মেধাবীরা যে ১০ পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেন

শিক্ষার্থীদের কাছে পড়াশোনা অনেক সময় ভয়ের বিষয়। কারণ, ফলাফলনির্ভর পড়াশোনা। তবে পড়াশোনা সহজে আত্মস্থ করতে নানা পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো কৌশল বেশ কার্যকর হয়। মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনায় নানা কৌশল বা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সেরা ১০ কৌশল তুলে ধরা হলো—

১. ধারাবাহিকতা

মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় ধারাবাহিকতার বিষয়টিকে। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দৈনন্দিন রুটিনমাফিক পড়াশোনা করে থাকে তারা। প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও দরকারি সময় বরাদ্দ করেই তারা এ কাজ করে থাকে।

২. কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা

পড়াশোনার ক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি মেধাবীদের সর্বাধিক গুরুত্বের বিষয়। কোন কাজটি কখন করবে, তা কাজ শুরুর আগেই ভেবে নেয় মেধাবী শিক্ষার্থীরা। দক্ষতার সঙ্গে সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালনার কারণে অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকে।

৩. ক্লাসে সক্রিয় থাকা

মেধাবী শিক্ষার্থীর অন্য একটি গুণ হলো শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় থাকা। আসলে অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে তারা এখানেই আলাদা। শিক্ষকদের পুরো আলোচনা মনোযোগ দিয়ে শুনে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য ডায়েরি বা খাতায় টুকে রাখে।

৪. ক্লাসের রিভিউ বা পর্যালোচনা

মেধাবী শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষে শিক্ষকের পড়ানো বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে। ক্লাস শেষে তারা ডায়েরি বা নোটবুকে টুকে রাখা তথ্য আরেকবার যাচাই করে নেয়। গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখে এবং কোনো কিছুতে সমস্যা থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক বা সহপাঠীর সাহায্যে সে সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করে ফেলে।
আর এই কৌশল অন্য সবার থেকে তাদের এগিয়ে রাখে।

৫. পড়াশোনায় নানা কৌশলের ব্যবহার

অন্যদের চেয়ে মেধাবীদের যে বিষয় এগিয়ে রাখে, তা হলো পড়াশোনায় ভিন্ন ভিন্ন কৌশলের প্রয়োগ। ব্রেন স্ট্রর্মিং থেকে শুরু করে, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আত্মস্থ করার কৌশল, বিশ্রামের সময় নানা বিষয় নিয়ে চিন্তা করা, ফ্ল্যাশ কার্ডের ব্যবহারসহ সমস্যাযুক্ত প্রশ্ন বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে তারা পড়াশোনা বুঝে থাকে ও স্মৃতিতে ধারণ করে।

৬. বড় বিষয় ক্ষুদ্র করে আত্মস্থ

মেধাবী শিক্ষার্থী বড় কোনো বিষয় পড়ার সময় তা ভেঙে ক্ষুদ্র ও প্রয়োজনীয় অংশ বেছে নেয়। এই কৌশলের মাধ্যমে সহজেই তারা বিভিন্ন জটিল বিষয়কে সহজতর করে এবং মন থেকে পড়াশোনার সব ভীতি দূর করে ফেলে।

৭. কাল নয় সবসময় আজ

মেধাবী শিক্ষার্থী সব সময় দীর্ঘসূত্রতা এড়িয়ে চলে। তারা কখনোই দৈনন্দিন কাজ ফেলে রাখে না। পরে দীর্ঘ সময়ে ধরে তা করেও না। পড়াশোনাসহ করণীয় কাজ তারা যথাসময়েই গুরুত্ব দিয়ে দ্রুতই করে থাকে। কালকের জন্য কোনো কাজ ফেলে রাখে না। তাদের ডিকশনারিতে কাল বলে কোনো শব্দ নেই। পড়াশোনার সব কাজ আজই করে ফেলে তারা।

৮. কোলাহলমুক্ত পরিবেশ তৈরি

মেধাবী শিক্ষার্থী সব সময় পড়াশোনার গুরুত্ব দিয়ে একটি কোলাহলমুক্ত ও নীরব পরিবেশ তৈরি করে। এতে গভীর মনোযোগ দিয়ে তারা পড়াশোনার কাজটি করতে পারে।

৯. জীবনযাপনে ভারসাম্য রাখা

ছোটবেলায় সবাই হয়তো শুনেছেন—পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা। অর্থাৎ সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলায় শেখানো হয়। কিন্তু সবাই হয়তো এটা মেনে চলে না। তবে মেধাবীরা এটি মেনে পড়াশোনা করে। মেধাবীরা পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনের সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, খেলাধুলা ও মন ভালো রাখার ব্যায়াম করে থাকে তারা।

১০. প্রয়োজনে নেয় অন্যের সহায়তা

জীবনে চলার পথে পড়াশোনা বা কোনো কাজে সমস্যার মুখোমুখি হলে মেধাবীরা আপনজনের সাহায্যে সহজেই তা সমাধান করে থাকে। সমস্যায় পড়লে শিক্ষক, সহপাঠী বা গৃহশিক্ষককে কোনো প্রশ্ন করতে তারা সংকোচ বোধ করে না। ফলে অনায়াসেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

মেধাবীরা যে ১০ পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেন

শিক্ষার্থীদের কাছে পড়াশোনা অনেক সময় ভয়ের বিষয়। কারণ, ফলাফলনির্ভর পড়াশোনা। তবে পড়াশোনা সহজে আত্মস্থ করতে নানা পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো কৌশল বেশ কার্যকর হয়। মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনায় নানা কৌশল বা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সেরা ১০ কৌশল তুলে ধরা হলো—

১. ধারাবাহিকতা

মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় ধারাবাহিকতার বিষয়টিকে। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দৈনন্দিন রুটিনমাফিক পড়াশোনা করে থাকে তারা। প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও দরকারি সময় বরাদ্দ করেই তারা এ কাজ করে থাকে।

২. কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা

পড়াশোনার ক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি মেধাবীদের সর্বাধিক গুরুত্বের বিষয়। কোন কাজটি কখন করবে, তা কাজ শুরুর আগেই ভেবে নেয় মেধাবী শিক্ষার্থীরা। দক্ষতার সঙ্গে সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালনার কারণে অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকে।

৩. ক্লাসে সক্রিয় থাকা

মেধাবী শিক্ষার্থীর অন্য একটি গুণ হলো শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় থাকা। আসলে অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে তারা এখানেই আলাদা। শিক্ষকদের পুরো আলোচনা মনোযোগ দিয়ে শুনে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য ডায়েরি বা খাতায় টুকে রাখে।

৪. ক্লাসের রিভিউ বা পর্যালোচনা

মেধাবী শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষে শিক্ষকের পড়ানো বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে। ক্লাস শেষে তারা ডায়েরি বা নোটবুকে টুকে রাখা তথ্য আরেকবার যাচাই করে নেয়। গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখে এবং কোনো কিছুতে সমস্যা থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক বা সহপাঠীর সাহায্যে সে সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করে ফেলে।
আর এই কৌশল অন্য সবার থেকে তাদের এগিয়ে রাখে।

৫. পড়াশোনায় নানা কৌশলের ব্যবহার

অন্যদের চেয়ে মেধাবীদের যে বিষয় এগিয়ে রাখে, তা হলো পড়াশোনায় ভিন্ন ভিন্ন কৌশলের প্রয়োগ। ব্রেন স্ট্রর্মিং থেকে শুরু করে, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আত্মস্থ করার কৌশল, বিশ্রামের সময় নানা বিষয় নিয়ে চিন্তা করা, ফ্ল্যাশ কার্ডের ব্যবহারসহ সমস্যাযুক্ত প্রশ্ন বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে তারা পড়াশোনা বুঝে থাকে ও স্মৃতিতে ধারণ করে।

৬. বড় বিষয় ক্ষুদ্র করে আত্মস্থ

মেধাবী শিক্ষার্থী বড় কোনো বিষয় পড়ার সময় তা ভেঙে ক্ষুদ্র ও প্রয়োজনীয় অংশ বেছে নেয়। এই কৌশলের মাধ্যমে সহজেই তারা বিভিন্ন জটিল বিষয়কে সহজতর করে এবং মন থেকে পড়াশোনার সব ভীতি দূর করে ফেলে।

৭. কাল নয় সবসময় আজ

মেধাবী শিক্ষার্থী সব সময় দীর্ঘসূত্রতা এড়িয়ে চলে। তারা কখনোই দৈনন্দিন কাজ ফেলে রাখে না। পরে দীর্ঘ সময়ে ধরে তা করেও না। পড়াশোনাসহ করণীয় কাজ তারা যথাসময়েই গুরুত্ব দিয়ে দ্রুতই করে থাকে। কালকের জন্য কোনো কাজ ফেলে রাখে না। তাদের ডিকশনারিতে কাল বলে কোনো শব্দ নেই। পড়াশোনার সব কাজ আজই করে ফেলে তারা।

৮. কোলাহলমুক্ত পরিবেশ তৈরি

মেধাবী শিক্ষার্থী সব সময় পড়াশোনার গুরুত্ব দিয়ে একটি কোলাহলমুক্ত ও নীরব পরিবেশ তৈরি করে। এতে গভীর মনোযোগ দিয়ে তারা পড়াশোনার কাজটি করতে পারে।

৯. জীবনযাপনে ভারসাম্য রাখা

ছোটবেলায় সবাই হয়তো শুনেছেন—পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা। অর্থাৎ সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলায় শেখানো হয়। কিন্তু সবাই হয়তো এটা মেনে চলে না। তবে মেধাবীরা এটি মেনে পড়াশোনা করে। মেধাবীরা পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনের সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, খেলাধুলা ও মন ভালো রাখার ব্যায়াম করে থাকে তারা।

১০. প্রয়োজনে নেয় অন্যের সহায়তা

জীবনে চলার পথে পড়াশোনা বা কোনো কাজে সমস্যার মুখোমুখি হলে মেধাবীরা আপনজনের সাহায্যে সহজেই তা সমাধান করে থাকে। সমস্যায় পড়লে শিক্ষক, সহপাঠী বা গৃহশিক্ষককে কোনো প্রশ্ন করতে তারা সংকোচ বোধ করে না। ফলে অনায়াসেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া