম্বরকে ৭০% ধরা হবে এবং মৌখিকে থাকবে ১০% নম্বর। বাকি ২০% মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএ।

ভর্তি প্রস্তুতি

বিইউপিতে মোট চারটি অনুষদে পরীক্ষা হয়। প্রতিটা অনুষদের জন্য আলাদা আলাদা ফি পরিশোধ করতে হবে। অনুষদগুলো হলো– ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজ, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স এবং ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ। চলো তাহলে, প্রতিটি অনুষদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি: 
এই ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এখানের ডিপার্টমেন্টগুলো হলো: এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, আইসিই ও কম্পিউটার সায়েন্স। গণিত/জীববিজ্ঞান (২৫), পদার্থবিজ্ঞান (২০), রসায়ন (২০) ও ইংরেজি (১৫)—এই চারটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়ে থাকে। যে গণিত দাগাবে সে যেকোনো বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে, আর যে জীববিজ্ঞান দাগাবে, সে শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে পড়তে পারবে। এই অনুষদের ক্ষেত্রে বিইউপির প্রশ্নব্যাংকের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির প্রশ্নব্যাংকগুলো সমাধান করতে হবে।

ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স:

বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক—তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এখানে আবেদন করতে পারবে। ইংরেজি (৪০), সাধারণ জ্ঞান (৪০), বাংলা (২০)—এই চারটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়ে থাকে। এখানের বিভাগগুলো হলো: ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ডিজেস্টার অ্যান্ড হিউম্যান সিকিউরিটি, ইকোনমিকস, ইংরেজি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সোসিওলজি।

  • বাংলা অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটি খুব ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। প্রতিটি জিনিসের সংজ্ঞা ও উদাহরণ বুঝে বুঝে পড়তে হবে। বাংলা প্রথম পত্রের জন্য উচ্চমাধ্যমিকের সাহিত্যপাঠ ও সহপাঠ পড়লেই চলবে। দ্বিতীয় পত্রের জন্য ধ্বনি পরিবর্তন, সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, কারক ও বিভক্তি, বাগধারা, সমার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন, বিপরীতার্থক শব্দ, বানান ইত্যাদি পড়তে হবে।
  • ইংরেজির জন্য ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই ও গ্রামার অংশের Degree, Voice, Narration, Parts of Speech, Correction, Subject Verb Agreement, Analogy ও Synonym-Antonym গুরুত্বপূর্ণ।
  • সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কিছু জায়গা থেকেই প্রশ্ন করা হয়। যেমন: বাংলাদেশের পরিচিতি, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের প্রথম, সংবিধান, সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন দিবস, পুরস্কার, ভাস্কর্য, খেলাধুলা, ছোট-বড় জিনিস, নদ-নদী, শিল্প-সাহিত্য, সরকারব্যবস্থা, ছিটমহল উপজাতি, নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। আর আন্তর্জাতিক অংশে বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রা, রাষ্ট্রপ্রধানের নাম, কিসের জন্য বিখ্যাত, পার্লামেন্ট, জাতিসংঘ, পুরস্কার ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন চলে আসে। তবে ৩/৪ শতাংশ থাকে সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান থেকে। তাই পরীক্ষার চার-পাঁচ মাস আগে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে জেনে রেখ। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিট এবং বিসিএসের বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।

ফ্যাকাল্টি অব সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজ:

এটার মানবণ্টন ও প্রস্তুতি হুবহু ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের মতো। এখানের বিভাগগুলো হচ্ছে: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইন, ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম ও পিস, কনফ্লিক্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজ।

ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ:

বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক—তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এখানে পরীক্ষা দিতে পারবে। গণিত (৩৫), ইংরেজি (৩৫), সাধারণ জ্ঞান (৩০)—এই তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়ে থাকে। এখানের বিভাগগুলো হচ্ছে: বিবিএ-জেনারেল, ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্ট।
এখানকার প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকে। ইংরেজির সিলেবাস বাকি তিন ইউনিটের মতো হলেও, ভোকাবুলারি অংশে বেশি জোর দিতে হবে। সে জন্য ওয়ার্ডস্মার্ট পড়তে পার। সাধারণ জ্ঞান আগের দুই ইউনিটের মতোই হয়। আর গণিত থেকে কাজের সময়, শতকরা, ভগ্নাংশ, ল. সা. গু, গ. সা. গু, অনুপাত, লাভ-ক্ষতি, আয়-ব্যয়, গড়, বিভাজ্যতা, অসমতা, পরম মান, দূরত্ব, কোণ ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে। অঙ্ক করার নিয়ম ছোট হলেও, প্রশ্ন বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়। তাই দ্রুত সমাধান করা শিখতে হবে। গণিত অংশের জন্য মেন্টরস ম্যাথ কোশ্চেন ব্যাংক, ম্যানহাটন জিম্যাট (১-৫) থেকে প্রশ্ন সমাধান করতে পার।

পড়াশোনার খরচ:
ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বাদে বাকি তিন অনুষদে চার বছরের স্নাতক শেষ করতে মোট ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা খরচ হবে। আর ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে খরচ পড়বে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

একটা কথা জানিয়ে রাখি, এখানে সেকেন্ড টাইমাররা কোনো নম্বর কর্তন ছাড়াই আবার পরীক্ষা দিতে পারবে। বিইউপির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ক্যাম্পাস সেশনজট ও রাজনীতিমুক্ত।

ওয়েবসাইট

মুসাররাত আবির, শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস

বিইউপিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন যাঁদের

মুসাররাত আবির

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস বা বিইউপি-নামটা অনেকের কাছেই চেনা, আবার অচেনাও বটে। বিইউপির নাম শুনলে অনেকেই মনে করে এইটা কি সরকারি না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়? তাই শুরুতেই জানিয়ে রাখি, বিইউপি মিরপুর সেনানিবাসে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা মিলিটারি দ্বারা পরিচালিত।

ভর্তি পরীক্ষার ধরন

লিখিত ও মৌখিক—এই দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। লিখিত থেকে প্রতিটি ফ্যাকাল্টির সিটের অনুপাতে চার গুণ বেশি শিক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। লিখিততে মোট পাস মার্ক না থাকলেও, ইংরেজি অংশে ৪০% নম্বর পেতেই হবে। এখানে মোট ১০০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সমাধান করতে হয়। ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত অংশের মোট নম্বরকে ৭০% ধরা হবে এবং মৌখিকে থাকবে ১০% নম্বর। বাকি ২০% মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএ।

ভর্তি প্রস্তুতি

বিইউপিতে মোট চারটি অনুষদে পরীক্ষা হয়। প্রতিটা অনুষদের জন্য আলাদা আলাদা ফি পরিশোধ করতে হবে। অনুষদগুলো হলো– ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজ, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স এবং ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ। চলো তাহলে, প্রতিটি অনুষদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি: 
এই ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এখানের ডিপার্টমেন্টগুলো হলো: এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, আইসিই ও কম্পিউটার সায়েন্স। গণিত/জীববিজ্ঞান (২৫), পদার্থবিজ্ঞান (২০), রসায়ন (২০) ও ইংরেজি (১৫)—এই চারটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়ে থাকে। যে গণিত দাগাবে সে যেকোনো বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে, আর যে জীববিজ্ঞান দাগাবে, সে শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে পড়তে পারবে। এই অনুষদের ক্ষেত্রে বিইউপির প্রশ্নব্যাংকের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির প্রশ্নব্যাংকগুলো সমাধান করতে হবে।

ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স:

বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক—তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এখানে আবেদন করতে পারবে। ইংরেজি (৪০), সাধারণ জ্ঞান (৪০), বাংলা (২০)—এই চারটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়ে থাকে। এখানের বিভাগগুলো হলো: ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ডিজেস্টার অ্যান্ড হিউম্যান সিকিউরিটি, ইকোনমিকস, ইংরেজি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সোসিওলজি।

