৬২ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার চবির উচ্চমান সহকারী ইয়াসিন

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক সহকারী প্রক্টর ড. আহসানুল কবীর পলাশের সম্বন্ধী ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী ইয়াসির আরাফাতকে গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর পরিচয়ে তদবিরকারী প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রতারণায় ব্যবহৃত আলামতসহ গ্রেপ্তার এই ভুয়া লিকুর আসল নাম ইয়াসির আরাফাত (৩০)। যিনি চবির হিসাব নিয়ামক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত।

একই ঘটনায় মো. আনিস নামে আরও একজনকে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের একটি দল। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ইয়াসির আরাফাত ও মো. আনিস প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সরকারি অন্যান্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে ফোন করে মনোনীত ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার তদবির করত। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ফোন করে চিকিৎসার খরচ কমানো ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের রোগী দেখার সিরিয়াল দেওয়ার কাজ করে আসছিলেন। এসব করে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত এপিএস-২ এর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, কন্ট্রাক্টরি, চাকরি দেওয়া, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আবার নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত এপিএস-২ পরিচয়ে প্রতারণা করা ভুয়া এ লিকুকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’

ভুক্তভোগী এক মনোনয়নপ্রত্যাশীর অভিযোগ তুলে ধরে ডিবি প্রধান বলেন, আঞ্জুমান আরা বেগম একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি স্থানীয় রাজনীতি করেন। তিনি নারী কোটায় এমপি হতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তিনি আনিস নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আনিস তার কাছ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার নাম করে ৬২ লাখ টাকা চান। প্রথমে ১২ লাখ টাকা দিতে হবে উন্নয়ন ফান্ডে। বাকি টাকা দিতে হবে অ্যাকাউন্টে। পরে ভুক্তভোগী সুমন ও আনিস দুজনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ৬২ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর আর ওই নম্বর খোলা পাওয়া যায়নি।’

ইবিহো/এসএস

৬২ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার চবির উচ্চমান সহকারী ইয়াসিন

রেফায়েত উল্যাহ রুপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক সহকারী প্রক্টর ড. আহসানুল কবীর পলাশের সম্বন্ধী ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী ইয়াসির আরাফাতকে গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর পরিচয়ে তদবিরকারী প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রতারণায় ব্যবহৃত আলামতসহ গ্রেপ্তার এই ভুয়া লিকুর আসল নাম ইয়াসির আরাফাত (৩০)। যিনি চবির হিসাব নিয়ামক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত।

একই ঘটনায় মো. আনিস নামে আরও একজনকে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের একটি দল। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ইয়াসির আরাফাত ও মো. আনিস প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সরকারি অন্যান্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে ফোন করে মনোনীত ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার তদবির করত। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ফোন করে চিকিৎসার খরচ কমানো ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের রোগী দেখার সিরিয়াল দেওয়ার কাজ করে আসছিলেন। এসব করে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত এপিএস-২ এর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, কন্ট্রাক্টরি, চাকরি দেওয়া, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আবার নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত এপিএস-২ পরিচয়ে প্রতারণা করা ভুয়া এ লিকুকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’

ভুক্তভোগী এক মনোনয়নপ্রত্যাশীর অভিযোগ তুলে ধরে ডিবি প্রধান বলেন, আঞ্জুমান আরা বেগম একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি স্থানীয় রাজনীতি করেন। তিনি নারী কোটায় এমপি হতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তিনি আনিস নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আনিস তার কাছ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার নাম করে ৬২ লাখ টাকা চান। প্রথমে ১২ লাখ টাকা দিতে হবে উন্নয়ন ফান্ডে। বাকি টাকা দিতে হবে অ্যাকাউন্টে। পরে ভুক্তভোগী সুমন ও আনিস দুজনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ৬২ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর আর ওই নম্বর খোলা পাওয়া যায়নি।’

ইবিহো/এসএস