  • বাংলা অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটি খুব ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। প্রতিটি জিনিসের সংজ্ঞা ও উদাহরণ বুঝে বুঝে পড়তে হবে। বাংলা প্রথম পত্রের জন্য উচ্চমাধ্যমিকের সাহিত্যপাঠ ও সহপাঠ পড়লেই চলবে। দ্বিতীয় পত্রের জন্য ধ্বনি পরিবর্তন, সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, কারক ও বিভক্তি, বাগধারা, সমার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন, বিপরীতার্থক শব্দ, বানান ইত্যাদি পড়তে হবে।
  • ইংরেজির জন্য ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই ও গ্রামার অংশের Degree, Voice, Narration, Parts of Speech, Correction, Subject Verb Agreement, Analogy ও Synonym-Antonym গুরুত্বপূর্ণ।
  • সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কিছু জায়গা থেকেই প্রশ্ন করা হয়। যেমন: বাংলাদেশের পরিচিতি, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের প্রথম, সংবিধান, সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন দিবস, পুরস্কার, ভাস্কর্য, খেলাধুলা, ছোট-বড় জিনিস, নদ-নদী, শিল্প-সাহিত্য, সরকারব্যবস্থা, ছিটমহল উপজাতি, নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। আর আন্তর্জাতিক অংশে বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রা, রাষ্ট্রপ্রধানের নাম, কিসের জন্য বিখ্যাত, পার্লামেন্ট, জাতিসংঘ, পুরস্কার ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন চলে আসে। তবে ৩/৪ শতাংশ থাকে সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান থেকে। তাই পরীক্ষার চার-পাঁচ মাস আগে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে জেনে রেখ। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিট এবং বিসিএসের বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।

ফ্যাকাল্টি অব সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজ:

এটার মানবণ্টন ও প্রস্তুতি হুবহু ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের মতো। এখানের বিভাগগুলো হচ্ছে: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইন, ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম ও পিস, কনফ্লিক্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজ।

ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ:

বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক—তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এখানে পরীক্ষা দিতে পারবে। গণিত (৩৫), ইংরেজি (৩৫), সাধারণ জ্ঞান (৩০)—এই তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়ে থাকে। এখানের বিভাগগুলো হচ্ছে: বিবিএ-জেনারেল, ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্ট।
এখানকার প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকে। ইংরেজির সিলেবাস বাকি তিন ইউনিটের মতো হলেও, ভোকাবুলারি অংশে বেশি জোর দিতে হবে। সে জন্য ওয়ার্ডস্মার্ট পড়তে পার। সাধারণ জ্ঞান আগের দুই ইউনিটের মতোই হয়। আর গণিত থেকে কাজের সময়, শতকরা, ভগ্নাংশ, ল. সা. গু, গ. সা. গু, অনুপাত, লাভ-ক্ষতি, আয়-ব্যয়, গড়, বিভাজ্যতা, অসমতা, পরম মান, দূরত্ব, কোণ ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে। অঙ্ক করার নিয়ম ছোট হলেও, প্রশ্ন বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়। তাই দ্রুত সমাধান করা শিখতে হবে। গণিত অংশের জন্য মেন্টরস ম্যাথ কোশ্চেন ব্যাংক, ম্যানহাটন জিম্যাট (১-৫) থেকে প্রশ্ন সমাধান করতে পার।

পড়াশোনার খরচ:
ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বাদে বাকি তিন অনুষদে চার বছরের স্নাতক শেষ করতে মোট ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা খরচ হবে। আর ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে খরচ পড়বে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

একটা কথা জানিয়ে রাখি, এখানে সেকেন্ড টাইমাররা কোনো নম্বর কর্তন ছাড়াই আবার পরীক্ষা দিতে পারবে। বিইউপির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ক্যাম্পাস সেশনজট ও রাজনীতিমুক্ত।

ওয়েবসাইট

মুসাররাত আবির, শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস